TRENDING:

Space Moon Knowledge Story: চাঁদে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ! পরিকল্পনা সারা, শেষ মুহূর্তে বাধা! ফাঁস মারাত্মক ষড়যন্ত্র

Last Updated:
Space Moon Knowledge Story: চাঁদে আর্মস্ট্রং যেখানে পা রেখেছিলেন, সেখানে যদি বিশালাকার গর্ত আর পরমাণু বোমার বিষাক্ততায় পরিপূর্ণ থাকত, তাহলে কেমন হত?
advertisement
1/10
চাঁদে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ! প্ল্যান সারা, শেষ মুহূর্তে বাধা! ভয়াবহ ষড়যন্ত্র
১৯৫০ সাল নাগাদ ইউএসএসআর বা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন মহাকাশ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছিল, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা একটি অদ্ভূত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। কী সেই পরিকল্পনা জানেন? তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভয় দেখানোর জন্য চাঁদের মাটিতে পরমাণু হামলা চালানো।
advertisement
2/10
তবে, ১৯৬৯ সালে মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং যখন চন্দ্রপৃষ্ঠে তার পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছিলেন সেটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি।
advertisement
3/10
চাঁদে আর্মস্ট্রং যেখানে পা রেখেছিলেন, সেখানে যদি বিশালাকার গর্ত আর পরমাণু বোমার বিষাক্ততায় পরিপূর্ণ থাকত, তাহলে কেমন হত? চাঁদ নিয়ে গবেষণা - যার নাম ‘লুনার রিসার্চ ফ্লাইট-ভলিউম ১’- সেটি প্রথমবার পড়তে গেলে মনে হবে যে এটি একেবারেই আমলাতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ। যে ধরণের কাগজপত্র সাধারণত সহজেই নজর এড়িয়ে যায়। আর এটাই ছিল সম্ভবত মূল উদ্দেশ্য।
advertisement
4/10
এর কেন্দ্রের দিকে একটি ঢালের চিত্র খচিত। যাতে একটি পরমাণু, একটি বোমা এবং একটি মাশরুমের মতো মেঘের প্রতীক রয়েছে। এটি আসলে নিউ মেক্সিকোতে অবস্থিত কির্টল্যান্ড বিমান ঘাটিতে থাকা বিমান বাহিনীর বিশেষ অস্ত্রগার কেন্দ্রের প্রতীক। এই ঘাটিটি পারমানবিক অস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
advertisement
5/10
একদম নীচের দিকে লেখকের নাম উল্লেখ রয়েছে: এল রেইফেল বা লেনার্ড রেইফেল যিনি আমেরিকার বিখ্যাত পারমানবিক পদার্থবিদ। তিনি কাজ করতেন এনরিকো ফার্মির সঙ্গে। এনরিকো ফার্মি ছিলেন বিশ্বের প্রথম পারমানবিক রিঅ্যাকটর বা পারমানবিক চুল্লীর নির্মাতা যাকে “পারমানবিক বোমার স্থপতি” বলা হয়।
advertisement
6/10
প্রজেক্ট এ১১৯ নামে পরিচিত এই প্রকল্পটি ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণের একটি অতি-গোপনীয় প্রস্তাব। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় যে পারমানবিক বোমা ফেলা হয়েছিল, হাইড্রোজেন বোমা তার চেয়ে আরও অনেক বেশি বিধ্বংসী। একই সঙ্গে এটি ছিল সেই সময়ে নকশা করা পারমানবিক বোমার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক সংযোজন।
advertisement
7/10
বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ‘দ্রুত বাস্তবায়নের’ নির্দেশ পাওয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে ১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে রেইফেল অনেকগুলো প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন।
advertisement
8/10
যদিও এটি চাঁদ সম্পর্কিত কিছু প্রাথমিক বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, কিন্তু প্রজেক্ট এ১১৯ মূল উদ্দেশ্য ছিল শক্তি প্রদর্শন। বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটার কথা ছিল টার্মিনেটর লাইন নামে একটি রেখায়। এটি চাঁদের আলোকিত ও অন্ধকার অংশের সীমান্ত রেখা। এর উদ্দেশ্য ছিল আলোর উজ্জ্বল ঝলকানি তৈরি করা যাতে এটি যে কেউ বিশেষ করে ক্রেমলিন থেকে, যে কেউ খালি চোখে দেখতে পারে। বায়ুমণ্ডল না থাকার মানে হচ্ছে, সেখানে কোন মাশরুমের মতো মেঘ তৈরি হবে না।
advertisement
9/10
১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তিন বছর পর সোভিয়েতরা তাদের নিজস্ব বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ওয়াশিংটনের তাক লাগিয়ে দেয়। ১৯৫৭ সালে তারা আরও একধাপ এগিয়ে যায়, স্পুটনিক ১ উৎক্ষেপন করে মহাকাশ জয়ের দৌড়ে শীর্ষ স্থানে চলে যায়। স্পুটনিক ১ ছিল কক্ষপথে পাঠানো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ।
advertisement
10/10
১৯৯০-তে গোটা বিষয়টি ফাঁস করেন কার্ল সেগান নামের এক বিজ্ঞানী। তিনিও ছিলেন ওই প্রজেক্টে। সেগানের দাবি, শেষ মুহূর্তে বাধা দেয় মার্কিন সেনা। চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের উপর পড়বে বলে জানান তাঁরা। এর পরই বাতিল করা হয় ওই পরিকল্পনা।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Space Moon Knowledge Story: চাঁদে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ! পরিকল্পনা সারা, শেষ মুহূর্তে বাধা! ফাঁস মারাত্মক ষড়যন্ত্র
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল