ক্রিকেটার থেকে জেল খাটা আসামী! শেষে আইনজীবীর সঙ্গে প্রেমে জীবন বাঁচল এই তারকার

মাত্র ২৮ বছর বয়সে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে একটা সময় পাকিস্তানের সব থেকে সম্ভাবনাময় পেসার বলা হত। সেই ক্রিকেটার মহম্মদ আমির নিজের দোষেই নিজের কেরিয়ার শেষ করেছিলেন।

২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ায় আমিরের। তার পর তাঁকে জেল খাটতে হয়। নির্বাসন ভোগ করতে হয়। একটা ভুলে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল।

২০১০ অগাস্ট মাসে লর্ডস টেস্টে বুকি মাজহার মজিদের জন্য তিন ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিং করেছিলেন। স্টিং অপারেশন করেছিল 'নিউজ অফ ওয়ার্ল্ড'-এর রিপোর্টার।স্পট ফিক্সিংয়ের যাবতীয় আলোচনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ম্যাচের আগের দিন ঠিক হয়, কখন প্রতিটি নো বল করা হবে! তার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা। এই টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক সালমান বাটের নির্দেশে মহম্মদ আসিফ ও মহম্মদ আমির যথাক্রমে একটি ও দুটি নো বল করেছিলেন।

মহম্মদ আমির ২০০৯ টি বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী পাকিস্তানি দলের সদস্য ছিলেন। যে সময়ে তিনি স্পট ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তাঁকে ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

২০১১ সালে ব্রিটেনের এক আদালত আমিরকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। প্রায় ৬ মাস জেলে ছিলেন তিনি।

আমিরের আইনি লড়াই লড়ছিলেন নরজিস খাতুন। শেষ সেই আইনজীবীর সঙ্গেই প্রেম হয় আমিরের। তাঁরা বিয়েও করেন।

২০১৬ সালে আমির ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। তবে ক্রিকেটে রাজনীতির অভিযোগ তুলে ২০২০ সালে অবসর নেন।

আমির ও নারজিসের তিন মেয়ে। ২০২১ সালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আমির।