Flight Black Box: বিমানের ব্ল্যাক বক্স কী? দুর্ঘটনার কারণ বলে দেয় এই বাক্স, আগুনও পোড়াতে পারে না!
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Flight Black Box- ব্ল্যাক বক্স একটি যন্ত্র যাতে বিমান ওড়ার সময় থেকে অবতরণ পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা রেকর্ড করা থাকে। এটিকে বিমানের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারও’ বলা হয়।
advertisement
1/8

আহমেদাবাদে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। উড়ানের পরই ভেঙে পড়ল বিমানটি। লন্ডনগামী সেই বিমানে প্রচুর জ্বালানি ছিল। ফলে আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি। আর তাই উদ্ধারকাজে সমস্যা বেড়েছে।
advertisement
2/8
বিমান দুর্ঘটনা মানেই ধ্বংসাবেশেষ পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে কেন বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সমস্যা হয় তদন্তকারীদের। তা হলে উপায় কী! সেই উপায় রয়েছে। এই জন্যই আবিষ্কার হয়েছিল বিমানের ব্ল্যাক বক্স।
advertisement
3/8
১৯৫৩-৫৪ সালে বিমান দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় একটি ডিভাইস তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছিল। যাতে সেটি বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে! সেটি দুর্ঘটনা থেকে বিমানকে বাঁচাতেও সাহায্য করতে পারে। প্রথম দিকে এটি লাল রঙের ছিল এবং ‘রেড এগ' নামে পরিচিত ছিল। ডিভাইসের ভিতরের দেয়ালগুলি কালো রঙের ছিল, তাই পরবর্তীতে এটি ‘ব্ল্যাক বক্স’ নামে পরিচিতি পায়।
advertisement
4/8
ব্ল্যাক বক্স একটি যন্ত্র যাতে বিমান ওড়ার সময় থেকে অবতরণ পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা রেকর্ড করা থাকে। এটিকে বিমানের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারও’ বলা হয়। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ব্ল্যাক বক্স সাধারণত বিমানের পিছনের দিকে রাখা হয়। এটি টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি। একটি টাইটানিয়াম বাক্সে আবদ্ধ থাকে সেটি।
advertisement
5/8
ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে দুটি আলাদা বক্স থাকে: ১. ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার: এই বক্সে ফ্লাইটের দিকনির্দেশ, উচ্চতা, জ্বালানি, গতি, টার্বুলেন্স ও কেবিনের ভিতরের নানা তথ্য থাকে। প্রায় ২৫ ঘণ্টা ধরে 88 ধরনের বিভিন্ন ডেটা রেকর্ড করতে পারে এটি।
advertisement
6/8
আরেকটি হল ককপিট ভয়েস রেকর্ডার: এই বক্সটি শেষ দুঘণ্টার মধ্যে বিমানের মধ্যে ঘটে যাওয়া শব্দ রেকর্ড করে। এটি ইঞ্জিন, ইমার্জেন্সি অ্যালার্ম, কেবিন এবং ককপিটের শব্দ রেকর্ড করে যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগে বিমানের অবস্থার পূর্বাভাস দেওয়া যায়।
advertisement
7/8
ব্ল্যাক বক্স শক্তিশালী ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। এটি কোনও বিদ্যুৎ ছাড়াই ৩০দিন কাজ করতে পারে। এটি ১১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। বক্সটি কোথাও হারিয়ে গেলে প্রায় ৩০দিন ধরে ভাইব্রেশনের সঙ্গে জোরে আওয়াজ করতে পারে। প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দূর থেকে তদন্তকারীরা এই ভয়েস সনাক্ত করতে পারবেন। সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৪ হাজার ফুট গভীরতা থেকে তরঙ্গ নির্গত করতে পারে।
advertisement
8/8
যদিও ব্ল্যাক বক্স বিমান দুর্ঘটনার কারণ পুরোপুরি জানাতে পারে না। কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। তবে নিঃসন্দেহে এটি বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Flight Black Box: বিমানের ব্ল্যাক বক্স কী? দুর্ঘটনার কারণ বলে দেয় এই বাক্স, আগুনও পোড়াতে পারে না!