Digital Detox: মোবাইল বা ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকেন, শরীর-মনে বাসা বাঁধছে অজানা আতঙ্ক, জানুন মুক্তির সহজ উপায়
- Published by:Debalina Datta
- trending desk
Last Updated:
Digital Detox- যার জেরে দেখা দেয় একাধিক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল ডিটক্স।
advertisement
1/9

: আজকালকার দুনিয়ায় সব সময় ডিজিটাল মাধ্যমের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেন বেশিরভাগ মানুষ। যার জেরে দেখা দেয় একাধিক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল ডিটক্স। কিন্তু এই ডিজিটাল ডিটক্স আসলে কী? এটা আসলে এমন একটা সময়, যে সময়টায় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার থেকে বিরতি গ্রহণ করতে হয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আজকের প্রতিবেদনে এর উপকারিতা এবং মূল বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। Photo- Representative
advertisement
2/9
ডিজিটাল ডিটক্সের উপকারিতা:মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: ডিজিটাল ডিটক্সের প্রাথমিক উপকারিতাই হল মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি। আর মনোনিবেশ করতেও সুবিধা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তির কারণে উৎপাদনশীলতার উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কিছুক্ষণের জন্য এর ব্যবহার থেকে বিরতি নিলে মাথা খোলে, সেই সঙ্গে কাজও ভাল হয়। Photo- Representative
advertisement
3/9
মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা হ্রাস:ডিজিটাল ডিভাইস বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহার করলে মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। অবিরত আসতে থাকা নানা তথ্য, নোটিফিকেশন এবং আপডেটেড থাকার চাপ কিন্তু মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফলে। ডিজিটাল ডিটক্সের ফলে এর থেকে মুক্তি মেলে। Photo- Representative
advertisement
4/9
ঘুমের মানের উন্নতি:স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো আমাদের দেহের স্বাভাবিক ঘুমের চক্রকে নষ্ট করে দেয়। এতে অনিদ্রার সমস্যা তৈরি হয়। আর ঘুমের মানও খারাপ হয়ে যায়। তাই সন্ধ্যার সময় ডিজিটাল ডিটক্স করলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। Photo- Representative
advertisement
5/9
মানুষের সঙ্গে মেলামেশা:ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়। কিন্তু এতে একটা সময় একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে। কিন্তু তার পরিবর্তে জোর দেওয়া উচিত মুখোমুখি আলাপচারিতার উপরেই। তাই পরিবার-বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। কিংবা বাইরে খেলাধূলার উপর মন দেওয়া উচিত। Photo- Representative
advertisement
6/9
মনোযোগ বৃদ্ধি:ডিজিটাল ডিটক্সের ফলে কোনও বিষয়ে মনোযোগ দিতে সুবিধা হয়। আসলে বারবার নোটিফিকেশন আসলে অন্যমনস্ক হয়ে যান অনেকেই। ডিজিটাল ডিটক্স সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। Photo- Representative
advertisement
7/9
সৃজনশীলতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি:সব সময় ডিজিটাল মাধ্যমে পড়ে থাকলে তা সৃজনশীলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এমনকী উৎপাদনশীলতাও কমতে বাধ্য। ডিজিটাল ডিটক্স করলে মন নানা কিছু ভাবার অবকাশ পাবে। ফলে সৃজনশীলতাও বাড়বে। Photo- Representative
advertisement
8/9
ইমিউনিটি বৃদ্ধি:অতিরিক্ত ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের কারণে মানসিক চাপ বাড়ে। ঘুমের মানও কমে। ফলে সব মিলিয়ে ইমিউন সিস্টেমও দুর্বল হয়ে যায়। যার জেরে বারবার অসুস্থতা গ্রাস করে আমাদের। তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় ডিজিটাল ডিটক্স। Photo- Representative
advertisement
9/9
ডিজিটাল ডিটক্স সংক্রান্ত টিপস:১. ডিজিটাল ডিটক্সের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। ২. বাড়ির মধ্যে বেডরুম কিংবা ডাইনিং হলে একটা টেক-ফ্রি জোন বানিয়ে নিতে হবে। যেখানে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যাবে কিংবা বিশ্রাম করা যাবে। ৩. বাইরে হাঁটতে যাওয়া, প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য সময় বেঁধে নিতে হবে। সঙ্গে এক্সারসাইজও করা যেতে পারে। ৪. বিভিন্ন ডিভাইস রয়েছে, যা স্ক্রিন টাইমের উপর নজরদারি চালায় এবং তা সীমিত করে দেয়। সেগুলি ব্যবহার করতে হবে। ৫. নিজের ডিজিটাল ডিটক্স সংক্রান্ত লক্ষ্য পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। যাতে তাঁরাও সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে পারেন। Photo- Representative