Red Sandalwood: এত ঝুঁকি নিয়েও কেন কাঠ পাচার করে পুষ্পা? রক্তচন্দনে লুকিয়ে কী রহস্য! কেন এত দামি 'লাল সোনা'?

অল্লু অর্জুনের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'পুষ্পা ২: দ্য রুল' মুক্তি পেয়েছে গত ৫ ডিসেম্বর । তিন বছর আগে ২০২১ সালের সুপারহিট ছবি 'পুষ্পা: দ্য রাইজ়' ছবির দ্বিতীয় ভাগ এটি। এই সিনেমার মূল চরিত্র এক জনই, পুষ্পারাজ। প্রথম ছবির মতো তাকে ঘিরেই গল্প আবর্তিত হয়েছে। সেই চরিত্রকে পর্দায় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দক্ষিণী তারকা অল্লু। প্রতীকী ছবি

এই ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে রক্তচন্দন কাঠের পাচার নিয়েই। মূল চরিত্র পুষ্পা কী ভাবে এই কাঠ পাচার করে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে, ছবির প্রতিটি পদে সেই দৃশ্যই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। প্রতীকী ছবি

কিন্তু, এ তো গেল সিনেমার গল্প। তবে, মনে রাখতে হবে সিনেমার মতো বাস্তবে দাঁড়িয়েও লাল চন্দন বা রক্তচন্দনের গাছ বহুমূল্য একটি জিনিস। প্রতীকী ছবি

রক্তচন্দনকে এ দেশে 'লাল সোনা' বলে অভিহিত করা হয়। সোনার মতোই মূল্যবান এই গাছ। খুবই বিরল প্রজাতির এই গাছ। 'পুষ্পা' ছবিতে যে জঙ্গল দেখানো হয়েছে, রক্তচন্দন দক্ষিণ ভারতের শেষাচলম পাহাড়ের ওই ঘন জঙ্গলেই একমাত্র পাওয়া যায়। প্রতীকী ছবি

মূলত, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু লাগোয়া অন্ধ্রপ্রদেশের চার জেলা— নেল্লোর, কুর্নুল, চিত্তোর এবং কাডাপ্পা জেলায় এই গাছ মেলে। পূর্বঘাট পর্বতের আবহাওয়ায় এই গাছ খুব ভাল হয়। এক একটি গাছের উচ্চতা হয় ৮-১২ মিটার। প্রতীকী ছবি

লাল চন্দন হল একটি 'এনডেমিক স্পিসিস'। 'এনডেমিক স্পিসিস' অর্থে এমন একটি উদ্ভিদ বা প্রাণীর প্রজাতি যা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ এই গাছ ওই অঞ্চল ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না। প্রতীকী ছবি

যেহেতু, প্রাকৃতিক ভাবে 'এনডেমিক স্পিসিস' বিশ্বের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সেহেতু, আন্তর্জাতিক বাজারে রক্তচন্দনের চাহিদা আকাশছোঁওয়া। প্রতীকী ছবি

মূলত, দু'ধরনের চন্দনকাঠ পাওয়া যায়। একটি সাদা এবং অন্যটি লাল। সাদা চন্দনে সুন্দর গন্ধ থাকলেও লাল বা রক্ত চন্দনে কোনও গন্ধ নেই। প্রতীকী ছবি

কিন্তু এই কাঠের বিশেষ গুণের জন্যই বিশ্ব জুড়ে এর বিপুল চাহিদা। আর সেই চাহিদার কারণেই এই কাঠ পাচার হয় বিপুল পরিমাণে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সঙ্ঘ (আইইউসিএন) ২০১৮-য় এই গাছকে ‘প্রায় বিলুপ্ত’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতীকী ছবি

চোরা কাঠকারবারিদের পাল্লায় এই কাঠ এত বিপুল পরিমাণে কাটা এবং পাচার হয়েছে যে, সারা বিশ্বে আর মাত্র পাঁচ শতাংশ গাছ পড়ে রয়েছে। প্রতীকী ছবি

মূলত, আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে এই কাঠের বিপুল ব্যবহার হয়। হজম, ডায়েরিয়া-সহ বেশি কিছু রোগের চিকিৎসায় এই কাঠ কাজে লাগে। প্রতীকী ছবি

এছাড়াও, মনে করা হয় রক্ত পরিশোধনের গুণ রয়েছে রক্তচন্দন কাঠের। বিভিন্ন ওষধি গুণ ছাড়াও বিভিন্ন শিল্পেও এই কাঠের বিপুল চাহিদা রয়েছে। শিল্প ছাড়াও পূজা-অর্চনা এবং বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্য তৈরিতে বিপুল চাহিদা রয়েছে এই কাঠের। প্রতীকী ছবি

রক্তচন্দন থেকে পাওয়া নির্যাস বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। রক্তচন্দনে বেশ কিছু 'আর্থ মেটাল' পাওয়া যায়। তাও বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতীকী ছবি

রক্তচন্দন প্রাকৃতিক ভাবে আগুন রোধ করতে সক্ষম। কারণ, রক্তচন্দনের কাঠ সহজে পোড়ানো যায় না। পূর্বঘাট এলাকা শুষ্ক হওয়ায় সেখানকার জঙ্গলে অনেক সময়েই দাবানলের ঘটনা ঘটে। প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক বাজারে কেজি প্রতি তিন হাজারেরও বেশি টাকা থেকে এই কাঠ বিক্রি শুরু হয়। প্রতীকী ছবিভারতে এই গাছ কাটা আইনত কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। তবে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এই কাঠ পাচার হয়। পাচার রোখার জন্য 'রেড স্যান্ডলার্স অ্যান্টি-স্মাগলিং টাস্ক ফোর্স'ও গঠন করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি

অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাকৃতিক ভাবে রক্তচন্দনের দেখা পাওয়া গেলেও এখন ব্যবসায়িক চাহিদা এবং গাছের অস্তিত্ব সঙ্কটের কথা ভেবে অন্য রাজ্যেও এই গাছের চাষ করার চেষ্টা চলছে। প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক স্তরে, চিন, জাপান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং অস্ট্রেলিয়ায় এই কাঠের বিপুল চাহিদা। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চিনে। তাই পাচারও বেশি হয় ওই দেশে। আসবাব, ঘরসজ্জা এবং বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে সে দেশে এই কাঠের চাহিদা খুব বেশি। প্রতীকী ছবি