TRENDING:

Durga Puja 2023: পুজোয় ঘুরে আসুন হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ কলকাতার কাছেই এই জায়গায়, মুগ্ধ হবেন

Last Updated:
গোবর্ধননন্দ বাহুবলীন্দ্র প্রথম ময়না গড়ে রাজধানী স্থাপন করেন। হাজার বছর ধরে পূজিত হয়ে চলেছেন রঙ্কিনী দেবী। দূর্গা পূজার চার দিন বিশেষ রূপে পূজিত হন রঙ্কিনী দেবী।
advertisement
1/13
পুজোয় ঘুরে আসুন হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ কলকাতার কাছেই এই জায়গায়, মুগ্ধ হবেন
দুই প্রশস্ত পরিখা দ্বারা বেষ্টিত ভূখণ্ড ময়না গড়। হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্মী। ধর্মমঙ্গল খ্যাত লাউসেন গৌড় থেকে তার রাজধানী ময়না স্থানান্তরিত করে। কলিঙ্গ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত 'জলৌতি দণ্ডপাট'-এর অধিকারী ছিল বাহুবলীন্দ্র রাজপরিবারের পূর্ব পুরুষেরা।
advertisement
2/13
'জলৌতি দণ্ডপাট' এর রাজধানী ছিল বালিসীতা গড়। এই বালিসীতা গড় থেকেই ১৫৬১ সালে বাহুবলীন্দ্র রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ গোবর্ধননন্দ বাহুবলীন্দ্র প্রথম ময়না গড়ে রাজধানী স্থাপন করেন। হাজার বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন রঙ্কিনী দেবী। দূর্গা পূজার চার দিন বিশেষ রূপে পূজিত হন রঙ্কিনী দেবী।
advertisement
3/13
ময়না গড় দুটি পরীখা দ্বারা বেষ্টিত। কালিদহ মাকড়দহ দুই প্রশস্ত পরিখা আলাদা করে রেখেছে ময়না গড়কে। শত্রুর আক্রমণ হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুটি প্রশস্ত পরিখা কাটা হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একসময় এই পরিখাগুলিতে কুমীর ছাড়া থাকত।
advertisement
4/13
এছাড়াও পরিখা বেষ্টিত এই ভূখণ্ডের চারপাশে কাটা জাতীয় বাঁশের বন লাগানো হয়েছিল। ঘন কাঁটা জাতীয় বাঁশের জঙ্গল তীর ধনুক ভেদ করতে পারত না। যা আজও বর্তমান। গড়ের ভেতরে প্রবেশের একমাত্র উপায় নৌকো। বর্তমানে বাহুবলীন্দ্র রাজপরিবারের কিছু সদস্যরা এখনও এই গড়ে বাস করেন। যাদের নিত্যপ্রয়োজনে নৌকো ঘাটে বাঁধা থাকে।
advertisement
5/13
ময়না গড়ের ভেতরে সর্বধর্ম সমন্বয়ের নিদর্শন বর্তমান। ময়না গড়ের ভেতরে হিন্দু বৌদ্ধ ও মুসলিম ধর্মালম্বীদের জন্য আলাদা আলাদা উপাসনা কেন্দ্র আছে। ধর্মমঙ্গলের লাউসেনের ধর্ম ঠাকুরের পুজোর প্রসঙ্গ যেমন আসবে তেমনি তিন শতাব্দী প্রাচীন হজরত তুর জালাল শাহের দরগাও দেখতে পাবেন। আছে রাজপরিবারের কুল দেবতা শ্যামসুন্দর জিউ।
advertisement
6/13
শ্যামসুন্দর জিউকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর রাসমেলা বসে। ময়না গড়ের রাসমেলার বর্তমান বয়স ৪৬১। রাসমেলা দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনের মেলা। রাস মেলার কমিটি গড়া হয়েছে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে।
advertisement
7/13
ময়নার গড়ের অন্দরে রয়েছে অনেকগুলি দর্শনীয় স্থান। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন শিব মন্দির লোকেশ্বর জিউর মন্দির। এখানে শিবলিঙ্গের অবস্থান ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক নিচে।
advertisement
8/13
নদীর জোয়ারের সময় শিবলিঙ্গ উপরে উঠে আসে। এই মন্দিরের সঙ্গে কাঁসাই নদীর সংযোগ রয়েছে। আজও কাঁসাই নদীর জোয়ারের সময় শিবলিঙ্গ উপরে উঠে আসে আবার ভাটার সময় নিচে নেমে যায়।
advertisement
9/13
পাশেই আছে রঙ্কিনী দেবীর মূর্তি। এক হাজার বছরের প্রাচীন মূর্তি। সারাবছরের নিত্য পূজার পাশাপাশি। দুর্গাপূজার সময় বিশেষ পূজা হয় এই চারদিন।
advertisement
10/13
পুরনো রাজবাড়ি, রাজদরবার কাছারিবাড়ি, গুপ্ত ঘর এসবের পাশাপাশি রয়েছে ২০০ বছরের প্রাচীন কাঁঠাল গাছ। কাঁঠাল গাছের বর্তমানে কাণ্ড খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শ্যামসুন্দর জিউর মন্দিরের পাশে রয়েছে এই কাঁঠাল গাছ।
advertisement
11/13
এছাড়াও অন্যতম দর্শনীয় জায়গা আয়না পুকুর।পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম প্রাচীন জনপদ। ২০০৬ সালে ময়না গড় হেরিটেজ ঘোষণা হয়। পর্যটন মানচিত্রে স্থান পেলেও গড়ে ওঠেনি পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার জন্য কোনও অতিথিশালা। ময়নাগড়ে পৌঁছাতে হলে রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
advertisement
12/13
ময়নায় আসার রাস্তা দু দিক দিয়েই আছে। বলাইপণ্ডা মেচেদা রাজ্য সড়ক ময়না গড়ের কাজ দিয়েই চলে গেছে। ট্রেনে মেছাদা স্টেশন থেকে ময়নাগামী বাস উঠে ময়না বাজারে নেমে ময়না গড়ে আসা যায়। মেছাদা ময়নার দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে বাসে করে নিমতৌড়ি বাসস্ট্যান্ডে নেমে ময়না আসা যায়। নিমতৌড়ি থেকে ময়নার দূরত্ব ৭ কিলোমিটার। মেছেদা, নিমতৌড়ি ও তমলুক থেকে প্রচুর বাস, টোটো, ট্রেকার ছোট কারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর যাতায়াত করছে ফলে যাতায়াতের কোনও অসুবিধা নেই ময়নাগড়ে আসার।
advertisement
13/13
ময়নাগড়ে থাকার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেই। সারাদিন ময়নাগড় থেকে সন্ধে নামার আগেই নৌকায় করে ময়না বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসতে হবে। খাওয়ার সঙ্গে করে নিয়ে যেতেও পারেন। এছাড়া আগে থেকে বলে রাখলে ময়না রাজবাড়ীর কুল দেবতার ভোগ প্রসাদ পেয়ে যাবেন দুপুরে। রাজপরিবারের নৌকোয় করে পরিখা প্রদক্ষিণ করতে পারেন। নৌকোয় বসে পরিখা থেকে গড়ের ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত। তাই বর্তমানে কিছু ছবি শিকারি দল ও ইতিহাস প্রেমী মানুষজনের ময়নাগড়ে আসছে। দুর্গাপূজায় এক বেলা ময়নাগড়ে কাটিয়ে যাওয়ায় আদর্শ জায়গা।
বাংলা খবর/ছবি/পূর্ব মেদিনীপুর/
Durga Puja 2023: পুজোয় ঘুরে আসুন হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ কলকাতার কাছেই এই জায়গায়, মুগ্ধ হবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল