Plane Engine: বিমান ওড়ার ঠিক আগেই কেন ইঞ্জিনে ছুড়ে মারা হয় জ্যান্ত গোটা মুরগি? ৯৯% মানুষই আসল কারণ জানেন না, আপনি বলুন তো?
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Plane Engine: বিমান ওড়ার আগে পাখির আঘাতের (পাখিটিকে আঘাত করা) ক্ষেত্রে বিমানের শক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়। সেই কারণে প্লেন ওড়ার আগে ইঞ্জিনে মুরগি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
1/10

*যখনই কোনও বিমান ওড়ে বা অবতরণ করে, সেটি মাটির সবচেয়ে কাছে থাকে। এই সময় আকাশে উড়তে থাকা পাখিদের বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। আপনি হয়তো ভাবছেন একটি ছোট পাখি এত বড় বিমানের কী ক্ষতি করতে পারে? কিন্তু না, এই ছোট্ট পাখিও হয়ে উঠতে পারে বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ...সংগৃহীত ছবি।
advertisement
2/10
*প্রকৃতপক্ষে, যখন কোনও বিমান প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়ে, তখন একটি ছোট সংঘর্ষও মারাত্মক হতে পারে। অনেক সময় বিমানের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষের কারণে বিমানের উইন্ডশিল্ড (সামনের গ্লাস) ভেঙে যায় এবং পাইলটও আহত হন। পাখিটি বিমানের ইঞ্জিনে ঢুকে গেলে ব্লেড ভেঙে যেতে পারে, আগুন ধরে যেতে পারে এবং ইঞ্জিনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার কারণে বিমানটি মুহূর্তে ধংস হয়ে যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
3/10
*বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থা এবং সরকার নিশ্চিত করে, বিমান ওড়ার আগে পাখির আঘাতের (পাখিটিকে আঘাত করা) ক্ষেত্রে বিমানের শক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়। সেই কারণে প্লেন ওড়ার আগে ইঞ্জিনে মুরগি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
4/10
*বিমান ওড়ার আগে ইঞ্জিন পরীক্ষা করার জন্য মুরগি নিক্ষেপ করা হয়। আপনার কাছে এটি অদ্ভুত লাগতে পারে, তবে এটি একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। বিমানে পাখির সংঘর্ষের প্রভাব জানতে 'চিকেন গান' নামে একটি বিশেষ মেশিন ব্যবহার করা হয়। এটি বাতাসে ভরা একটি বড় এয়ার কামান। তারপরে, এটি বিমানের উইন্ডশীল্ড, উইং এবং ইঞ্জিনে স্থাপন করা হয়। মেশিনের গতি এমনভাবে সেট করা হয়, যেটা সত্যিকারের পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার মতো রাখা হয়। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
5/10
*এই পরীক্ষা করা হয় যাতে বিমানের গ্লাস এবং ইঞ্জিনের প্রকৃত অবস্থা পরীক্ষা করা যায়। এই পরীক্ষাটি সাধারণত পরীক্ষাগারে করা হয়। পরীক্ষাগারে মুরগিকে আঘাত করার পরে, ইঞ্জিনিয়াররা উচ্চ-গতির ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করে এবং তারপরে ক্ষতি বিশ্লেষণ করে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
6/10
*ইঞ্জিনের এই পরীক্ষা বাস্তবে আসল মুরগি দিয়ে করা হয়। কারণ তার ওজন, আকৃতি এবং টিস্যু আকাশে উড়ন্ত পাখির অনুরূপ। আজকাল এই পদ্ধতিটি সমস্ত বড় বিমান নির্মাতা সংস্থা গ্রহণ করছে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
7/10
*বিমান ওড়ার আগে বিশেষ পরীক্ষা করা হয়, যাকে বলা হয় 'বার্ড স্ট্রাইক টেস্ট'। প্রথমত, বিমানের যে অংশগুলো পরীক্ষা করতে হবে, যেমন ইঞ্জিন, ককপিটের উইন্ডশিল্ড ও উইং ইত্যাদি একটি শক্ত ফ্রেমে লাগানো থাকে। এরপরেই ইঞ্জিন পরীক্ষা করার জন্য কী ফেলে দেওয়া হবে তা স্থির করা হয়। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
8/10
*মরা মুরগি বা নকল পাখি বা জিলেটিন বল এই টেস্টের জন্য ব্যবহার হয়। সাধারণত আসল মুরগি ফেলে দেওয়া হয়। এরপর এমনভাবে একটি বিশেষ এয়ারগান বা কামানের মতো মেশিন বসানো হয়, যাতে তা ওড়ার সময় বিমানের গতির সমান গতিতে (৩০০-৫০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) মুরগিকে নিক্ষেপ করে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
9/10
*বাতাসে এই সংঘর্ষ হলে বিমানের কী ক্ষতি হতে পারে? বিমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশে মুরগি ফেলা হলে প্রতি মুহূর্তের রেকর্ড হয় দ্রুতগতির ক্যামেরায়। দেখা হয় কতটা ক্ষতি হয়েছে এবং কোথায় হয়েছে। প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা তখন দেখেন ইঞ্জিনের ব্লেড ভেঙে গিয়েছে কিনা, উইন্ডশিল্ড ভেঙেছে কিনা, বিমানের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা। বড় ধরনের কোনও ক্ষতি না হলে বিমান উড়তে পারে। ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন শর্ত রয়েছে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
10/10
*সাধারণত একটি বিমানের ইঞ্জিনের পরীক্ষায় টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ভিন্ন হয়ে থাকে।এমনকি বিমানের ইঞ্জিনে মুরগি আটকে গেলেও তাকে ৭৫% থ্রাস্ট (পূর্ণ শক্তির ৭৫%) দিয়ে কমপক্ষে ২ মিনিট কাজ করতে হয়। এটি প্রয়োজনীয় যাতে পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য সময় পান। এই পরীক্ষাটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানদণ্ডের অংশ এবং কোনও বিমান এটি পাস না করে উড়তে পারে না। সংগৃহীত ছবি।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Plane Engine: বিমান ওড়ার ঠিক আগেই কেন ইঞ্জিনে ছুড়ে মারা হয় জ্যান্ত গোটা মুরগি? ৯৯% মানুষই আসল কারণ জানেন না, আপনি বলুন তো?