TRENDING:

বর্ষায় জমিতে নামলেই সাপের ভয়? ৬ ফুটের জিনিসটা মাটিতে ছুঁড়লেই লেজ গুটিয়ে পালাবে ইয়া বড় বড় বিষধর!

Last Updated:
Snake Repellent Tips: বর্ষাকাল মানেই মাঠে জল, ঘাসজঙ্গল, আর তার সঙ্গেই বাড়তি ভয়— সাপ ও বিষাক্ত কাঁকড়াবিছে। কৃষিকাজ করতে গিয়ে কৃষকদের সাপের কামড়ের ঘটনা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। প্রাণ বাঁচাবেন কী ভাবে?
advertisement
1/13
বর্ষায় জমিতে নামলেই সাপের ভয়? ৬ ফুটের জিনিসটা মাটিতে ছুঁড়লেই লেজ গুটিয়ে পালাবে বিষধর সাপ!
বর্ষাকালে সাপের ছোবলে মৃত্যুর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। মাঠে কাজ করতে গেলেই সাপের শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসী। এই পরিস্থিতিতে সাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র উপায় প্রকৃতির কাছেই! কী সেই উপায়?
advertisement
2/13
নিশুতি রাত, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চাষি নামেন জমিতে। চারদিকে ভিজে ঘাস, কাদা আর ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিষধর সাপ-কাঁকড়াবিছে। এক পা ভুল হলেই বিপদ। বর্ষাকাল কৃষকদের জন্য শুধু খেত খামারের নয়, আতঙ্কের সময়ও বটে।
advertisement
3/13
কিন্তু এই ভয়কে জয় করে, মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার কৃষকেরা খুঁজে বের করেছেন এক চমকপ্রদ উপায়— এমন এক যন্ত্র যার আওয়াজে সাপ-বিছে পালিয়ে যায় কিলোমিটার দূরে!
advertisement
4/13
নেই বিদ্যুৎ, নেই রাসায়নিক। শুধু একটি বাঁশ আর পুরনো প্রজন্মের মগজের জোরেই তৈরি এই যন্ত্র বর্ষাকালীন কৃষিকাজে হয়ে উঠেছে অব্যর্থ রক্ষাকবচ। এখন আসুন জেনে নিই কী ভাবে কাজ করে এই অভিনব বাঁশি, কী ভাবেই বা তৈরি হয়, আর কেন এটি আজ হারিয়ে যাওয়ার মুখে।
advertisement
5/13
বর্ষাকাল মানেই মাঠে জল, ঘাসজঙ্গল, আর তার সঙ্গেই বাড়তি ভয়, সাপ ও বিষাক্ত কাঁকড়াবিছে। কৃষিকাজ করতে গিয়ে কৃষকদের সাপের কামড়ের ঘটনা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার কৃষকেরা এই ভয়কে জয় করেছেন এক অভিনব ও প্রাচীন উপায়ে— যার নাম 'ফটরঙ্গা'।
advertisement
6/13
এই যন্ত্রটি এতটাই কার্যকরী যে, একে মাটিতে একবার ছুঁড়লে সেই শব্দে বড়সড় সাপও রাস্তা বদলে পালায়। সবচেয়ে বড় কথা, এতে কোনও হিংসা নেই, নেই সাপ মারার প্রয়োজনও। চিরাচরিত পদ্ধতিতেই এই 'ফটরঙ্গা' তৈরি করেন কৃষকরা নিজেরাই, বাঁশ দিয়ে।
advertisement
7/13
ফটরঙ্গা কীভাবে কাজ করে? জমিতে যাওয়ার সময় কৃষকেরা এই ফটরঙ্গা হাতে নিয়ে যান। মাটিতে মারলেই এক বিশেষ শব্দ হয়— “ফটাক”। এই শব্দে সাপ, কাঁকড়াবিছে এমনকি অন্যান্য কীটপতঙ্গও এলাকা ছেড়ে পালায়। কারণ, এই আওয়াজ শুনে তারা আশপাশে কোনও হুমকি টের পায়।
advertisement
8/13
কীভাবে বানানো হয় ফটরঙ্গা? বাঁশের একটি প্রায় ৪ ফুট লম্বা টুকরো নেওয়া হয়। এক পাশ থেকে প্রায় ৬ ইঞ্চি বাদ দিয়ে ২ ফুট পর্যন্ত করাত দিয়ে কেটে নেওয়া হয়। এতে বাঁশের নিচের দিকটা অর্ধেক কাটা অবস্থায় থেকে যায়, যা মাটিতে মারলে একটু দূরে সরে গিয়ে আবার মূল অংশে ধাক্কা খায়। যেহেতু বাঁশ ফাঁপা, তাই সেই ধাক্কার আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
9/13
এই 'ফটাক' শব্দটাই হল মূল অস্ত্র। একদিকে তীব্র আওয়াজ, অন্যদিকে হালকা কম্পন—এই দুটি মিলেই সাপ বা কাঁকড়াবিছেরা সরে যায়।
advertisement
10/13
নিচের দিকের অর্ধেক কাটা অংশটি মাটিতে আঘাত করলে কিছুটা আলাদা হয়ে যায় এবং আবার মূল অংশের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই ধাক্কা থেকেই তৈরি হয় জোরালো শব্দ, যা ফাঁপা বাঁশের ভেতরে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে আরও বেশি দূরে পৌঁছে দেয়। এই শব্দ প্রাকৃতিকভাবে সাপ বা বিছের মতো প্রাণীদের সতর্ক করে দেয় বা ভয় পাইয়ে দেয়।
advertisement
11/13
স্থানীয় কৃষকদের মতে, তাঁদের দাদু-ঠাকুরদারাও এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। তবে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও জীবনযাত্রার ফলে এই ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ এখনও বর্ষায় বিষাক্ত জীবজন্তুর উপদ্রব ঠেকাতে এটি ভীষণ কার্যকরী।
advertisement
12/13
এই যন্ত্রে কোনও বিদ্যুৎ লাগে না, কোনও বিষ প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ। এমনকি বাচ্চারাও এই যন্ত্র তৈরি শিখতে পারে। শুধু বাঁশ হলেই চলবে।
advertisement
13/13
শুধু বালাঘাট নয়, দেশের যে কোনও বর্ষাপ্রবণ অঞ্চলে এই ‘ফটরঙ্গা’ হতে পারে কৃষকের জীবনের রক্ষাকবচ। একটু প্রচার আর যত্ন পেলে এটি আবার ফিরে আসতে পারে প্রতিটি কৃষকঘরে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
বর্ষায় জমিতে নামলেই সাপের ভয়? ৬ ফুটের জিনিসটা মাটিতে ছুঁড়লেই লেজ গুটিয়ে পালাবে ইয়া বড় বড় বিষধর!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল