Sachin Tendulkar 50th Birthday: ৫০তম জন্মদিনে সচিন তেন্ডুলকরের ৫০টি এমন তথ্য, যা অজানা অনেকের
- Published by:Sudip Paul
- news18 bangla
Last Updated:
Sachin Tendulkar 50th Birthday: জীবনের ২২ গজে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন 'ক্রিকেট ঈশ্বর' সচিন তেন্ডুলকর। ২৪ এপ্রিল শুধু দেশ নয়, বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছ মাস্টার ব্লাস্টারের ৫০ তম জন্মদিন।
advertisement
1/10

১. সচিন তেন্ডুলকর প্রথমে একজন ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৮৭ সালে এমআরএফ ফাউন্ডেশনে অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট ডেনিস লিলি একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সচিনকে। লিলি তখন সচিনকে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে বলেছিলেন। ২. ১৯৮৭ সালে মুম্বইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে পাকিস্তান দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন সচিন। ওই ম্যাচের দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সচিন তেন্ডুলকরের। ৩. সচিন তেন্ডুলকর ওয়ানডে ক্রিকেটে ২ বার ৫ উইকেট নেওয়ার করিশ্মা করেছেন। সেখানে কিংবদন্তী বোলার শেন ওয়ার্ন মাত্র একবার ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন। ৪. ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ভারত বনাম জিম্বাবোয়ে ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর বল বয় হয়েছিলেন। এই ম্যাচটি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। তখন সচিনের বয়স মাত্র ১৪ বছর। ৫. একদিনের ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড সচিন তেন্ডুলকরের দখলে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকার ২০০ রান করেছিলেন।
advertisement
2/10
৬. ১৯৯২ সালে ১৯ বছর বয়সে সচিন ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলা বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হন। ৭. সচিন তেন্ডুলকর ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। এই ম্যাচটি ছিল কপিল দেবের ১০০তম ম্যাচ। ৮. শচীনের বাবা অধ্যাপক রমেশ টেন্ডুলকার ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মনের একজন বড় ভক্ত। নিজের নামেই ছেলের নাম রেখেছেন শচীন। ৯. দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশকের কেরিয়ারের সচিনের খেলা লাইভ মাঠে বসে তাঁর মা রজনী তেন্ডুলকর দেখেছিলেন মাত্র একবার। সেটা ছিল সচিনের শেষ টেস্ট। ১০. সচিন তেন্ডুলকর ২০১০ সালের আইপিএল মরসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ১৫ ম্যাচে তিনি মোট ৬১৮ রান করেছিলেন।
advertisement
3/10
১১. সচিন তেন্ডুলকর আজীবন কাস ক্রিকেট খেলার সময় তার কিটব্যাগে সবসময় ভারতীয় পতাকা রাখত। এটাই হয়ে উঠেছিল সচিনের পরিচয়। ১২. সচিন তেন্ডুলকর প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি ভারতরত্ন পেয়েছেন। ২০১৪ সালে সচিনকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৩. বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৯ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০১১ সালে সচিনের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়। ১৪. শচীন প্রথম গাড়ি Maruti 800 কিনেছিলেন। তিনি ঋণ নিয়ে এই গাড়িটি কিনেছিলেন। যা পরে শোধ করা হয়েছিল। সেই সচিনই পরে BMW এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও হন। ১৫. সচিনই প্রথম আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় যাকে থার্ড আম্পায়ার রানআউট বলে ঘোষণা করে। এই ম্যাচটি ১৯৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা হয়েছিল।
advertisement
4/10
১৬. ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটেও সচিন তেন্ডুলকরের অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে। সচিনের রঞ্জি ট্রফি, দলিপ ট্রফি এবং ইরানি ট্রফিতে সেঞ্চুরি রয়েছে। ১৭. সচিন তেন্ডুলকর তাঁর একটি ব্যাট পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে দিয়েছিলেন। সেই ব্যাট দিয়েই ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি। ১৮. সচিন তাঁর কোচ রমাকান্ত আচরেকারের কাছ থেকে একটি মুদ্রা পেতেন যখন তিনি পুরো নেট সেশনে আউট হতেন না। সচিন এই ধরনের ১৩টি কয়েন সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯. ১৯৯৫ সালে সচিন তেন্ডুলকর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন। ওয়ার্ল্ড টেলের সাথে ৩১.৫ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন সচিন। ২০. প্রথম দিকে সচিন তেন্ডুলকর ক্রিকেট কিট নিয়ে মাথায় নিয়ে ঘুমাতেন।
advertisement
5/10
