AC Safety Tips: দুর্ঘটনা এড়াতে AC ব্যবহার করার যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত, ভুল হলেই চরম বিপদ!

রোদে তেতে-পুড়ে ঘরে ঢুকে এসি-র ঠান্ডা হাওয়া প্রাণ-মন যেন জুড়িয়ে দেয়। আগে হয়তো এসি বা এয়ার কন্ডিশনার ছিল বিলাসিতার সামগ্রী। কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কারণ যা গরম পড়ছে, তাতে সিলিং ফ্যান কিংবা কুলারের হাওয়া যথেষ্ট নয়। ফলে ঘরে ঘরে আজকাল এসি।

তবে ঘর ঠান্ডা করার যন্ত্র ঘরে থাকলেই তো হল না, তার সঙ্গে সঙ্গে এর যত্নও নেওয়া উচিত। না হলে কিন্তু ফল হতে পারে মারাত্মক। বোমার মতো ফেটে যেতে পারে এসি। এ-ও কি সম্ভব? হ্যাঁ, একেবারেই ঘটতে পারে। এমনকী এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে আসে।

২০২২ সালে কর্নাটকের বিজয়নগর জেলা এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল। এখানে একটি এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। যার জেরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আর এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪ জন।

সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছিল যে, শর্ট সার্কিটের জেরে এসি-তে আগুন ধরে তা বিকট শব্দে ফেটে যায়। যদিও এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ঘটনা বার কয়েক ঘটেছে। প্রাণহানিও হয়েছে। আর এসি-র যত্ন না নিলে শ্বাসকষ্ট-সহ নানা গুরুতর রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

গরম কালে এসি-র ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে বৈদ্যুতিক তারের উপর চাপ বেড়ে যায়। আর এতে এসি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। আজ এসি-র যত্ন প্রসঙ্গেই আলোচনা করে নেওয়া যাক। এসি সুরক্ষিত রাখার উপায়:

১. বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, এসি-র ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। ফিল্টার পরিষ্কার না করলে তাপ বেড়ে যায় এবং বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

২. এসি সকেটের নিউট্রাল এবং ফেজ উভয় সংযোগ, যার মধ্যে আমরা প্লাগ আটকে থাকি, তা টাইট হওয়া উচিত। কারণ ঢিলে হলে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ তৈরি হতে পারে।

১.৫ টন এসি-র জন্য সব সময় ৪ মিলিমিটার মাল্টিফ্লাক্স তার রাখা উচিত। এসি-তে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তারের পুরুত্ব যদি ৪ মিলিমিটারের কম হয়, তাহলে সেই তারের পুড়ে যাওয়ার অথবা স্যুইচ বোর্ডে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা সব সময় থেকে যায়।