TRENDING:

Snake: ভারতের 'এই' গ্রামে মানুষের চেয়ে সাপ বেশি! বাচ্চাদের খেলার সঙ্গী বিষধর গোখরো, কেউটে, কালাচ! গ্রামের প্রতি বাড়িতে রয়েছে 'গোপন' ঘর, কোথায় জানেন?

Last Updated:
Snake Facts: ভারতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে মানুষ ও সাপ আত্মীয়ের মতো একসঙ্গে বসবাস করে। এখানে কেউ সাপকে ভয় পায় না। এজন্য সবাই যার যার বাড়িতে সাপের বসবাসের জায়গাও করে নেয়, যাকে বলা হয় দেবস্থান।
advertisement
1/8
ভারতের 'এই' গ্রামে মানুষের চেয়ে সাপ বেশি! বাচ্চাদের খেলার সঙ্গী বিষধর গোখরো, কেউটে, কালাচ!
*মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার একটি গ্রাম 'সাপের গ্রাম' নামে পরিচিত। শেতপাল গ্রাম এমন একটি জায়গা, যা তার অনন্য ঐতিহ্যের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এখানকার মানুষ নির্ভয়ে 'বিষাক্ত' সাপের সঙ্গে এক ছাদের নিচে বসবাস করে। গ্রামটি পুনে থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার এবং মুম্বই থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে মোহোল তালুকে।
advertisement
2/8
*২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে শেতপালের জনসংখ্যা প্রায় ৫,৭৭২, তবে এখানে সাপের সংখ্যা মানুষের তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। আশ্চর্যের বিষয়, আজ পর্যন্ত এই গ্রামে সাপে কামড়ানোর কোনও ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি। মানুষ সাপকে তাদের বাড়ির সদস্য হিসাবে বিবেচনা করে এবং বাড়িতে সাপথাকার জায়গা তৈরি করে, যেখানে তারা তাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করে।
advertisement
3/8
*সাপের জন্য 'দেবস্থানম', শেতপালের প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে, যাকে বলা হয় 'দেবস্থানম'। এটি একটি ছোট কোণ বা ফাঁকা জায়গা, যা সাপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। যখনই কোনও নতুন বাড়ি তৈরি হয়, বাড়ির সদস্যরা নিশ্চিত করে 'দেবস্থানম' তৈরি করা হয়েছে, যাতে বাড়ির সাপটি সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে।
advertisement
4/8
*এখানকার মানুষ সাপকে ভগবান শিবের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করে, কারণ হিন্দু ধর্মে, সাপকে শিবের বাহন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই বিশ্বাসের কারণে, সাপের উপাসনা করা হয় এবং পরিবারের অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। বাচ্চারা এখানে গোখরো সাপ নিয়ে খেলা করে এবং স্কুলের শ্রেণিকক্ষেও সাপ সাধারণ। তবুও, সাপ মানুষের ক্ষতি করে না, বা মানুষ এখানে সাপকে ভয় পায় না।
advertisement
5/8
*নাগ পঞ্চমী ও সাপের পুজোঃ শেতপালে সাপের প্রতি শ্রদ্ধার সবচেয়ে বড় প্রদর্শন নাগ পঞ্চমীর সময় ঘটে। এই উৎসবটি শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে উদযাপিত হয়, যা জুলাই বা অগাস্ট মাসে পড়ে। এইদিনে গ্রামবাসীরা সাপকে দুধ, মিষ্টি এবং ফুল নিবেদন করে। সাপ এবং জীবন্ত সাপের মূর্তি পুজো করা হয় এবং লোকেরা তাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চায়।
advertisement
6/8
*ঐতিহ্যটি কেবল সাপের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, গ্রামটি কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাও দেখায়। গ্রামে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বর মন্দিরটিও সাপের সঙ্গে যুক্ত। এই মন্দিরটি সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য পরিচিত।
advertisement
7/8
*১৯৭৪ সালের রেকর্ড অনুসারে, এই মন্দিরে প্রায় ১০০ সাপের কামড়ের ঘটনা আনা হয়েছিল এবং তাদের সকলের চিকিৎসা সফল হয়েছিল। তবে ওই সাপগুলো বিষাক্ত কি না, তা স্পষ্ট নয়। শেতপালের এই ঐতিহ্যের উৎপত্তি সম্পর্কে কোনও দৃঢ় ঐতিহাসিক তথ্য নেই, তবে প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনী, স্থানীয় কুসংস্কার এবং সাপের পরিবেশগত ভূমিকার সঙ্গে এই প্রথাটি যুক্ত বলে মনে করা হয়।
advertisement
8/8
*সাপ ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করে, যা ফসলের ক্ষতি করে। এই কারণে সাপ সুরক্ষিত থাকে। গ্রামবাসীরা মনে করেন, সাপকে সম্মান করলে মানুষ ও সাপের মধ্যে সংঘাত কমে। এখানকার লোকেরা সাপের আচরণ বুঝতে পারদর্শী এবং কখন সাপটিকে একা ছেড়ে দিতে হবে তা জানে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Snake: ভারতের 'এই' গ্রামে মানুষের চেয়ে সাপ বেশি! বাচ্চাদের খেলার সঙ্গী বিষধর গোখরো, কেউটে, কালাচ! গ্রামের প্রতি বাড়িতে রয়েছে 'গোপন' ঘর, কোথায় জানেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল