IPL: মাঠে যেতেই দেওয়া হত না, ডুবে গিয়েছিলেন ডিপ্রেশনে ! আশুতোষ শর্মার ব্যাটে আগুন ঝরানোর গল্প ঘুরে দাঁড়াতে বলছে সবাইকে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Who is Cricketer Ashutosh Sharma: ব্যর্থতার মুখ জীবনে সবাইকে দেখতে হয়। তার জন্য ডিপ্রেশনও তৈরি হয় বইকি! কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর খেলা যখন শুরু হয়, দুনিয়ার সেলাম ঠোকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। সেই কথাটাই অক্ষরে অক্ষরে আইপিএল-এর মাঠে প্রমাণ করে দিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালস-এর আশুতোষ শর্মা। তাঁর সাফল্যের গল্প সবাইকেই নতুন করে শুরু করার অনুপ্রেরণা দেবে।
advertisement
1/6

ব্যর্থতার মুখ জীবনে সবাইকে দেখতে হয়। তার জন্য ডিপ্রেশনও তৈরি হয় বইকি! কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর খেলা যখন শুরু হয়, দুনিয়ার সেলাম ঠোকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। সেই কথাটাই অক্ষরে অক্ষরে আইপিএল-এর মাঠে প্রমাণ করে দিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালস-এর আশুতোষ শর্মা। তাঁর সাফল্যের গল্প সবাইকেই নতুন করে শুরু করার অনুপ্রেরণা দেবে।
advertisement
2/6
অবশ্য, আশুতোষের প্রতিভা ২০২৪-এর আইপিএল থেকেই সকলের চোখে পড়তে শুরু করে দেয়। সেই সময়ে পঞ্জাব কিংস-এর অংশ হিসেবে তিনি ক্রিজে আগুন ঝরিয়েছিলেন। তবে, এটা সত্যি যে খেলোয়াড়ের প্রতিভা বেশি করে নজর কাড়ে আইপিএল-এর দ্বিতীয় মরশুমে, প্রথম মরশুমে মুখ-চেনা ব্যাপারটা ততটাও থাকে না বলে! তা, লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর বিরুদ্ধে ৬৬ রানের ম্যাচ জেতার ইনিংস খেলে আশুতোষ যা প্রমাণ করার করেই দিয়েছেন!
advertisement
3/6
লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর ২১০ রানের টার্গেট তুলতে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস-এর প্রায় অর্ধেক দল ৬৫ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিল। এর পর শুরু হয় আশুতোষের চমকের পালা। ত্রিস্তান স্টাবস এবং বিপ্রজ নিগমের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি সবাইকে চমকে দেন। ৬৬ রানের ইনিংসে ৩১ বলে খেলে ৫টা চার এবং ছয় হাঁকানো মোটেও মুখের কথা নয়।
advertisement
4/6
অথচ, এ হেন আশুতোষের কেরিয়ারের শুরু ছিল অস্বীকৃতিতে ভরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এক সময়ে মধ্যপ্রদেশ দলের হেড কোচ ছিলেন। সেই সময়ে ভাল পারফরম্যান্স সত্ত্বেও আশুতোষ দলে জায়গা পাননি। "একটা সময় ছিল, যখন আমায় খেলার মাঠটা দেখারও অনুমতি দেওয়া হত না। আমি জিমে যেতাম, হোটেলের ঘরে আরাম করতাম আর ডিপ্রেশনে ডুবে থাকতাম। কেউ বলতেন না আমার কোথায় ভুল হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে একজন নতুন কোচ এসেছিলেন, পছন্দ-অপছন্দ ছিল তাঁর খুবই কড়া। ট্রায়াল ম্যাচে ৪৫ বলে ৯০ রান করার পরেও আমায় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়", সাফ জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
5/6
"গত মরশুমে মুশতাক আলি ট্রফিতে আমি ৬ ম্যাচে তিনটে হাফ সেঞ্চুরি নিয়েছিলাম, তাও আমায় মাঠে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি খুবই ডিপ্রেশনে ছিলাম", বক্তব্য আশুতোষের।
advertisement
6/6
সেই সময়েই আশুতোষ ভারতীয় রেলে একটা চাকরি পান, যা তাঁকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছিল। ২০২৩-এ সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ১১ বলে ৫০ রান তুলে ফেলার পর তাঁর রেকর্ড যুবরাজ সিংয়ের টি-টোয়েন্টি ফিফটির সমান হয়। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।