Viral News: 'রাতে আমার স্ত্রী বুকের উপর বসে...', দেরিতে কাজে পৌঁছে ব্যাখ্যা কর্মীর, শুনে কী বলল কর্তৃপক্ষ? অবিশ্বাস্য ঘটনা

সোশ্যাল মিডিয়ায় রোজ কত কিছুই না ভাইরাল হয়। সম্প্রতি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি চিঠি, যেখানে একজন পুলিশকর্মী বর্ণনা দিয়েছেন কেন তিনি কাজে দেরিতে পৌঁছন।

চিঠিতে লেখা, 'আমার স্ত্রী এবং আমি ঝগড়া করছি, সে আমার স্বপ্নে আসে, আমার বুকে বসে আমার রক্ত ​​পান করার চেষ্টা করে। যে কারণে রাতে ঘুমাতে পারি না। এ কারণে আমি সময়মতো আসতে পারিনি।'

এটি উত্তরপ্রদেশের আধাসামরিক বাহিনী, প্রদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) এর একজন কনস্টেবলের উত্তর, একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিব্রিফিংয়ের জন্য তাঁর দেরিতে আসার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য লিখেছেন।

এই চিঠি, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক লক্ষ লোক শেয়ার করেছেন, ৪৪তম ব্যাটালিয়ন প্রদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (PAC) কমান্ডারকে লেখা হয়েছিল। পিএসি সেনা একটি নোটিস জারি করেছিল যেখানে ওই কর্মী কেন কাজে অবহেলা করছেন, দেরিতে আসছেন তার জন্য উত্তর চাওয়া হয়েছিল।

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর এই নোটিসটি ডিউটিতে অসদাচরণের জন্য PAC 44-তম ব্যাটালিয়ন জি-স্কোয়াড কমান্ডার মধুসূদন শর্মা জারি করেছিলেন একটি শাস্তিমূলক সতর্কতা হিসেবে।

আগে থেকে জানা সত্ত্বেও কেন আগের দিন সকাল ৯ টায় ডিউটি ​​ব্রিফিংয়ের জন্য দেরি করে এসেছিলেন ওই কর্মী তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয় নোটিসে। নোটিসটি কেন কনস্টেবল দেখেননি এবং বিজ্ঞপ্তিতে বলার পরেও তিনি যৌথ কাজ এবং দলগত গণনার জন্য বারবার দেরি করেছেন এবং বিভাগীয় কাজে আগ্রহের অভাব প্রদর্শন করেছেন তার জবাবদিহি করা হয়।

নোটিস অনুসারে, কনস্টেবল চরম অবহেলা, শৃঙ্খলাহীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়েছিলেন, যা PAC-এর মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে গ্রহণযোগ্য না। নোটিসে দাবি করা হয়েছে যে, তাঁকে একদিনের মধ্যে একটি লিখিত ব্যাখ্যা দল অফিসে জমা দিতে হবে, এতে ব্যর্থ হলে তাঁর বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাঁর জবাবে কনস্টেবল এই অস্বাভাবিক ও আবেগঘন কারণ লিখেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ ডিউটি ​​করতে দেরি করেছিলেন, কারণ তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে রাতে ঘুমাতে পারেননি।

তিনি বলেছেন যে, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর গুরুতর বিরোধ চলছে এবং তাঁর স্বপ্নে সে তাঁর বুকে বসে তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর রক্ত ​​পান করার চেষ্টা করে। এটি তাঁর নিদ্রাহীনতা এবং কষ্টের কারণ ছিল। তিনি বলেন, তিনি বিষণ্নতা এবং বিরক্তির জন্য ওষুধের অধীনে ছিলেন।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তাঁর মা একটি স্নায়ু রোগে ভুগছিলেন, যা তাঁর দুঃখকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে, ৪৪ তম ব্যাটালিয়ন PAC-এর কমান্ড্যান্ট, সত্যেন্দ্র প্যাটেল বলেছেন যে তাঁরা চিঠিটি তদন্ত করছেন।

“এই স্টাফ সদস্য কে? তাঁর সমস্যা কী? পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে,” প্যাটেল বলেছেন, “যদি কোনও ব্যক্তির কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয় তবে তা করা হবে। কারও যদি বিভাগীয় সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তার জন্যও প্রক্রিয়া করা হবে।” (সব ছবি প্রতীকী)