কৌশিকী অমাবস্যায় দেবী কৌশিকী বধ করেছিলেন সুম্ভ-নিসুম্ভকে, মুক্তি পেয়েছিল ত্রিলোক

কৌশিকী অমাবস্যায় জীবনের সব থেকে বড় অন্ধকার কাটে ৷

সমস্ত রকমের অশুভ শক্তি এই অমাবস্যাতেই বিনষ্ট হয় ৷ বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মে এই তিথির বিশেষ মাহাত্ম রয়েছে ৷

যে নারী মাতৃ গর্ভ থেকে জন্মায়নি সেই নারীর দানব সুম্ভ ও নিসুম্ভ করে বদ্ধ করতে পারবে ৷ এমনই দৈববাণী হয়েছিল ৷

পার্বতী তাঁর পূর্ব জন্মে সতী ছিলেন ৷ দক্ষ রাজার দরবারে সতীর স্বামী অর্থাৎ মহাদেবের নামে অপমান সহ্য করতে না পেরে আগুনে বিসর্জন দিয়েছিলেন প্রাণ ৷

যখন সমস্ত দেবতারা সুম্ভ ও নিসুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েছিল ৷ মহাদেব দেবী কালিকাকে বলেছিলেন ৷

সবার সামনে তাঁকে কালী বলাতে মা শক্তির দেবী একটু রেগে গিয়েছিলেন ৷ পরে মানস সরোবরে কঠিন তপস্যা করতে থাকেন তিনি ৷

মানস সরোবরের ঠান্ডা জলে স্নান করে কৌশিকা বা মেলানিন ত্যাগ করে পূর্ণিমার চাঁদের মত গায়ের ধারণ করলেন ওই কালো কৌশিকাগুলি থেকে এক অপূর্ব কৃষ্ণবর্ণের দেবীর সৃষ্টি হয়েছিলে তিনি দেবী কৌশিকী ৷

এই দেবী কৌশিকীই বধ করেছিলেন সুম্ভ ও নিসুম্ভ ৷ মু্ক্তি পেয়েছিল ত্রিলোক ৷