রাক্ষসের মতো এই সাপ, লম্বায় ৪৩ ফুট! জড়িয়ে মেরে ফেলতে পারত নীল তিমিকেও

অ্যানাকোন্ডার নাম শোনেননি এমন মানুষ বোধ হয় কমই আছেন। এই বিরাটাকার সাপ নিয়ে যে সিনেমা হয়েছিল, সেটিও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।

বিশ্বে জীবন্ত সব থেকে বিরাট সাপ গ্রিন অ্যানাকোন্ডার। তার থেকে বড় সাপের হদিশ এখনও বিজ্ঞানীরা পাননি। তবে আজ যে সাপের কথা আমরা বলব, সেটি গ্রিন অ্যানাকোন্ডার থেকে চার গুণ বড়।

সেই সাপ ছিল অতীতে। ওজন ছিল প্রায় সাড়ে এগারশো কেজির মতো। লম্বায় ওই সাপ ছিল প্রায় ৪৩ ফুট।

বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, এই সাপ এতটাই বড় ছিল যে পেঁচিয়ে নীল তিমিকেও দম বন্ধ করে মেরে ফেলতে পারত। তবে এই সাপের অস্তিত্ব ছিল কয়েক কোটি বছর আগে। নাম ছিল টাইটানোবোয়া।

বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, একটি সাপ সর্বাধিক ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। তবে টাইানোবোয়া সাপের অস্তিত্ব বিজ্ঞানীদের সেই ধারণা ভুল বলে প্রমাণ করেছিল। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই সাপ জলেই থাকত বেশি।

অ্যানাকোন্ডার পূর্বসূরী এই টাইটানোবোয়া। এরা জলের বড় মাছ ও কুমীর খেত। মূলত তাপমাত্রার কারণেই এই সাপের এমন বিরাট আকৃতি হয়েছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানী মহলের।

উত্তর-পূর্ব কলোম্বিয়ার সেরেজন কয়লা খনিতে খনন কার্যের সময় এই সাপের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। এই সাপের মেরুদণ্ড দেখে বিজ্ঞানীরা জানান, এটিই ছিল দুনিয়ার সব থেকে বড় সাপ।