advertisement
1/6

•• হিন্দু ধর্মে উল্লিখিত ৫১ পীঠস্থানের অন্যতম পীঠ। কথিত আছে, এখানে দেবী সতীর জিহ্বা পড়েছিল। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়, দেবীর রূপ এখানে একেবারেই ভিন্ন। তিনি এখানে অগ্নিস্বরূপা। চিরপ্রজ্জ্বলিত শিখায় তিনি বিরাজমানা। এখানে বেশ কয়েকটি শিখা প্রজ্বলিত রয়েছে সময়াতীত কাল থেকে। হিমালয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় রয়েছে এমন শিখা। এদের প্রত্যেকটিই দেবী হিসেবে পরিচিত।
advertisement
2/6
•• তবে দেবীর প্রধান মন্দিরটি হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার জ্বালামুখীতে অবস্থিত। জ্বালামুখী দলাই লামার আবাস ধর্মশালা থেকে ৫ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। বৈষ্ণোদেবী ছাড়া আর কোনও দেবস্থান এত প্রাচীন নয় বলেই পণ্ডিতদের ধারণা। জ্বালামুখী তীর্থের কথা ‘মহাভারত’-এও উল্লিখিত রয়েছে।
advertisement
3/6
•• কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, এক সময়ে অসুরদের দাপটে হিমালয়ের ঋষিরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। দেবভূমি হিমালয়ে দেবতারাও অসুরদের প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন। তাঁরা তখন সম্মিলিত ভাবে দেবীর আরাধনা করতে শুরু করেন।
advertisement
4/6
•• তাঁদের তেজ থেকে যে অগ্মিশিখা জন্ম নেয় সেখান থেকেই আবির্ভূত হন দেবী। পরে তিনিই সতী হিসেবে প্রতিপালিতা হন দক্ষ প্রজাপতির গৃহে। এবং তিনিই জন্মান্তরে হিমালয়-দুহিতা পার্বতী হিসাবে পরিচিত হন।
advertisement
5/6
•• অনেক পরে এই স্থানে দেবালয় গড়ে ওঠে। সেখানেই জ্বলতে থাকে এই শিখা। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, একবার মুঘল সম্রাট আকবর এই শিখাগুলি নেবাতে চেয়ে জল ঢালার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতেও শিখা নেভানো যায়নি।
advertisement
6/6
•• জনৈক গোপালক জঙ্গলের মধ্যে এই শিখাকে প্রজ্জ্বলিত দেখতে পেয়েই স্থানীয় রাজা ভূমিচন্দ্রকে জানান। রাজা এই শিখাকে ঘিরে মন্দির নির্মাণ করেন। তবে আজকের জ্বালাদেবী মন্দির নির্মিত হয় ১৮১৫ সালে। মন্দিরের চূড়া সোনা দিয়ে মোড়া। এই সোনা দান করেছিলেন পঞ্জাব কেশরী রঞ্জিৎ সিংহ।