Dhoni ODI debut : আজকের দিনেই ১৭ বছর আগে একদিনের ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছিল ধোনির, ফিরে দেখা

১৭ বছর আগে আজকের দিনে অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় ধোনির। রান না করেই রান আউট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন সেদিন।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে প্রথম শতরান করেন ধোনি। বিশাখাপত্তনমের মাঠে সেদিন ১৪৮ রানের ধামাকা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মাহি। আফ্রিদি, উমর গুলদের ছাতু করেছিলেন ১৫ বাউন্ডারি এবং চারটি ছক্কা মেরে। ৩৫৬ রান তোলে ভারত।

একমাত্র উইকেট রক্ষক হিসেবে দেশকে ৬০ টি টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড আছে তার। ক্রিকেট বিশ্বে যেটা সর্বাধিক। ব্যাট হাতে ৩৪৫৪ রান করেছেন, যা টেস্ট খেলা উইকেট-রক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। একদিনে দশ হাজারের ওপর রান

মহেন্দ্র সিং ধোনি একমাত্র ভারতীয় অধিনায়ক যার আমলে ভারত ১৫ টি টেস্ট ম্যাচ বিদেশের মাঠে হেরেছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় পরপর চারটি সিরিজ হারে ধোনির ভারত।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট খেলেছেন ধোনি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এশিয়ার বাইরে শতরান করতে পারেননি তিনি। এই আক্ষেপ থেকেই যাবে তার সমর্থকদের।

২০০৭ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হওয়া টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তখন খুব বেশি অভিজ্ঞ না হলেও, ঠান্ডা মাথা এবং প্রখর বুদ্ধি দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন, কিভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে হয়। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে আইপিএলের শুরু।

২০১১ একদিনের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত। ২৮ বছর পর লর্ডসের স্মৃতি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফিরে এসেছিল। শ্রীলঙ্কার ২৭৪ তাড়া করতে নেমে সচিন, সেহওয়াগ তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেও হাল ধরেছিলেন গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলি। তবে ধোনির ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে দ্বিতীয়বার বিশ্বসেরা হয়েছিল ভারত।

আজ থেকে ঠিক আট বছর আগে ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। বার্মিংহামে এজবাস্টনে ৫০ ওভারের ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও, বৃষ্টির কারণে কুড়ি ওভারের খেলা হয়েছিল। ১২৯ রান তুললেও দুরন্ত বল এবং ফিল্ডিং করে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে তিনটি আইসিসি ট্রফি জয়ের নজির গড়েন ধোনি।