Shreyas Iyer Controversy: ছিঃ ছিঃ খালি পলিটিক্স-পলিটিক্স খেলা, কার পেয়ারের নন বলে এভাবে বাদ গেলেন শ্রেয়স, গম্ভীর জমানায় নতুন নোংরামি

মুম্বই: ‘জিসকি লাঠি উসকি ভ্যাঁয়স’- হিন্দির একটি জনপ্রিয় প্রবাদ৷ এই প্রবাদটিই টিম ইন্ডিয়ার দল নির্বাচনের জন্য প্রধান কারণ হয়ে গেছে৷ দল নির্বাচন থেকে শুরু করে প্লেয়িং ইলেভেন নির্বাচন পর্যন্ত যে ধরণের পাওয়ার প্লে দেখা যাচ্ছে তা প্রথমে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। তবে এবার এশিয়া কাপের দল নির্বাচনে যা পলিটিক্স হল তা সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় ক্রিকেটে শেষ কবে হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না কেউই৷

এশিয়া কাপের জন্য নির্বাচিত দল দেখে যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তা কোনও ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রেয়স আইয়ার এশিয়া কাপের জন্য টি টোয়েন্টি দলে দলে জায়গা পাননি, যার কারণে আবারও টিম ম্যানেজমেন্টে থাকা কর্তা, নির্বাচক, কোচ, অধিনায়ক সকলের শুদ্ধ ভাবনাকে স্ক্যানারের নিচে এসে গেছে৷

কয়েকদিন আগে শ্রেয়সকে ইংল্যান্ড সফরের জন্যও নির্বাচিত করা হয়নি কিন্তু এবার  যা হল তা সহ্যের সব সীমা অতিক্রম করেছে কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যান, আইপিএলে ৬০০-এর বেশি রান করা কাউকে দলে না নেওয়ায় সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে যে শ্রেয়সের দোষ কী?

শ্রেয়সের সঙ্গে কার শত্রুতা ?যখন একজন ওপেনারকে মিডল অর্ডারে সেট করা হয় এবং একজন ভাল স্পিন খেলোয়াড়কে দল থেকে বার করে দেওয়ার রাস্তা দেখানো হয় - নতুন বল খেলে এমন একজন ব্যাটসম্যানকে দলে জায়গা দেওয়া হয়, তখন একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায় যে সেই ব্যাটসম্যানকে দলে পছন্দ করা হচ্ছে না।

এই ব্যাটসম্যান আর কেউ নন, শ্রেয়স আইয়ার, যার সম্পর্কে বিশ্ব জুড়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সাদা বলের ক্রিকেটে তার চেয়ে ভাল স্পিন খেলোয়াড় আর কেউ নেই, সে যখন খুশি গিয়ার পরিবর্তন করতে পারে এবং বড় শট খেলা তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি, প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর বা দলের কোচ কেউই তাকে যোগ্য মনে করলেন না৷ সেই কারণেই প্রথমে টেস্ট দল থেকে আইয়ারকে উপেক্ষা করা হয়েছিল এবং এখন টি-টোয়েন্টি দল থেকেও। শ্রেয়সকে এশিয়া কাপ দলে নির্বাচিত না করা এখন কেবল ম্যানেজমেন্টের তীব্র অপছন্দের বিষয় বলে মনে হচ্ছে।

কয়েক মাস আগে যখন ভারতীয় দল দুবাইতে জয় উদযাপন করছিল, তখন এর মূল কারণ ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার, যিনি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৪৩ রান করেছিলেন। এই টুর্নামেন্টের কয়েক মাস পরে, আইপিএল আসেন তখন আইয়ারের পঞ্জাব ফাইনালে পৌঁছায় এবং সেখানে এমনভাবে ব্যাট করে যে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা অবাক হয়ে যান।

আইয়ার ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে ৬০৪ রান করেছিলেন, যার মধ্যে অনেকগুলিই ছিল বিস্ফোরক ইনিংস যা ভক্তরা আজও মনে রেখেছেন। মাঝের ওভারগুলিতে শ্রেয়সের চেয়ে ভালো ব্যাটসম্যান আর কেউ ছিল না কিন্তু নির্বাচক এবং কোচের চোখ থেকে পক্ষপাতের চশমা সরাতে পারেননি, ফলস্বরূপ, আইয়ারের মতো প্রতিভা মাঠে রান করার পরিবর্তে দুঃখিত বোধ করবে।