ছয় মাসে হারিয়েছেন বাবা আর ভাই, প্রতিদিন ১৫০ টাকা মজুরিতে বালি বোঝাইয়ের কাজ করেছেন, এখন ভারতের পেস বোলিংয়ের আশা আকাশ দীপ
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Akash Deep's Inspiring Journey: জীবন কখন কীভাবে কার পরীক্ষা নেয়, তা বোঝা মুশকিল! যারা টিকে যায়, তাদের আর কোনও কিছু নিয়ে ভাবতে হয় না। আকাশ দীপের কেরিয়ার সম্পর্কেও সে কথা বলা চলে।
advertisement
1/6

জীবন কখন কীভাবে কার পরীক্ষা নেয়, তা বোঝা মুশকিল! যারা টিকে যায়, তাদের আর কোনও কিছু নিয়ে ভাবতে হয় না। আকাশ দীপের কেরিয়ার সম্পর্কেও সে কথা বলা চলে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ছয় মাসের মধ্যে তার বাবা এবং বড় ভাই উভয়কেই হারান, মা এবং বোনদের দেখাশোনার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তখন পরিবারে তিনি। পরিবারের ভরণপোষণ অগ্রাধিকার হয়ে ওঠায় ক্রিকেট স্থগিত রাখতে হয়েছিল। তিন বছর ধরে তিনি বিহারের সোন নদীতে দিন পিছু ১৫০ টাকায় বালি বোঝাই করেছেন।
advertisement
2/6
একসময়ে ক্রিকেটের স্বপ্ন পূরণের জন্য কলকাতায় চলে আসেন এবং বাকিটা ইতিহাস।২০১৫ সালে আকাশ দীপ তাঁর বাবাকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় হারান। মাত্র ছয় মাস পর, তাঁর বড় ভাই ধীরজও মারা যান। ১৯ বছর বয়সে তিনি তাঁর মা এবং বোনদের জন্য একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখার অনুমতি তখন জীবন দেয়নি- বেঁচে থাকাটাই ছিল সবার আগে দরকার!বাবা এবং ভাইকে হারানোর পর আকাশ তিন বছর ধরে ক্রিকেট পুরোপুরি ছেড়ে দেন।
advertisement
3/6
বিহারের সোন নদীর কাছে প্রতিদিন মাত্র ১৫০ টাকা মজুরিতে বালি বোঝাইয়ের কাজ করেছেন। প্রতি টাকা পরিবারের খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে দিতে হত। আকাশ যখন প্রথম ক্রিকেট খেলতে কলকাতায় পৌঁছন, তখন তিনটি বড় ক্লাব - ইউনাইটেড সিসি, ওয়াইএমসিএ এবং কালীঘাট - তাঁকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। তাঁরা বিহারের এই বোলারের মধ্যে কোনও সম্ভাবনা দেখতে পায়নি। এখন যদিও তিনিই ভারতের পেস বোলিংয়ের আশা।
advertisement
4/6
বাংলায় তাঁর প্রথমদিকের বছরগুলোতে একটি গুরুতর পিঠের আঘাতে আকাশের কেরিয়ার হুমকির মুখে পড়েছিল। ডাক্তাররা হতাশা ছিলেন, কিন্তু কোচ সৌরাশিস লাহিড়ি হাল ছাড়তে রাজি হননি। কয়েক মাসের পরে ফিরে আসা তাঁকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।
advertisement
5/6
এজবাস্টনে তাঁর ঐতিহাসিক ১০ উইকেট শিকারের মাত্র দুই মাস আগে আকাশের বড় বোন জ্যোতির কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন, আরও ছয় মাস চিকিৎসার প্রয়োজন। আকাশ তাঁর প্রতিটি উইকেট বোনের লড়াইয়ের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
advertisement
6/6
গ্রামীণ বিহারে ক্রিকেটকে এক অসম্ভব স্বপ্নের মতো মনে হত যার কোনও ভবিষ্যৎ নেই। যখন কোচ রণদেব বসু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিহারের এক প্রতিভাবান কিন্তু অপুষ্টিতে ভোগা ছেলের কথা বললেন, তখন সৌরভের প্রতিক্রিয়া ছিল এরকম: ‘‘ঠিক আছে, ওকে রাখো’’। এই কয়েকটা শব্দই আকাশের জীবনের পুরো পথ বদলে দিয়েছিল। বাংলা দলে আকাশের পরামর্শদাতা হয়ে ওঠেন মহম্মদ শামি, তিনি আকাশকে ধৈর্য এবং বোলিং শৃঙ্খলা শেখান। শামির পরামর্শ ছিল সহজ: শুরুতেই খুব বেশি কিছু করার চেষ্টা করো না, ধারাবাহিকতার উপর মনোযোগ দাও। এখন আকাশ সেই জ্ঞান ব্যবহার করে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যানদের ঝামেলায় ফেলেন!