TRENDING:

কেউ গিলে খায় অন্য সাপ, তো কেউ ঢালে ৪২০ মিলিগ্রাম বিষ! বিশ্বের এই কয়েক বিষধর সাপের কথা অবাক করবে

Last Updated:
সাপ বললেই আমাদের মাথায় সবার আগে বিষের প্রসঙ্গ আসে। সব সাপ যেমন বিষধর হয় না, তেমনই আবার সব বিষধর সমান বিষাক্ত নয়। এদের প্রজাতিতেও ক্ষমতার তারতম্য আছে।
advertisement
1/11
কেউ গিলে খায় অন্য সাপ, তো কেউ ঢালে ৪২০ মিলিগ্রাম বিষ! এই কয়েক বিষধর সাপের কথা অবাক করবে!
সাপ বললেই আমাদের মাথায় সবার আগে বিষের প্রসঙ্গ আসে। সব সাপ যেমন বিষধর হয় না, তেমনই আবার সব বিষধর সমান বিষাক্ত নয়। এদের প্রজাতিতেও ক্ষমতার তারতম্য আছে।
advertisement
2/11
তবে, সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষধর প্রজাতি বলা হয় কিং কোবরা, ইন্ডিয়ান ক্রেইট, হর্নড ভাইপার, রাসেলস ভাইপার, পিট ভাইপার এবং স-স্কেলড ক্রেইটকে। কিং কোবরা তার দৈর্ঘ্য এবং শিকার ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত।
advertisement
3/11
রাসেল ভাইপারের এক ছোবলই অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে। হর্নড ভাইপার, পিট ভাইপার এবং স-স্কেলড ক্রেইট মরুভূমিতে পাওয়া যায়, তাদের বিষও মারাত্মক।
advertisement
4/11
বিশ্ব জুড়ে অনেক প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়, কিং কোবরা তাদের মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ বললে ভুল হবে না। এটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বিষাক্ত সাপ। এটি মাটি থেকে ২ মিটার উপরে মাথা তুলতে পারে। এর বিষ এতটাই বিপজ্জনক যে তা ২০ জনকে হত্যা করতে পারে। এটি একবারে ৪২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ নির্গত করে। ভারতে এখনও কিং কোবরার প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। এর প্রিয় শিকার হল ইঁদুর, অ-বিষাক্ত সাপ, অন্যান্য কোবরা, ক্রেইট এবং অজগরের বাচ্চা।
advertisement
5/11
এবার আসা যাক ইন্ডিয়ান ক্রেইটের কথায়। এই সাপটি প্রায়শই দেশের গ্রামাঞ্চলে এবং বনাঞ্চলে দেখা যায়। এই সাপই দেশের মধ্যে মানুষকে সবচেয়ে বেশি কামড়ায়। এর বিষে নিউরোটক্সিন থাকে যা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়। কামড়ানোর ৪৫ মিনিটের মধ্যে একজন মানুষ মারা যায়।
advertisement
6/11
একটা ক্রেইট সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ থেকে ৫ ফুট হয়। এরা সাধারণত ১০ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বাঁচে। সাধারণ ক্রেইটেরর শরীরে বাদামি এবং সাদা ডোরা থাকে। অন্য দিকে, কালো ক্রেইটের শরীরে কালো ডোরা থাকে।
advertisement
7/11
হর্নড ভাইপার হল এক প্রজাতির বিষাক্ত সাপ যা মরুভূমি এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে পাওয়া যায়। এই সাপগুলির চোখের উপরে শিং-এর মতো গঠন থাকে, যা তাদের সহজেই সনাক্ত করতে সাহায্য করে। বালির রঙের এই সাপ খুবই বিপজ্জনক।
advertisement
8/11
রাসেলস ভাইপারও ভারতের নানা স্থানে পাওয়া যায়। কামড়ানোর আগে এটি জোরে জোরে হিস-হিস শব্দ করে। এর কামড় থেকে হিমোটক্সিন নির্গত হয়, যা সরাসরি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। রাসেলস ভাইপার কামড়ালে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত শুরু হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।
advertisement
9/11
রাসেলস ভাইপার তার স্বতন্ত্র চেহারার জন্য পরিচিত, যার মাথা ত্রিভুজাকার এবং দেহ তুলনামূলকভাবে বড়। এর রঙ অনেক রকমের হয়, তবে এটি সাধারণত বাদামি, হলুদ এবং কালো রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়, প্রায়শই এর শরীরে গাঢ় রঙের ডোরা থাকে।
advertisement
10/11
পিট ভাইপার বা কমন স্যান্ড ভাইপারের নামও এই তালিকায় আসবে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম সাপ, যা ঘণ্টায় ২৯ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এর চলা ধরন খুবই অনন্য। এটি মরুভূমির উত্তপ্ত বালির সঙ্গে শরীরের যোগাযোগ কমিয়ে দেয় এবং পিছলে না পড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এই বিষাক্ত পিট ভাইপার মরুভূমিতে পাওয়া যায়।
advertisement
11/11
সবশেষে বলতেই হয় স-স্কেলড ক্রেইটের কথা। দেখতে খুব ছোট হলেও মারাত্মক বিষাক্ত। এর বড় বড় চোখ, ঘাড়ের চেয়ে চওড়া মাথা একে অন্যান্য সাপ থেকে আলাদা করে তোলে। সাধারণত বালুকাময়, পাথুরে এবং নরম মাটির এলাকায় থাকা এই সাপটি ২.৬ ফুটের বেশি লম্বা হয় না। এটি ভারতের চারটি সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের মধ্যে আকারে সবচেয়ে ছোট। এই সাপের কামড়ে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
কেউ গিলে খায় অন্য সাপ, তো কেউ ঢালে ৪২০ মিলিগ্রাম বিষ! বিশ্বের এই কয়েক বিষধর সাপের কথা অবাক করবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল