কোন গাছের 'পাতা' ৫ মিনিটে সাপের 'বিষ' দূর করে জানেন...? শুনলেই চমকাবেন 'নাম'!

সাধারণ জ্ঞান যেমন আমাদের নতুন নতুন দেশ বিদেশের তথ্য দেয়, তেমনই আবার জিকের অলিন্দে কিন্তু এমনও বহু তথ্য থাকে যা দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যবহারিক তথ্যের খোঁজ দেয় যা সময়ে সময়ে আমাদের বড় বিপদ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচিয়ে দেয়।

বস্তুত যখনই আপনি পড়াশোনার জন্য বা চাকরির জন্য যেকোনও ধরণের পরীক্ষা দিতে যান বা ইন্টারভিউতে যান, তখনই কোনও না কোনও ভাবে জিকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। এই প্রশ্নগুলি যদিও সবসময় শুধুমাত্র বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল সংক্রান্তই হয় না জীবন ও জীবনধারা সংক্রান্তও হতে পারে।

আজ এই প্রতিবেদনে এমনই একটি বিষয় নিয়ে অজানা তথ্য শেয়ার করব যা এই মরশুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হতে পারে। অনেক সময় এই জ্ঞান জীবনদায়ীও হতে পারে। বর্ষাকালে যে একটি প্রাণীর ভয় গ্রাম বাংলায় ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যায়, সেই প্রাণীটি হল সাপ।

সাপ দেখলে সবচেয়ে সাহসী মানুষও ভয় পেয়ে যান। এই বিষাক্ত প্রাণীটি কখন গোপনে এসে কাউকে কামড়াবে তা আগে থেকে টের জানা যায় না। বৃষ্টি হোক বা শীত, তারা প্রায়শই লুকানোর জন্য সঠিক জায়গা খুঁজতে থাকে। Representative Image

বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি কোন বিষাক্ত সাপ আপনাকে কামড়ায়, যদি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে মৃত্যু কিন্তু নিশ্চিত। সাপের কামড়ের জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার পাওয়া যায়। তবে এই সবই যে কার্যকর হয় তা নয়। Representative Image

তবে এমন পরিস্থিতিতে দু-একটি মোক্ষম টোটকা জেনে রাখা ভাল। প্রসঙ্গত, আয়ুর্বেদে এমন কিছু জিনিসের কথা বলা হয়েছে যা শরীরে সাপের বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে অনেকাংশে বাধা দেয়। Representative Image

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব চরমে পৌঁছয়। গাছপালার ভিড় থেকে নীরবে ঘরে প্রবেশ করতে পারে এই প্রাণীটি। এই সময় প্রায় প্রতিদিন আমরা গ্রাম, শহর এবং শহরে সাপ দেখা এবং মানুষকে কামড়ানোর খবর শুনি। Representative Image

মনে রাখবেন যদি আপনার বাড়ির কাউকে সাপে কামড়ায়, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না। জানেন কী এই গ্রাম বাংলার ঝোপে ঝাড়েই আছে এমন আয়ুর্বেদিক 'উপায়' যা মিনিটের মধ্যে সাপের বিষ নামিয়ে দিতে পারে। Representative Image

বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি আপনার বাড়ির আশেপাশে কাঁটোলা বা কাকোরা সবজির (কাঁটাযুক্ত লাউ) লতানো গাছ থাকে, তাহলে এটি আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন পর্যন্ত বাঁচাতে পারে। এটি এমন একটি লতা যা আয়ুর্বেদে কেবল বিষাক্ত সাপের বিষ দূর করার জন্যই ব্যবহৃত হয় না, বরং অন্যান্য আরও বিষাক্ত প্রাণীর কামড়ের ক্ষেত্রেও এটি বিস্ময়কর কাজ করে। Representative Image

এই উদ্ভিদ কি সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করবে?আয়ুর্বেদ অনুসারে, এটাও দাবি করা হয় যে যদি সময়মতো ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে, একজন ব্যক্তিকে ৫ মিনিটের মধ্যে সাপের বিষ থেকে বাঁচানো সম্ভব। এই গাছের পাতা ও মূল থেকে তৈরি গুঁড়ো বিষের প্রভাব কমাতে পারে। Representative Image

আয়ুর্বেদ বলছে, উদ্ভিদ এবং মানুষের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার উপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁকরোল বা কাকোরার মূল থেকে তৈরি ভেষজ ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিভেনম হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। Representative Image

Mallige কলেজ অফ ফার্মাসির চিকিৎসক, ড কুন্তল দাস তাঁর পরামর্শে বলেন, "গবেষণায় দেখা যাচ্ছে কাঁকরোল বা কাকোদা-রুটের মতো ভেষজ ওষুধ সমাজে অ্যান্টিভেনম হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু কাল থেকেই।" Representative Image

এই উদ্ভিদের পাতা সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করে। এটি কাঁকরোল, কাঁতোলা এবং কাতরাল নামেও পরিচিত। এই উদ্ভিদটি বেশিরভাগই গরম এবং আর্দ্র জায়গায় দেখা যায়। আপনিও নিশ্চয়ই এই সবজিটি অনেকবার রান্না করে খেয়ে থাকবেন। কিন্তু এই বিশেষ তথ্য হয়ত আপনারও অজানা। Representative Image

খুব কম লোকই জানেন এই উদ্ভিদের আশ্চর্যজনক ঔষধি গুণ রয়েছে। কাঁটাযুক্ত গার্ড (কাঁটাযুক্ত গার্ড) বা কাঁকরোলে অন্যান্য সবজির তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি প্রোটিন থাকে। বলা হয় যে এই উদ্ভিদটি কেবল সাপের বিষই নয়, সকল ধরণের বিষ মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে। Representative Image

কাকোরার মূল কি সাপের বিষ দূর করে?আয়ুর্বেদের মতে, এটির ব্যবহারে বিষের প্রভাব প্রায় ৫ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সাপের কামড়ের পরপরই কাঁকরোল গাছের 'পাতা বা মূলের পেস্ট' প্রয়োগ করলে বিষ কমাতেও সাহায্য করে। আপনি এই গাছের টাটকা পাতা পিষে এর রস পান করতে পারেন।

দ্রষ্টব্য: সাপ একটি বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক প্রাণী। যদি কোনও বিষাক্ত সাপ আপনাকে কামড়ায় এবং আপনি জানেন যে এটি একটি বিষাক্ত সাপ যা আপনাকে কামড়েছে, তাহলে ঘরোয়া প্রতিকারের উপর একেবারেই নির্ভর করবেন না। অবিলম্বে তাকে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।

অস্বীকৃতি: এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। নিউজ 18 বাংলা এগুলি নিশ্চিত করে না। এগুলি বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।