TRENDING:

Lightning Strikes on Aircraft: আকাশপথে ভ্রমণকালে বিমান বজ্রপাতের মুখে পড়লে কী কী হতে পারে? জেনে রাখুন আগেভাগেই

Last Updated:
What Happens if Lightning Strikes an Aircraft: কখনও ভেবে দেখেছেন, বিমানের উপরে বাজ পড়লে কী হতে পারে? ব্যাপারটা কি আদৌ বিপজ্জনক? সেই বিষয়টাই আজ জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
1/6
আকাশপথে ভ্রমণকালে বিমান বজ্রপাতের মুখে পড়লে কী কী হতে পারে? জেনে রাখুন আগেভাগেই
মূলত গ্রীষ্মকালকেই বজ্রবিদ্যুতের মরশুম হিসেবে গণ্য করা হয়। আকাশে বিমান ওড়ার সময়ে কখনও কখনও সেই উড়ানের উপরেই বজ্রপাত হয়। কিন্তু কেউ কি কখনও ভেবে দেখেছেন, বিমানের উপরে বাজ পড়লে কী হতে পারে? ব্যাপারটা কি আদৌ বিপজ্জনক? সেই বিষয়টাই আজ জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
2/6
বিমানের উপর বজ্রপাত কিন্তু ততটাও বিপজ্জনক নয়। কারণ বাজ পড়ার প্রতিঘাত যাতে সহ্য করতে পারে, সেভাবেই ডিজাইন করা হয় বিমানগুলিকে। আর বছরে কয়েক ডজন বার বিমানের উপর বাজ পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তা সত্ত্বেও অবশ্য বিমানচালক বা পাইলটরা বজ্রগর্ভ মেঘ এড়িয়ে চলতেই চেষ্টা করেন।
advertisement
3/6
এমনিতে এক-আধটা বজ্রগর্ভ মেঘ এড়ানো যেতে পারে। তবে অনেক সময় বিমানচালকরা বজ্রগর্ভ মেঘের মধ্যে দিয়েই বিমান চালাতে বাধ্য হন। এর ফলে বিমানের উপর বজ্রপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। ১ থেকে ১০-এরও বেশি উচ্চতায় বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার ঘটে। অধিকাংশ সময়ে টেক অফ অথবা ল্যান্ডিং বা অবতরণের সময়েই বজ্রবিদ্যুতের মুখে পড়ে বিমান। কারণ টেক অফ কিংবা ল্যান্ডিংয়ের সময় বিমান কম উচ্চতায় নেমে আসে।
advertisement
4/6
বজ্রবিদ্যুৎ সহন করার ক্ষমতা সম্পন্ন হয় বিমানের কাঠামো: সাধারণত বিমানের ককপিটের অগ্রভাগের অংশই বজ্রবিদ্যুতের মুখে পড়ে। ককপিটের জানলার প্রান্তেই সাধারণ ভাবে এটা হয়ে থাকে। বিমানের অ্যালুমিনিয়ামের কাঠানো খুব ভাল ভাবেই বিদ্যুৎ পরিবহণ করে। এর জেরে বজ্রবিদ্যুৎ বিমানের ভিতরের অংশকে প্রভাবিত করতে পারে না। বজ্রবিদ্যুতের এই ডিসচার্জ বিমানের বাইরের পৃষ্ঠ দিয়ে পরিবাহিত হয় এবং তা ফের বাইরের পরিবেশে বিলীন হয়ে যায়। এটা হয় মূলত বিমানের ডানার অগ্রভাগ, কন্ট্রোল সারফেস এবং বিমানের লেজের অংশ দিয়েই।
advertisement
5/6
বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাই হল প্রথম কথা। একটি বিমানের ধরনের অনুমোদন পাওয়ার জন্য বিমানের প্রস্তুতকারীদের একাধিক সার্টিফিকেশন পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর মাধ্যমে দেখা হয়, বিমানের বজ্রবিদ্যুৎ সংক্রান্ত সুরক্ষা পর্যাপ্ত রয়েছে কি না। সতর্ক ভাবে টেস্ট করার কারণেই বিমানের আরোহী এবং যন্ত্রপাতি নিরাপদে থাকে। বিমানের আরোহীরা অনেক সময় একের পর এক বিদ্যুতের ঝলক দেখতে পান। যা দেখে আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে অবশ্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
advertisement
6/6
ককপিট এবং তার ব্যবস্থাপনা: বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার ঘটলে সেই সময় বিমান যাত্রা এড়িয়েই চলতে চান পাইলটরা। বিমানের মধ্যে থাকে আবহাওয়া সংক্রান্ত একটি রাডার। এর মাধ্যমে জানা যায় বিমানের যাত্রাপথে কোনও বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার ঘটেছে কি না। ফলে সেই পথ এড়িয়ে চলতে পারেন বিমানচালকেরা। যখন রাতে বিমান ওড়ে, তখন পাইলটরা সাধারণত ককপিটের আলো সবথেকে ব্রাইট মোডে দিয়ে দেন। যাতে বজ্রপাত হলে তাঁদের চোখ উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপও করা হয়। টার্বুলেন্সের সময় বিমানের যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পাইলটরা সিট বেল্ট সাইন অন করে দেন।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Lightning Strikes on Aircraft: আকাশপথে ভ্রমণকালে বিমান বজ্রপাতের মুখে পড়লে কী কী হতে পারে? জেনে রাখুন আগেভাগেই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল