হাতে হিসহিস করছে বিষাক্ত 'সাপ'! সেই দেখিয়ে ৪ যুবককে একে একে ঘরে ঢোকানো হল, তার পর...? ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

সাপের ভয় থাকে অনেকেরই! তাই বলে বিষাক্ত সাপ দেখিয়ে অপহরণ? এমনও হয়? সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে। চার যুবককে অপহরণ করে বিষাক্ত সাপের ভয় দেখিয়ে একটি কুঁড়েঘরে আটকে রাখা হয়।

তাঁদের মধ্যে এক যুবক কোনও মতে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। তার পরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ এবং গ্রামবাসী একসঙ্গে তার পর যা করেছেন, জানলে শিউরে উঠবেন। কী ছিল এই চক্কর? দেখুন।

ওড়িশার গঞ্জাম জেলার এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছে ইতিমধ্যেই! পুরো ঘটনা নুয়াগাঁও থানার অধীনে চিকিটিগড় এলাকায় ঘটেছে। কটক থেকে তিন যুবক এবং দিল্লি থেকে একজন যুবককে অপহরণ করে গঞ্জাম জেলার নুয়াগাঁও থানার অধীনে চিকিটিগড় এলাকায় নুতন পাত্রার বাড়ির পিছনে একটি কুঁড়েঘরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানা যায়। 

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অপহরণকারী বাড়িতে একটি সাপের গর্ত তৈরি করেছিল এবং মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণকারীদের ভয় দেখাতে একটি বড় সাপ ব্যবহার করেছিল।

সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল যে অপহরণকারীরা তাদের একটি বিষাক্ত সাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটক করে রেখেছিল, যাতে তারা পালাতে না পারে। তবে কিছু সময় পরে চারজন অপহৃতদের মধ্যে একজন কোনও ভাবে পালাতে সক্ষম হয় এবং সে গ্রামবাসীদের এ বিষয়ে জানায়। যার ফলে পুলিশ পুরো ঘটনাটি জানতে পারে।

শীঘ্রই, পুলিশ এবং স্থানীয় লোকেরা একে একে চার যুবককে উদ্ধার করে। অপহৃতরা জানান, একটি কোবরা সাপ দিয়ে তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল।

পুরো ঘটনায় পাঁচজনেরও বেশি লোক জড়িত ছিল, যা ২ কোটি টাকার মুক্তিপণের জন্য করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।

ঘটনাস্থলে অবৈধ গাঁজা চাষও পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকদের উদ্ধার করে এবং অবৈধ গাঁজা গাছ ধ্বংস করে। অপরাধের প্রধান অভিযুক্ত নুতন পাত্রা এখনও পলাতক এবং তাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।