TRENDING:

Child Marriage: ৩০টি বাল্যবিবাহ রোধ, শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াই, এই শিক্ষকের কর্মকাণ্ড শুনলে শিক্ষক দিবসে স্যালুট জানাবেন আপনিও

Last Updated:
Child Marriage: কাঁথির শিক্ষক নিরঞ্জন মান্না, সাধারণ শিক্ষকতার গণ্ডী পেরিয়ে যিনি হয়ে উঠেছেন গ্রামের মানুষের আশা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্কুলছুটদের আবার স্কুলমুখী করা থেকে শুরু করে করোনার অন্ধকার সময়েও নিজেই শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন আলো। শিশুশ্রম রোধ থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ ঠেকানো, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার লড়াই সমাজে নতুন নজির তৈরি করেছে।
advertisement
1/6
গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্কুলছুটদের ফিরিয়ে এনেছেন, তার ঝুলিতে এসেছে শিক্ষারত্ন! 
কাঁথির শিক্ষক নিরঞ্জন মান্না, সাধারণ শিক্ষকতার গণ্ডী পেরিয়ে যিনি হয়ে উঠেছেন গ্রামের মানুষের আশা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্কুলছুটদের আবার স্কুলমুখী করা থেকে শুরু করে করোনার অন্ধকার সময়েও নিজেই শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন আলো। শিশুশ্রম রোধ থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ ঠেকানো, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার লড়াই সমাজে নতুন নজির তৈরি করেছে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর ঝুলিতে এসেছে শিক্ষারত্ন সম্মান। শিক্ষক দিবসের দিনে তার এই মানবিক উদ্যোগে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সকলে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্কুলছুটদের ফিরিয়ে এনেছেন, তার ঝুলিতে এসেছে শিক্ষারত্ন! 
কাঁথি এক ব্লকের খলিসাভাঙ্গা হাইস্কুলের এই প্রধান শিক্ষক তিনি। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকলেও নিরঞ্জনের কাজ থেমে থাকেনি। প্রতিদিন নিয়মিত করে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী বাড়িতে ফোন করে খবর নিতেন। বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পড়িয়েছেন। অনেক পরিবারে আর্থিক অসুবিধার কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলছুট হয়ে যাচ্ছিল। তখন তিনি অভিভাবকদের বোঝান, শিক্ষা ছাড়া ভবিষ্যৎ সম্ভব নয়। নিজের খরচে অনেক সময় খাতা-কলম পৌঁছে দিয়েছেন। এতে অনেকেই আবার পড়াশোনায় ফিরেছে। সমাজের প্রতি তার এই ত্যাগী মনোভাব শিক্ষাজগতে প্রশংসিত হয়েছে।
advertisement
3/6
গ্রামে কোথাও বাল্যবিবাহের খবর পেলে নিরঞ্জন মান্না সরাসরি সেই বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি মেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন। তার প্রচেষ্টায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০টি বাল্যবিবাহ রোধ করা গেছে। শুধু তাই নয়, তিনি মেয়েদের উচ্চশিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। আজ অনেক পরিবার নির্ভয়ে কন্যাসন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছে। শিক্ষকের এই মানবিক লড়াই সমাজকে অন্য দিশা দেখাচ্ছে।
advertisement
4/6
যখনই কোনও কারখানায় শিশু শ্রমিক দেখেছেন, তখনই উদ্যোগ নিয়ে তাদের স্কুলে ভর্তি করেছেন। শিশুশ্রমের অন্ধকার থেকে শিশুদের আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। এভাবে বহু শিশুর জীবনে নতুন স্বপ্ন জাগিয়েছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় অভিভাবকরাও বুঝতে শিখেছেন যে শ্রম নয়, শিক্ষা দিয়েই ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। সমাজ সচেতনতার জন্য এই কাজ বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
advertisement
5/6
গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, স্কুলে আসতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। অনেক সময় দূরত্ব, আর্থিক সংকট কিংবা অজ্ঞতার কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলছুট হচ্ছিল। এসব বাধা কাটাতে তিনি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর ফলে বহু পরিবার সন্তানদের আবার স্কুলে পাঠিয়েছে।
advertisement
6/6
নিরঞ্জন মান্নার কথায়, “শিক্ষাই একমাত্র শক্তি, যা সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে। তাই আমার প্রথম দায়িত্ব স্কুলছুটদের আবার শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনা। অনেক সময় আর্থিক সংকট, কুসংস্কার কিংবা অজ্ঞতার কারণে শিশুরা পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। কিন্তু আমি চাই, কোনও শিশুই যেন শ্রম বা বাল্যবিবাহের অন্ধকারে হারিয়ে না যায়। অন্তত একজন শিশুকেও যদি স্কুলে ফিরিয়ে আনতে পারি, সেটাই শিক্ষক হিসেবে আমার গর্ব।”
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Child Marriage: ৩০টি বাল্যবিবাহ রোধ, শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াই, এই শিক্ষকের কর্মকাণ্ড শুনলে শিক্ষক দিবসে স্যালুট জানাবেন আপনিও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল