Success Story: দেড়শো বার প্রত্যাখ্যাত হয়েও সংকল্পে অনড়; সাফল্যের দৃষ্টান্ত গড়ছে ড্রিম ১১
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
ফ্যান্টাসি ক্রিকেট, হকি, ফুটবল-সহ সমস্ত খেলার উপর বাজি ধরা হয় এই অ্যাপের সাহায্যে। তবে শুরুটা এত মসৃণ ছিল না। এই সংস্থার দুই প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ জৈন এবং ভাবিত শেঠের পরিকল্পনা প্রায় ১৫০ বার নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা হার মানেননি।
advertisement
1/5

একবারে না পারিলে দেখ শতবার... শুধু কবিতার পংক্তি নয়। জীবনের সার সত্য। সেই সত্যই আরও একবার প্রমাণ করেছেন হর্ষ জৈন। নিজের পরিকল্পনা বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও সংকল্পে অনড় থেকেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যর্থতাই তাঁকে দিয়েছে ৬৪ হাজার কোটি টাকার সংস্থা গড়ে তোলার শক্তি।
advertisement
2/5
অনলাইন বেটিং অ্যাপ ড্রিম ১১-এর কথা এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যান্টাসি ক্রিকেট, হকি, ফুটবল-সহ সমস্ত খেলার উপর বাজি ধরা হয় এই অ্যাপের সাহায্যে। তবে শুরুটা এত মসৃণ ছিল না। এই সংস্থার দুই প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ জৈন এবং ভাবিত শেঠের পরিকল্পনা প্রায় ১৫০ বার নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা হার মানেননি।
advertisement
3/5
সেটা ২০০৮ সালের কথা। প্রথমবারের জন্য শুরু হল আইপিএল। সেই সময়ই ড্রিম ১১-এর কথা ভাবতে শুরু করেন হর্ষ ও ভাবিত। প্রযুক্তি, পণ্য, বিপণন, নকশা— সব ঠিক থাকলেও, ছিল না অর্থ। হর্ষ নিজেই জানিয়েছেন, ২০১২ সালের পর তিনি তহবিলের জন্য দু’বছরে প্রায় দেড়শো বিনিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কোথাও সাফল্য মেলেনি।
advertisement
4/5
কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় ৬ বছর পর। ২০১৪ সাল থেকে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছয় ১০ লক্ষে। ২০১৮ সালে তা দাঁড়ায় ৪.৫ কোটিতে। পরবর্তী এক বছরে তা দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে এই প্লাটফর্মের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। ২০১৯ সালে, সংস্থাটি ইউনিকর্নের মর্যাদা পেয়েছে। এর অর্থ হল কোম্পানির বাজার মূল্য এক বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮,১০০ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গিয়েছে।
advertisement
5/5
ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসেছে সাফল্য। ২০২০ সালের আইপিএল স্পনসরশিপের অধিকার পেয়েছে ড্রিম ১১। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির স্পন্সরশিপও তাদের হাতে। এই সংস্থার বাজার মূল্য বর্তমানে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালে হর্ষ মুম্বইতে ৭২ কোটি টাকার একটি বাড়িও কিনেছেন। তাঁর জন্মও মুম্বইতেই। লন্ডনে থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাশ করেন। Microsoft-এ ইন্টার্নশিপ করার সময়ই নিজের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। যাঁর ফলশ্রুতি ড্রিম ১১।