চাদর জড়িয়ে বসেছিলেন যুবক, হঠাৎ 'জলের বোতল' বের করতেই শোরগোল! বন্দুক নিয়ে ঘিরে ধরল পুলিশ!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 hindi
Last Updated:
Mathura News: কনস্টেবলরা বন্দুক নিয়ে তাঁর দিকে ছুটে যান। কী ছিল সেই বোতলে? জানলে শিউরে উঠবেন! উত্তর প্রদেশের মথুরা কালেক্টরেট অফিসের সামনে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে।
advertisement
1/7

কালেক্টরেট অফিসের সামনে এক যুবক গায়ে চাদর জড়িয়ে বসে আছেন। কখন বেরোবেন ডিএম সাহেব? হঠাৎ অপেক্ষা করতে করতে সেই ব্যক্তি পকেট থেকে একটি জলের বোতল বের করলেন, তখনই হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। কনস্টেবলরা বন্দুক নিয়ে তাঁর দিকে ছুটে যান।
advertisement
2/7
অনেক কষ্টে তাঁরা যুবকের কাছ থেকে বোতলটি ছিনিয়ে নেন। তাঁকে বকাঝকা করে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কী করছেন। এরপর তিনি কাঁদতে কাঁদতে নিজের সমস্যার কথা জানান। তিনি বলেন, "স্যার, আমি আমার জমি সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার অভিযোগ শোনা হচ্ছে না।"
advertisement
3/7
কী ছিল সেই বোতলে? জানলে শিউরে উঠবেন! উত্তর প্রদেশের মথুরা কালেক্টরেট অফিসের সামনে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে। সূত্রের খবর, মান্ত তহসিলের নাসিতি গ্রামের এক অভিযোগকারী নিজের ওপর পেট্রোল ছিটিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অভিযোগকারীকে পেট্রোল ছিটাতে দেখে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
advertisement
4/7
সঙ্গে সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিরাপত্তাকর্মীরা তার দিকে ছুটে যান এবং তার কাছ থেকে পেট্রোল ভরা জলের বোতল ছিনিয়ে নেন। এছাড়াও ম্যাচবক্স ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ সরিয়ে তাকে রক্ষা করা হয়।
advertisement
5/7
যুবক জানান যে তিনি মান্ত থানা এলাকার বাসিন্দা। নাম দেবেন্দ্র। তার পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তাঁর বাবা তাঁকে জমির অংশ দিতে রাজি নন। তিনি বলেন যে তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তার সমস্যার অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। তিনি অনেক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু এখনও তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এই পরিস্থিতিতে তিনি বাধ্য হয়ে ডিএম অফিসে এমন কাজ করেছেন।
advertisement
6/7
এই বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) শৈলেন্দ্র জানান, অভিযোগকারী দেবেন্দ্র ভারদ্বাজের তার বাবা এবং চার ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। দেবেন্দ্রের বাবা তাকে জমির ভাগ দিতে চান না, কিন্তু দেবেন্দ্র তার অংশ পেতেই আগ্রহী। দেবেন্দ্রের বাবা কোনও অবস্থাতেই তাকে সম্পত্তিতে অংশ দিতে রাজি নন।
advertisement
7/7
ডিএম বলেন যে আইনি দিক থেকে দেবেন্দ্রর পক্ষে জোরালো যুক্তি নেই। কারণ দেবেন্দ্রের বাবা এখনও জীবিত। তবে সামাজিক দিক থেকে এই বিষয়টি বুঝিয়ে মীমাংসার জন্য এসডিএমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
চাদর জড়িয়ে বসেছিলেন যুবক, হঠাৎ 'জলের বোতল' বের করতেই শোরগোল! বন্দুক নিয়ে ঘিরে ধরল পুলিশ!