First AC Train of India: বরফের চাঁই মাথায় নিয়ে ছুটত! দেশের প্রথম এসি ট্রেন কোনটি জানেন? রইল অজানা সব তথ্য
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
General Knowledge: ব্রিটিশদের শাসনের সময়ও এই দেশে যথেষ্ট গরম ছিল৷ তার মধ্যেই ব্রিটিশদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পাড়ি দিতে হত ঘন ঘন৷ কিন্তু প্রবল গরমে তাদের কষ্ট হত খুব৷ সেই কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেনের কোচগুলি ঠান্ডা রাখা হত৷ তবে সেই সুযোগ শুধু ব্রিটিশরাই পেত৷ দেশের কোন ট্রেনে প্রথম এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল জানুন৷
advertisement
1/7

এসি জিনিসটা সত্যি বলতে কী আমাদের কাছে এখন আর বিস্ময়ও নয়, বিলাসিতাও নয়, বরং যত দিন যাচ্ছে, হয়ে উঠছে নিখাদ প্রয়োজন। এসি তাই সব জায়গায়- নিজের বাড়িতে, অফিসে, শপিং মলে, রেস্তোরাঁয়, কাফেতে, পার্লারে, সিনেমা হলে, বাসে, মেট্রোতে, ট্রেনে! আমাদের কথা এখন ট্রেন নিয়ে, কয়েক বছর আগেও, সঠিক ভাবে বললে বছর কুড়িই না হয় ধরা যাক, ট্রেনের এসি কামরায় ভ্রমণ সবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এখন মধ্যবিত্ত এসি কোচ ছাড়া রেলপথে সফরের কথা ভাবতেই পারে না! এসির ঠান্ডা হাওয়া গায়ে মেখে যাতায়াতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়াতেই সম্ভবত আমরা প্রায় সবাই ভুলে মেরে দিয়েছি যে দেশের প্রথম এসি ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়েছিল ব্রিটিশ আমলে!
advertisement
2/7
ব্রিটিশ আমলের সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর মধ্যে একটি ছিল এই ফ্রন্টিয়ার মেইল, এটাই ভারতের প্রথম এসি ট্রেন, যা স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ আমলে চালু হয়েছিল। ১৯২৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই ট্রেন চালু হয়েছিল এবং ১৯৩৪ সালের পরে এসি কোচ দিয়ে সজ্জিত হয়, এই ঐতিহাসিক ট্রেনটির আসল নাম ছিল পঞ্জাব এক্সপ্রেস।
advertisement
3/7
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়ে এই ট্রেনটি সেই সময়ের বম্বে থেকে পেশোয়ার (বর্তমানে পাকিস্তানে) পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করেছিল। ভারতের প্রথম এসি ট্রেন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
4/7
ট্রেনটিতে (তখন পঞ্জাব এক্সপ্রেস নামে পরিচিত) এসি কোচ যুক্ত করা হয়েছিল এবং ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছিল ফ্রন্টিয়ার মেল। মজার বিষয় হল, ট্রেনটি আজও চলাচল করে। ভারত ও পাকিস্তান বিভাগের পর ট্রেনটির রুট পরিবর্তন করে মুম্বই এবং অমৃতসরের মধ্যে চলাচল করে। ১৯৯৬ সালে ভারতীয় রেলওয়ে ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে গোল্ডেন টেম্পল মেল রাখে , যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখনও ভারতীয় রেলের সঙ্গে সংযুক্ত।
advertisement
5/7
ট্রেনটির সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে গেলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রেনটি বর্তমানে ১,৮৯৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ৩৫টি রেলস্টেশনে থামে এবং এর ২৪টি কোচে ২৪০০ যাত্রী বহন করে।
advertisement
6/7
এবার আসা যাক সরাসরি এসির বিষয়ে! বলা হচ্ছে ভারতের প্রথম এসি ট্রেন, তা, কামরা কেমন ঠান্ডা ছিল সেই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগবে! এও জানতে কৌতূহল হবে বইকি কামরা ঠান্ডা রাখা হত কীভাবে! ১৯৩৪ সালে যখন পঞ্জাব এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথম এসি কোচ চালু করা হয়েছিল, তখন কামরা ঠান্ডা করার জন্য বরফের টুকরো ব্যবহার করা হয়েছিল।
advertisement
7/7
বরফের টুকরোগুলো কোচের নীচে একটি বাক্সে রাখা হত এবং ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য একটি পাখা স্থাপন করা হয়েছিল, যা কোচের ভিতরটা সুশীতল করে রাখত। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বসুও এই ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন বলে জানা যায়।