Sundarbans: শীতে লোকালয়ে বাঘের হানা কমবে! সুন্দরবনের ৮৩ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে 'ফেন্সিং', দেখুন সেই ঝলক
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Suman Saha
Last Updated:
Sundarbans News: সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বাঘের প্রবেশ রোধ করতে মাতলা রেঞ্জের ১২ কিলোমিটারের অধিক এলাকা ফেন্সিং নেটে মোড়া। বন ও লোকালয়ের সংযোগস্থলে ফেন্সিং নেট ব্যবহার করা হয়। ফেন্সিং বসানোর কাজটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা প্রতি বছর বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে কিস্তিতে সম্পন্ন করা হয়।
advertisement
1/7

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বনদফতর হল পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক বনবিভাগ। এই বিভাগের প্রধান কাজ হল সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের একটি বিশাল অংশের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করা। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)
advertisement
2/7
সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বন বিভাগ হল পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক বনবিভাগ। এই বিভাগের প্রধান কাজ হল সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের একটি বিশাল অংশের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা। এটি শুধুমাত্র ভারতের জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
advertisement
3/7
এই বনবিভাগের প্রধান কর্মক্ষেত্র হল সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। যার মধ্যে সুন্দরবনের নন-টাইগার রিজার্ভ এলাকাগুলি অন্তর্ভুক্ত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রধান রক্ষক হিসেবে কাজ করে। ম্যানগ্রোভ বন উপকূলকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে অপরিহার্য।
advertisement
4/7
এই বন বিভাগের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার-সহ হরিণ, বন্য শুয়োর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হাঙর, কচ্ছপ, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ-সহ কুমিরের মতো বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, অবৈধ বনজ সম্পদ আহরণ এবং জঙ্গল দখল প্রতিরোধ করা।
advertisement
5/7
এছাড়াও নিয়মিত ম্যানগ্রোভ রোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে বনাঞ্চল বৃদ্ধি করা। বনি ক্যাম্প সজনেখালি, সুধন্যখালি এবং দোবাঁকির মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশবান্ধব পর্যটন পরিচালনা করা। বন সংলগ্ন স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে যৌথভাবে বনের সুরক্ষার জন্য কাজ করা এবং তাদের বিকল্প জীবিকা অর্জনে সহায়তা করা।
advertisement
6/7
বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে থাকা সজনেখালি বন্যপ্রাণী এটি সুন্দরবনের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এবং প্রধান প্রবেশদ্বার। এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও বিভিন্ন জলচর পাখির দেখা মেলে। লোথিয়ান দ্বীপ একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল যা বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর বাসস্থান। ভগবতপুর কুমির প্রকল্প লবণাক্ত জলের কুমির সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
advertisement
7/7
বন ও বন্যপ্রাণী, বিশেষত বাঘের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাত কমানো। এই উদ্দেশ্যে বন ও লোকালয়ের সংযোগস্থলে ফেন্সিং নেট বা জাল ব্যবহার করা হয়। ফেন্সিংয়ের উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বাঘের প্রবেশ রোধ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বনদফতর সাধারণত উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন ইনসুলেটেড ব্রেইডেড স্টেইনলেস স্টিল রোপ নেট ব্যবহার করে, যা বাঘ-প্রতিরোধী ফেন্সিং হিসেবে পরিচিত। (ছবি ও তথ্য সুমন: সাহা)
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Sundarbans: শীতে লোকালয়ে বাঘের হানা কমবে! সুন্দরবনের ৮৩ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে 'ফেন্সিং', দেখুন সেই ঝলক