Saina Nehwal Divorce: ভাঙল ব্যাডমিন্টন তারকা জুটি সাইনা-কাশ্যপের সংসার, হতবাক ভক্তরাও, কিন্তু কী কারণে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন সফল এই দম্পতি?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Saina Nehwal Divorce: কিন্তু সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লি কাশ্যপের মতো ব্যাডমিন্টন তারকার বিচ্ছেদের খবরে সীলমোহর পড়ে, তখন একটা প্রশ্নই মাথায় বারবার ঘুরপাক খেতে থাকে যে, এই তারকা খেলোয়াড়দের জীবনের যাত্রাপথ অভিন্ন হলেও তাঁদের সম্পর্কটা কেন ভেঙে গেল?
advertisement
1/5

একই ধরনের চিন্তাধারা, একই পেশা, অভিন্ন পদক্ষেপ আর একসঙ্গে কাটানো বেশ কয়েকটা বছর - এই বিষয়গুলি যে কোনও সম্পর্ককে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও মজবুত করে তোলে। কিন্তু সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লি কাশ্যপের মতো ব্যাডমিন্টন তারকার বিচ্ছেদের খবরে সীলমোহর পড়ে, তখন একটা প্রশ্নই মাথায় বারবার ঘুরপাক খেতে থাকে যে, এই তারকা খেলোয়াড়দের জীবনের যাত্রাপথ অভিন্ন হলেও তাঁদের সম্পর্কটা কেন ভেঙে গেল?
advertisement
2/5
আসলে সাইনা এবং কাশ্যপের সম্পর্ক বহু বছরের। একসঙ্গে টুর্নামেন্ট খেলা, একসঙ্গে প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে ২০১৮ সালে চার হাতের মিলন। এখানেই শেষ নয়, দু’জনেই নিজ নিজ কেরিয়ারে সাফল্যের শিখরে রয়েছেন। আবার দু’জনেই ব্যাডমিন্টন দুনিয়ার কিংবদন্তিও বটে! কিন্তু পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁদের বিচ্ছেদের কথা সামনে আসতেই স্বাভাবিক ভাবেই তা বিশ্বাস করতে পারেননি ভক্তরা। একই পথে থাকার পরেও কেন সম্পর্ক ভেঙে যায়?
advertisement
3/5
অভিন্ন লক্ষ্য, ভিন্ন পথ: আসলে সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষ যখন একই পেশার হন, তখন তাঁরা নিজেদের সঙ্গীকে সবথেকে ভাল বুঝতে পারেন। কিন্তু এই অভিন্ন যাত্রাই যেন কখনও কখনও সম্পর্কে স্পেসের অভাব তৈরি করে। একই ধরনের কেরিয়ারে চাপের বোঝা: যখন কোনও যুগলের একই কেরিয়ার বিশেষ করে ক্রীড়ার মতো প্রতিযোগিতামূলক কেরিয়ার হয়, তখন তাঁরা একে অপরের লড়াই, ব্যর্থতা, জয়, ক্লান্তি সব কিছুকেই বোঝেন এবং সম্মান করেন। কিন্তু কখনও বা প্রতি মুহূর্তে থাকে অজানা চাপ। আবার কখনও তো এমন ব্যস্ততা থাকে যে, একে অপরের সঙ্গে তাঁদের কথা বলার সময়টুকু পর্যন্ত হয় না। আবার যখন তাঁরা একসঙ্গে থাকেন, তাঁদের পেশাগত ক্লান্তিও কিন্তু সেই সময় সঙ্গী হতে পারে। আবার এর সঙ্গে সম্পর্কে চলে আসে অজানা প্রতিযোগিতাও। কে বেশি সফল, কার আয় বেশি, কার খ্যাতি বেশি- এই সমস্ত কিছুই। এগুলি আমরা এড়িয়ে গেলেও তা সম্পর্কের ক্ষতির জন্য অনেকাংশে দায়ী।
advertisement
4/5
সম্পর্কে ‘আমি’ আর ‘আমরা’-র সমতা: কখনও কখনও সম্পর্কে ‘আমরা’ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে, ‘আমি’-টাই যেন কোথাও হারিয়ে যায়। যে কোনও সিদ্ধান্তে ‘আমি’ আর ‘আমরা’ দু’টোর কথাই ভাবা জরুরি। কিন্তু যখন দু’জনেরই ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন থাকে, তখন তাঁদের গুরুত্ব আর পথও আলাদা হতে থাকে। দূরত্ব বাড়লে কমতে থাকে কথা, দুর্বল হতে থাকে আবেগের দিকটাও। সম্পর্ক যেন কোনও রকমে টিকে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সময়ে আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়া না হলে সম্পর্কটাই আর থাকে না। একই পেশার ক্ষেত্রে কি সম্পর্ক টিকতে পারে না?
advertisement
5/5
এহেন পরিস্থিতিতে সম্পর্ক টিকতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শুরু পেশাগত কম্প্যাটিবিলিটিই নয়, দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক, ইমোশনাল স্পেস এবং বোঝাপড়াও জরুরি। সম্পর্কে সাম্য ভাল, কিন্তু তা যেন বোঝা হয়ে না দাঁড়াতে পারে। এই তারকা যুগলের কাহিনি আমাদের সম্পর্কের দিক থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা দিল। অভিন্ন যাত্রাপথ অথবা একই রকম লক্ষ্য কিন্তু সম্পর্ক বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য খোলাখুলি কথা বলতে হবে, একে অন্যের স্পেসকে সম্মান করতে হবে এবং কেরিয়ারের প্রতিযোগিতা থেকে সম্পর্কটাকে দূরে রাখাই ভাল। কখনও কখনও আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও একে অপরের প্রতি সম্মান থাকে প্রাক্তন সঙ্গীদের। আর সেটাই হল সবথেকে পরিণত সম্পর্কের পরিচায়ক।