মুহূর্তে নামিয়ে দেয় তেঁতুল বিছের 'বিষ'...! এই গাছের পাতার 'গুঁড়ো' অব্যর্থ, শুনলেই চমকাবেন 'নাম'!

বর্ষাকাল মানেই সাপ-খোপ পোকা মাকড়ের উৎপাত। গ্রাম বাংলায় শুধু নয়, জোলো পরিবেশে শহুরে বাড়িতেও উঠে আসে সাপ। বিষধর সাপ মুহূর্তে যেমন জীবন কেঁড়ে নেয়, ঠিক তেমনই বিষাক্ত বিছের উপদ্রবও বাড়ে এই সময়। তেঁতুল বিছে থেকে কাঁকড়া বিছের মতো বিষাক্ত প্রাণী নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে এসে আতঙ্ক ছড়ায় এই সময়!

বর্ষাকালে, বিছে প্রায়ই ঠান্ডা এবং ভেজা জায়গায় বেরিয়ে আসে, কারণ এই জাতীয় জায়গাগুলি বিছেরা বেশি পছন্দ করে। বিছের কামড় ভয়ঙ্কর।

মুহূর্তে শুরু হয় অসহ্য তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা। বিষাক্ত এই বিছের বিষ কখনও কখনও সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর। সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে বিছের বিষাক্ত 'বিষ'।

বিছের লেজের মধ্যে দিয়ে দংশনের কারণেই বিছের কামড়ে বিষক্রিয়া হয়। বর্ষায় এই বিছের উপদ্রব চরমে পৌঁছয়। যখন একটি বিছে কামড়ায় তখন এই প্রাণীর দংশন বিষ বের করতে পারে। শরীরে এই বিষক্রিয়া মারাত্মক প্রাণঘাতীও হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, প্রথম পদক্ষেপ হল কামড়ানো জায়গা থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি উপরে একটি কাপড় বা দড়ি শক্ত করে বেঁধে রাখা। যাতে বিষ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে না পড়ে।

জরুরি চিকিৎসা বিভাগের চিকিৎসক কার্ল এলসার, ডিও তাঁর পরামর্শে ব্যাখ্যা করেছেন, "যদি আপনি এমন কোনও স্থানে থাকেন বা ভ্রমণ করেন যেখানে এই বিষাক্ত পোকামাকড় ঢুকে আসে তাহলে নিশ্চিত করুন যে বিছের কামড়ের ক্ষেত্রে ঠিক কী করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে মূল কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় দুর্দান্ত কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।"

যেহেতু বিষ রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাই জায়গাটি শক্ত করে বেঁধে রাখা প্রয়োজন।এই পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করা উচিত। কিছু কিছু প্রতিকার মুহূর্তের মধ্যে নামিয়ে দেয় বিছের বিষ।

যদি কোনও বিছে কামড়ায়, তাহলে প্রথমে কাঁচা ফিটকিরি নিন এবং এটি একটি পরিষ্কার পাথরে পিষে নিন। এর সঙ্গে কিছু জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বা মলম তৈরি করুন। এই পেস্টটি বিছের কামড়ের জায়গায় লাগান এবং কিছুক্ষণ কম আঁচে গরম করুন। এতে বিছের বিষ দ্রুত নেমে যেতে শুরু করে এবং আপনি আরাম পাবেন।

পুদিনা পাতাও বিছের বিষ কমাতে পারে। এর জন্য পুদিনা পাতা ধুয়ে ভাল করে পিষে নিন। বিছের কামড়ে মিহি করে কাটা পুদিনা পাতা লাগান। তারপর আধ গ্লাস জলে পুদিনা পাতা মিশিয়ে বিছের কামড় খাওয়া ব্যক্তিকে পান করতে দিন। বিছের বিষ এতে সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে।

যদি আপনাকে বিছে কামড়ায়, তাহলে প্রথমে ক্ষতস্থানটি সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর বরফ নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। বরফটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে মুড়ে আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণ রাখুন। কারণ বিছের কামড় শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। বরফ ঘষলে তাৎক্ষণিক উপশম হয়।

কোন ফলের বীজ মুহূর্তের মধ্যে বিছের বিষ দূর করে দেয়?তেঁতুলের বীজ দ্রুত বিছের বিষ দূর করে। তেঁতুলের বীজ শুধু রান্নায় ব্যবহারই হয় না। বিছের মতো মারাত্মক প্রাণীর হুলের বিষ শরীরে ঢুকে গেলে তা নামাতে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে চূড়ান্ত কার্যকরী ভূমিকা নেয় এই বীজ।

দাবিত্যাগ: এই সংবাদে প্রদত্ত তথ্য এবং স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি সাধারণ তথ্য, ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। অতএব, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই যে কোনও কিছু ব্যবহার করুন। এর ব্যবহারের ফলে কোনও ক্ষতির জন্য নিউজ 18 দায়ী থাকবে না।