২১. সচিন তেন্ডুলকরের কাছে বিশ্বের সেরা মানের ঘড়ি এবং পারফিউমের সংগ্রহ রয়েছে। ২২. সচিন তেন্ডুলকর তার প্রথম বিজ্ঞাপনে একটি প্লাস্টার কোম্পানির প্রচার করেছিলেন। ২৩. সচিন তেন্ডুলকর প্রথম যে ব্র্যান্ডটি অনুমোদন করেছিলেন তা হল বুস্ট। ২৪. সচিন তেন্ডুলকর তাঁর রঞ্জি অভিষেকে রবি শাস্ত্রীর অধিনায়কত্বে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। ২৫. ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি সচিন তেন্ডুলকর তাঁর পুরো কেরিয়ার জুড়ে ৩.২ পাউন্ড ব্যাট নিয়ে খেলেছেন।
advertisement
6/10
২৬. সচিনের বন্ধু অতুল রানাডে বলেছিলেন যে ছোটবেলায় সচিন শেয়ার মার্কেটে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে বিরোধও দেখা দেয়। ২৭. রোজা ছবিটি দেখতে একবার দাড়ি লাগিয়ে ছদ্মবেশে সিনেমা হলে গিয়েছিলেন সচিন। কিন্তু তার চশমা পড়ে যাওয়ায় পাবলিক তাকে চিনে ফেলেছিল। ২৮. গাইড ছবিটি দেখার সময় গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। এরপর তার ভাই তাকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রিকেট খেলতে পাঠায়। ২৯. সচিন অবসর সময়ে বান্দ্রা ইস্টে মাছ ধরতেন কারণ তার আবাসন কলোনি কাছাকাছি ছিল। ৩০. সচিন তেন্ডুলকর একবার একটি মারাঠি টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলে বলেছিলেন যে তাঁর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বড়া পাউ।
advertisement
7/10
৩১. সচিন তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুনীল গাভাসকরের দেওয়া প্যাড পরে। ৩২. সচিন তেন্ডুলকর জন ম্যাক্রোর একজন বড় ভক্ত এবং এই কারণেই তিনি তার মতো চুলের স্টাইল করতেন। ৩৩. সচিন তেন্ডুলকর ২০০০ সালে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে একটি রেস্তোঁরা শুরু করেছিলেন। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ৩৪. সচিন তেন্ডুলকর কিশোর কুমারের গানের একজন বড় ভক্ত এবং রক গ্রুপ ডাইর স্ট্রেইট-এর গানও উপভোগ করেন। ৩৫. সচিন তেন্ডুলকর টেনিস বল ক্রিকেট পছন্দ করতেন এবং বৃষ্টির মধ্যেও ক্রিকেট খেলতেন।
advertisement
8/10
৩৬. সচিন তেন্ডুলকর একবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে ভূতের মতো আকৃতি লুকিয়ে রেখেছিলেন যাতে দাদা জেগে উঠলে ভয় পান। ৩৭. ১৯৯৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোনো ব্যাট কোম্পানির সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকরের কোনও চুক্তি ছিল না। এরপর সচিন এমআরএফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ৩৮. সচিন তেন্ডুলকর অমিতাভ বচ্চনের একজন বড় ভক্ত এবং অমিতাভের ছবি 'দিওয়ার' এবং 'জঞ্জির' বহুবার দেখেছেন। ৩৯. সচিন তেন্ডুলকরই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছিলেন সাংসদ হিসেবে। ৪০. শ্রীকান্ত থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি, সচিন তেন্ডুলকর মোট ১০ জন অধিনায়কের অধীনে ক্রিকেট খেলেছেন। সৌরভের অধিনায়কত্বে তিনি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন।
advertisement
9/10
৪১. ২০০২ সালে, উইজডেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর নসচিন তেন্ডুলকরকে সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অভিহিত করেন। ৪২. সচিন অন্য যেকোনও ক্রিকেটারের চেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলেছেন। মোট ৬ বার বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অংশ। ৪৩. সচিন তেন্ডুলকর সবসময় ১০ নম্বর জার্সি পরেন। তার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন শার্দুল ঠাকুর। ৪৪. সচিন যখনই প্যাড বাঁধতেন, প্রথমে বাঁ পায়ের প্যাড বাঁধতেন এবং তারপর ডান পা। এটা তাদের অভ্যেস ও কু-সংস্কার ছিল। ৪৫. ফিরোজশাহ কোটলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুম্বলে যখন ১০ উইকেট নিয়েছিলেন সেই ম্যাচে কুম্বলের প্রতিটি ওভারে সচিন তার ক্যাপ এবং সোয়েটার আম্পায়ারকে দিতেন।
advertisement
10/10
৪৬. সচিন তেন্ডুলকর হয়তো ডান হাতে ব্যাটিং ও বোলিং করছেন কিন্তু তিনি লেখেন শুধু বাঁ হাতে। ৪৭. ১৯৯০ সালে, সচিন তেন্ডুলকর তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করার পর ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। তারপর তাকে শ্যাম্পেনের বোতল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তা খুলতে পারেনি। ৪৮. এক ক্যালেন্ডার বছরে সবথেকে বেশি ১০০০ টেস্ট রান করার রেকর্ড সচিনের। তিনি এই কৃতিত্ব ৬ বার করেছেন। ৪৯. ৩ সেপ্টেম্বর ২০১০-এ, সচিন তেন্ডুলকর ভারতীয় বিমান বাহিনী কর্তৃক অনারারি গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে ভূষিত হওয়া প্রথম ক্রীড়াবিদ হন। ৫০. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩ বার নার্ভাস নাইন্টিসের শিকার হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ওয়ানডেতে তিনবার ৯৯ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।