West Bengal news: বাড়িতে কার যেন নিঃশ্বাসের শব্দ! দেওয়ালের পিছনেই লুকিয়ে পাঁচ ফুটের সেই ভয়ঙ্কর প্রাণী
- Published by:Ratnadeep Ray
- Reported by:Saradindu Ghosh
Last Updated:
West Bengal news: বাড়ির ভেতর ফোঁস ফোঁস শব্দ। তা শুনেই বিপদ আঁচ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। দেখেন টিনের দেওয়ালের গায়ে বাসা বেঁধেছে বিষধর। তবে তাঁরা তাকে মারার কোনও চেষ্টা না করে বন দফতরে খবর দেন।
advertisement
1/5

বাড়ির ভেতর ফোঁস ফোঁস শব্দ। তা শুনেই বিপদ আঁচ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। দেখেন টিনের দেওয়ালের গায়ে বাসা বেঁধেছে বিষধর। তবে তাঁরা তাকে মারার কোনও চেষ্টা না করে বন দফতরে খবর দেন। সেই খবর পেয়ে ওই ঘর থেকে প্রায় ৫ ফুট লম্বা একটি চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করল বন দফতর। সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বনকর্মীরা।
advertisement
2/5
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চন্দ্রবোড়া ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ। এটি উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি। এটি রাসেলস ভাইপার নামেও পরিচিত। চন্দ্রবোড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে দেখা যায়।
advertisement
3/5
এটি পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়, বিশেষ করে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও বাঁকুড়া জেলার গ্রাম অঞ্চলে ভয়ের অন্যতম কারণ। আগে শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এ সাপ দেখা যেত। যে কারণে এটি বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ বলেই পরিচিত ছিল। চন্দ্রবোড়া অতি বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।
advertisement
4/5
সর্পবিশারদরা বলছেন, চন্দ্রবোড়া সাধারণত ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের ক্ষেত, বিশেষত নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত ও কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। স্থলভাগের সাপ হলেও এটি জলে দ্রুতগতিতে চলতে পারে। ফলে বর্ষাকালে কচুরিপানার সঙ্গে বহুদূর পর্যন্ত ভেসে নিজের স্থানান্তর ঘটাতে পারে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ খেয়ে থাকে। খাবারের খোঁজে চন্দ্রবোড়া অনেক সময় বসত বাড়িতে চলে আসে।
advertisement
5/5
চন্দ্রবোড়া সাধারণত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আক্রমণ করে না। তবে তাকে বিরক্ত করলে সে প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীতে প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার একটি বড় অংশ এই চন্দ্রবোড়ার কামড়ে মারা যায়। তবে এই সাপ প্রধানত এক জায়গায় চুপ করে পড়ে থাকে। মানুষ বা বড় কোনো প্রাণী সামনে খুব জোরে জোরে হিস্ হিস্ শব্দ করে। তখন তাকে বিরক্ত করা হলে সে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছোবল মারতে পারে। তাই তাকে বিরক্ত না করে বা মেরে ফেলার পরিকল্পনা না নিয়ে বাসিন্দারা বন দফতরে খবর দিয়ে সঠিক কাজ করেছেন।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bengal news: বাড়িতে কার যেন নিঃশ্বাসের শব্দ! দেওয়ালের পিছনেই লুকিয়ে পাঁচ ফুটের সেই ভয়ঙ্কর প্রাণী