এই সেই ভাটিয়া পরিবারের ১১ জন, যাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় দেশ

ঘর ভর্তি লাশ ! একই পরিবারের ১১ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ! প্রত্যেকের হাত-পা-মুখ বাঁধা ৷ ১০জন ঝুলছেন সিলিং থেকে ৷ একজন খাটে পড়ে ৷ (Photo: News18)

এদের মধ্যে সাতজন মহিলা ৷ বাকি চারজন রয়েছে পুরুষ ৷ সেই বাড়িতে অনুসন্ধান চালিয়ে এবার বেশ কয়েকটি হাতে লেখা নোট উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা (Photo: News18)

পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক যেরকম ভাবে ১১টি দেহ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, এই নোটগুলিতে একইরকম ভাবে হাত-পা বাঁধার পদ্ধতির বিবরণ পাওয়া গিয়েছে । (Photo: News18)

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭৭ বছরের নারায়ণ দেবী তাঁর দুই পুত্র-ভাবনেশ(৫০) ও ললিত(৪৫)-এর পরিবার নিয়ে থাকতেন । দুই পুত্রবধু সবিতা(৪৮) ও টিনা(৪২), এছাড়াও কন্যা প্রতিভা(৫৭)ও তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন। নারায়ণ দেবীর নাতি মনু(২৩), ধ্রুব(১৫) ও শিবম(১৫) এবং দুই নাতনি প্রিয়াঙ্কা(৩৩) ও নিতু(২৫) মোট ১১ জনের সুখী পরিবার ছিল নারায়ণ দেবীর । (Photo: News18)

ভাটিয়াদের প্রতিবেশীরা সকলেই জানিয়েছেন ওই পরিবার ধার্মিক ছিল ৷ তবে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা তাঁরা লক্ষ্য করেননি ৷ (Photo: News18)

কিন্তু হাতের লেখা নোটগুলি থেকে ভাটিয়ারা আকাল্ট অভ্যাস করতেন বলে মনে করছে পুলিশ ৷ ভাটিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ তান্ত্রিকের খোঁজও শুরু হয়েছে ৷ (Photo: News18)

উদ্ধার হওয়া নোটগুলিতে একজন চোখ-মুখ আচ্ছাদনের সাহায্যে কীভাবে ভয় অতিক্রম করতে পারেন এই কথা লেখা আছে । এছাড়াও কীভাবে একজন মোক্ষলাভ করতে পারেন, সে কথাও রয়েছে ৷ (Photo: News18)

নুষের শরীর ক্ষণস্থায়ী হলেও, আত্মা অবিনশ্বর এই ধরনের কথা বিস্তারিত ভাবে লেখা আছে ওই নোটগুলিতে । কিভাবে মানুষ এইসব আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপের সাহায্যে সকলপ্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, তার কথাও লেখা আছে নোটগুলিতে । (Photo: News18)

এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ । তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে৷ (Photo: News18)