Snake Bite Remedy: এই গাছের 'অলৌকিক' ক্ষমতা, ১ সেকেন্ডে নিষ্ক্রিয় করে সাপের বিষ, তবে ব্যবহার করতে হবে এই পদ্ধতিতেই

গরম-বর্ষায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। প্রতি বছর সাপের কামড়ে গ্রাম ও শহড়তলি এলাকায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এই সময় সাপ শুকনো ও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ক্ষেত, বাগান ও জলজমা এলাকা থেকে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কাজেই এই সময় সাপে কামড়ানোর সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

যাঁরা মাঠে কাজ করেন, বৃষ্টির জমা জল ভেঙে হাঁটেন, তাঁদের সাপে কামড়ানোর ঝুঁকি বেশি। সাপ কামড়ালে অনেকেই ভয়ে ভুল পদক্ষেপ নেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে এবং কিছু পুরনো প্রতিকার জানা থাকলে, প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

আয়ুর্বেদে ‘কাকোরা’ নামের একটি বিশেষ গাছের উল্লেখ রয়েছে। কিছু অঞ্চলে একে ‘কান্তোলা’ বা ‘কাট্রোল’ নামেও ডাকা হয়। এই গাছ সহজেই গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় জন্মায়।

আয়ুর্বেদে ‘কাকোরা’ নামের একটি বিশেষ গাছের উল্লেখ রয়েছে। কিছু অঞ্চলে একে ‘কান্তোলা’ বা ‘কাট্রোল’ নামেও ডাকা হয়। এই গাছ সহজেই গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় জন্মায়।

কাকোরা ক্ষেতের ধারে, ঝোপে ও জঙ্গলে দেখা যায়। কাকোরা ফল ও সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে এর আসল ক্ষমতা লুকিয়ে এর ঔষধি গুণে।

গ্রামীণ বিশ্বাস ও প্রাচীন আয়ুর্বেদ মতে, কাকোরার সব ধরনের বিষ দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। বলা হয়, সাপ কামড়ানোর পরই যদি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে বিষের প্রভাব কমে যায়। এই প্রতিকার এখনও বহু গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয় এবং বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কাকোরা ব্যবহারের পদ্ধতি:প্রথমে কাকোরার শিকড় তুলে নিন।মাটি ও ধুলো দূর করতে ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।শুকিয়ে নিয়ে, ভালো করে গুঁড়ো করে নিন।সাপ কামড়ালে এই গুঁড়ো এক চা-চামচ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাওয়ান।জনশ্রুতি আছে যে, এই প্রতিকার ৫ মিনিটের মধ্যেই কাজ শুরু করে এবং বিষের প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়া অপরিহার্য!আয়ুর্বেদে কাকোরাকে অ্যান্টি-ভেনম বা বিষনাশক গাছের তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই কাকোরা শুধু সাপের বিষ নয়, বিছে ও অন্যান্য বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। কাকোরার শিকড়, পাতা ও ফলের ঔষধি গুণ শরীর থেকে বিষের প্রভাব কমায়।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: সাপ কামড়ালে অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ঘরোয়া প্রতিকার কেবলমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য, এগুলিকে কখনও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে ধরা উচিত নয়। প্রতিটি সাপের বিষ ভিন্ন হয়, তাই চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।