IND vs SA: ১৯৮৬-র পর ঘটবে এমন ঘটনা! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের একাদশে বিরল সিদ্ধান্ত!

১৪ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজে ভারতের উইকেটকিপার ও সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ দলে ফিরতে চলেছেন। তবে ধ্রুব জুরেলের দুর্দান্ত ফর্মকে দলের ম্যানেজমেন্টের জন্য উপেক্ষা করা বেশ কঠিন হবে।

ভারতের প্রধান উইকেটকিপার ঋষভ পন্থ যখন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন, তখন ধ্রুব জুরেল গত তিনটি টেস্ট ম্যাচে — লন্ডন (ওভাল), আহমেদাবাদ এবং দিল্লিতে — ভারতের জন্য উইকেটকিপিং করেছিলেন। পন্থের প্রত্যাবর্তনে কলকাতায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের আগে প্লেয়িং ইলেভেন নির্বাচনে জটিলতা তৈরি করেছে।

ঘরোয়া মরশুমের শুরু থেকে জুরেল ১৪০, আরও একটি ও ৫৬, ১২৫, ৪৪ এবং অপরাজিত ১৩২ ও অপরাজিত ১২৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন। এই সময়ে তিনি শেষ আটটি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে তিনটি সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতরান করেছেন। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি টেস্ট ম্যাচে এসেছে।

বিসিসিআই-এর এক সূত্র বলেছেন, “জুরেল একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাকে সাই সুদর্শনের জায়গায় তিন নম্বরে বা অলরাউন্ডার নীতিশ কুমার রেড্ডির জায়গায় নিচের ক্রমে ব্যাট করতে নামানো যেতে পারে। ভারতীয় পরিস্থিতিতে রেড্ডির বোলিং ততটা প্রয়োজন হবে না।”

ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনজন স্পিনার ও দুইজন পেসার নিয়ে খেলতে পারে। মহেন্দ্র সিং ধোনি ও দীনেশ কার্তিক, ধোনি ও পার্থিব প্যাটেল, ধোনি ও ঋষভ পন্ত — ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সীমিত ওভারের দলে একসঙ্গে খেলেছিলেন।

তবে টেস্ট একাদশে দুইজন বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার রাখার উদাহরণ খুবই বিরল। কিরণ মোরে ও চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ১৯৮৬ সালে কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন (একটি ইংল্যান্ডে ও একটি ভারতে)। পণ্ডিত তখন একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে খেলেছিলেন। সেই পথেই বর্তমান ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট হাঁটেন কিনা, সেটাই দেখার।