Knowledge Story: খান তো রসিয়ে...কিন্তু, বলুন তো রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে? ৯৯.৯৯% বাঙালিই দেন ভুল উত্তর...আর আপনি!

ভাত-মাছ-মিষ্টি৷ এই তিন দিয়েই বোধহয় একজন বাঙালিকে চিহ্নিত করে ফেলা যায়৷ বাঙালির ভাতের সঙ্গে চাই মাছ৷ আর শেষ পাতে চাই মিষ্টিমুখ৷ আর সেই মিষ্টি যদি রসগোল্লা হয়, তাহলে তো কথাই নেই৷

বাঙালির প্রিয় মিষ্টির তালিকায় অনেক কিছুরই নাম রয়েছে বোধহয়৷ মিষ্টি দই, জলভরা তালশাঁস সন্দেশ, রাবড়ি, ক্ষীরকদম, মোয়া..এমন আরও কত কী! কিন্তু, বাঙালির মিষ্টির সাম্রাজ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে অবশ্যই রসগোল্লা৷

মিষ্টির দোকানে গেলেই যে মিষ্টির দিকে সবার আগে নজর যায়, তা হল রসগোল্লা। বাঙালির সিগনেচার মিষ্টি। বাড়িতে রসগোল্লা নিয়ে এলে টপটপ মুখে দিত দারুণ লাগে ৷ আবার বাইরেও মিষ্টি খেলে রসগোল্লা (Rasgulla/Rosogolla) সবারই প্রায় ‘ফার্স্ট চয়েজ ’ ৷

ইতিহাসের এক দাবি অনুসারে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম রসগোল্লা প্রস্তুত করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার ফুলিয়ার হারাধন ময়রা আদি রসগোল্লার সৃষ্টিকর্তা ছিলেন। তবে, কলকাতার নবীনচন্দ্র দাস আধুনিক স্পঞ্জ রসোগোল্লার আবিষ্কর্তা। শোনা যায়, ১৮৬৪ সালে চিৎপুরে মিষ্টির দোকান করেন বিখ্যাত ময়রা নবীনচন্দ্র দাস। চার বছরের চেষ্টার পর ১৮৬৮ সালে বিশ্বের প্রথম তুলতুলে স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরি করেন তিনি।

এই রসগোল্লাকে কার? পশ্চিমবঙ্গ না ওড়িশার? এ নিয়ে দেশের এই দুই রাজ্যের মধ্যে দারুণ লড়াই চলেছিল বেশ কিছুদিন ৷ ওড়িশা দাবি করে, রসগোল্লার উৎপত্তি ওই রাজ্যেই ৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য আইনি লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গই জয়লাভ করে এবং রসগোল্লার জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা GI ট্যাগ পায় এ রাজ্যই ৷

কিন্তু, এসব তো গেল ইতিহাসের কচকচানি৷ এই প্রতিবেদনে আমাদের প্রশ্ন, রসগোল্লা তো ভীষণমাত্রায় একটা বাঙালি শব্দ৷ কিন্তু, জানেন কি, এই রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে? কিন্তু ইংরেজি অভিধানে এই মিষ্টির একটা আলাদা নাম উল্লেখ করা রয়েছে কিন্তু!

রসগোল্লার ইংরেজি নাম কী? এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই প্রশ্ন ৷ ৯৯ শতাংশ মানুষই যার উত্তর দিতে পারেননি ৷ জানলে অবাক হবেন, ইংরেজিতে রসগোল্লাকে বলা হয় ‘সিরাপ ফিল্ড রোল’ (Syrup Filled Roll)। গুগলে যদিও Rasgulla-ই বলেই লেখা রয়েছে এখন ৷ ‘সিরাপ ফিল্ড রোল’ নামের ব্যবহার এখন প্রায় আর হয় না বললেই চলে ৷