চেকিংয়ে এতক্ষণ ধরে তরুণীর 'মুখ' দেখলেন সিনিয়র অফিসার? মিস হয়ে গেল 'ফ্লাইট'...! এয়ারপোর্টে এ কী কাণ্ড!

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক তরুণী কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তাঁর পাসপোর্ট স্ক্রুটিনির সময় বিমানবন্দরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তরুণীর মুখের দিকে নজর দিলে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে, যার ফলে ওই তরুণী কেবল ফ্লাইট মিসই করেননি, বরং বড় বিপদে পড়েন।

IGI বিমানবন্দরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার মতে, ওই তরুণী, যার নাম দিলজিৎ কৌর, এয়ার কানাডার ফ্লাইট AC-043 এ কানাডা যাচ্ছিলেন। ব্যাগেজ চেকিং এবং বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করার পর তিনি ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পাসপোর্ট স্ক্রুটিনির জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে কর্মকর্তার চোখের দিকে তাকালে দেখা যায়, তরুণীর মুখ এবং পাসপোর্টের ছবির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

অফিসার চিন্তা করতে থাকেন, পাসপোর্টের ছবি পুরনো হওয়ার কারণে কি এমন হয়েছে, কিন্তু যতটা গভীরভাবে তিনি দেখেন, তাঁর মনে হয় এটি ওই তরুণীর ছবি নয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় এবং তরুণী স্বীকার করেন যে পাসপোর্টটি তাঁর নয়, অন্য একজনের পাসপোর্ট নিয়ে তিনি কানাডা যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর পর তাঁকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর পুলিশে হস্তান্তর করে।

পুলিশ জানায়, তরুণী, যাঁর আসল নাম আমন, তিনি হরিয়ানা রাজ্যের কুরক্ষেত্রর বাসিন্দা। তাঁর অন্যান্য বন্ধুদের মতো, তিনিও কানাডায় গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন।

এক বন্ধু তাঁকে একজন ট্রাভেল এজেন্ট গৌরবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে কানাডায় পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গৌরব তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, কানাডায় পৌঁছানোর পর সে থাকার ব্যবস্থা এবং কাজও পাবেন।

অমন গৌরবকে ২ লাখ টাকা প্রদান করেন এবং বাকি অর্থ কানাডায় পৌঁছানোর পর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গৌরব তাঁর জন্য অন্য একটি পাসপোর্ট ব্যবস্থা করেন। এই পাসপোর্টটি দিলজিৎ কৌরের নামে জারি করা হয়েছিল।

পুলিশ এজেন্ট গৌরব জুনেজাকে কুরক্ষেত্র থেকে গ্রেফতার করেছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনায় শোরগোল এলাকায়।