Jemimah Rodrigues: অ্যাংজাইটির সঙ্গে টানা লড়াই...কান্নায় ভেজা গাল, কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা! সবার সামনে জেমাইমা জানালেন নিজের সঙ্গে নিজের সেই যুদ্ধের কথা
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
জেমাইমা বলেন, ‘‘বিষয়টা শুরু হয়েছিল অ্যাংজাইটির সমস্যা থেকে৷ তারপর দল থেকে বাদ পড়লাম৷ ওটা বড় ধাক্কা ছিল৷ আর যখন বাদ পড়লাম, তখনই নিজের উপরে একরাশ অবিশ্বাস এসে জড়ো হল৷ আমি সব সময় ভেবেছিলাম যে দলের জন্য কিছু করব, কিন্তু, শুধু বসে থাকা ছাড়া তখন আমার আর কিছু করণীয় ছিল না৷ তারপর যখন দলে ফিরলাম, তখন আরেক রকম চাপ৷ গত একমাস ধরে৷’’
advertisement
1/10

 সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরে উদযাপন করেননি তেমন ৷ তার পরক্ষণে ক্লান্ত শরীরেই ফের শুরু করেছিলেন খেলা শেষের লড়াই৷ তাড়া করার লড়াই৷ মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করার দৌড়৷
advertisement
2/10
 দু’দিন আগে যাঁর নামও তেমন জানত না কেউ, বৃহস্পতিবারের রাতের পর থেকে তাঁর নাম ঘিরে উন্মাদনা চরমে পৌঁছেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে শেয়ার হয়েছে জেমাইমার ছবি-ভিডিও৷
advertisement
3/10
 মহিলা বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’-এর পুরস্কার হাতে নিয়ে গত এক মাসের সেই অভাবনীয় জার্নির কথা শোনালেন জেমাইমা রডরিগেজ৷ কান্নায় ভেজা গাল, কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা৷ ঈশ্বরের প্রতি, পরিবারের প্রতি, সহযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা৷ আর অস্বাভাবিক সহজতার সঙ্গে এক স্টেডিয়াম মানুষের সামনে বললেন তাঁর নিজের সঙ্গে নিজের লড়াইয়ের কথা৷
advertisement
4/10
 বললেন, ‘‘স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। স্বপ্নটা এখনও শেষ হয়নি। সত্যিই গত এক মাসের কাজটা কঠিন ছিল। একা এটা করতে পারিনি। মা, বাবা, কোচ এবং আমার উপর যাঁরা বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
advertisement
5/10
 ১৩৪ বলে অপরাজিত ১২৭ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস এঁকেছেন যে মেয়ে, তিনিই বলছেন, ‘‘গত বছর বিশ্বকাপ দল থেকে আমি বাদ পড়েছিল৷ এবছর যখন এলাম, ভাবলাম আচ্ছা চেষ্টা করব ভাল ফর্মে আছি৷ তারপর একটার পর একটা জিনিস ঘটতে থাকল, যার কোনওটাই আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না৷ আমি ধন্যবাদ জানাব সেই সমস্ত মানুষকে, যাঁরা সেই সম আমার উপরে আস্থা রেখেছেন৷’’
advertisement
6/10
 নিজের অ্যাংজাইটি, সেলফ ডাউটে জর্জরিত থাকার দিনগুলোর কথা সর্বসমক্ষে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রায় প্রত্যেক দিন কেঁদেছি, মানসিক ভাবেও ভাল থাকছিলাম না, অত্যন্ত অ্যাংজাইটির মধ্যে ছিলাম৷ তারপর বাদ পড়া৷ সবটা নিয়ে...আমি শুধু বুঝেছিলাম প্রতিদিন উঠে দাঁড়াতে হবে৷ তারপর বাকিটা ঈশ্বর দেখে নেবেন৷’’
advertisement
7/10
 পোস্ট ম্যাচ কনফারেন্সেও এ নিয়ে কথা বলেছেন জেমাইমা, ‘‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আমি প্রচণ্ড অ্যাংজাইটির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলান৷ অবস্থা এমন ছিল যে, প্রত্যেকটা ম্যাচের আগে আমি মাকে ফোন করতাম আর কাঁদতাম৷ গোটা সময়টা কাঁদতাম৷ মনে হত সবটা বেরিয়ে যাক৷ কারণ, যখন আপনার অ্যাংজাইটি হয়, তখন আপনি সম্পূর্ণ ‘নাম্ব’ হয়ে যান৷ তখন কী করবেন কিছুই ভেবে পান না৷’’
advertisement
8/10
 ঠিক এই সময়েই পরিবার, বন্ধ এবং সঙ্গীরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেমাইমা৷ ‘‘প্রত্যেক বার আমার মা, আমার বাবা আমার পাশে থেকেছে৷ আর অরুন্ধতী (রেড্ডি) যার সামনে আমি প্রতি দিন কাঁদতাম৷ এইগতকাস, ও এসেছে, সামনে দাঁড়িয়েছে৷ কিছু বলেনি৷ ওর থাকাটাই আমার কাছে অনেক ছিল৷ তারপর রাধা (যাদব), সবসময় আমার যত্ন নিয়েছে৷’’
advertisement
9/10
 জেমাইমা বলেন, ‘‘বিষয়টা শুরু হয়েছিল অ্যাংজাইটির সমস্যা থেকে৷ তারপর দল থেকে বাদ পড়লাম৷ ওটা বড় ধাক্কা ছিল৷ আর যখন বাদ পড়লাম, তখনই নিজের উপরে একরাশ অবিশ্বাস এসে জড়ো হল৷ আমি সব সময় ভেবেছিলাম যে দলের জন্য কিছু করব, কিন্তু, শুধু বসে থাকা ছাড়া তখন আমার আর কিছু করণীয় ছিল না৷ তারপর যখন দলে ফিরলাম, তখন আরেক রকম চাপ৷ গত একমাস ধরে৷’’
advertisement
10/10
 এরপরেই আসে সেই ঘুরে দাঁড়ানোর কথা৷ জেমাইমা বলেন, ‘‘কিন্তু, এমন কিছু সময় থাকে, যখন শুধু মাত্র ধৈর্য ধরতে হয়, বাকিটা নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়৷’’ বিশ্বাসের সঙ্গে জেমাইমা উচ্চারণ করেন, ‘‘আমি জিশুর কাছে কৃতজ্ঞ৷ তাঁর থাকার জন্য কৃতজ্ঞ৷ কঠিন সময়ে বাইবেল আমায় অনেকটা সাহস দিয়েছে৷ বাইবেলে লেখা রয়েছে, ‘weeping may endure for a night, but joy comes in the morning’, সেই দিন এসেছে৷ আর আমি এখনও কাঁদছি৷’’
