Earth: কবে পৃথিবী ধ্বংস হবে জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা! বাঁচবে না কোনও প্রাণী, আর কী ঘটবে সেদিন?

যার শুরু আছে, তার শেষ অবশ্যই হবে। পৃথিবীতে যেভাবে জীবনের শুরু হয়েছে, সেভাবেই একদিন এর সমাপ্তি ঘটবে। এমন একদিন আসবে, যখন সব প্রাণের ধ্বংস হবে, কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।

ডেইলি মেইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই গবেষণা করেছেন, যেখানে প্রকাশিত হয়েছে আগামী ২৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৫ কোটি বছরের পর পৃথিবীতে মহাপ্রলয় আসতে পারে এবং সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।

বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে মানুষ-সহ সব জীবিত জিনিস অদৃশ্য হয়ে যাবে। সেই সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। এমন পরিবেশে পৃথিবীর কোনও জীবজন্তু বা মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে না।

গরমের কারণে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা একটি ভার্চুয়াল সিমুলেশনের মাধ্যমে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ দেখার চেষ্টা করেছেন, যেখানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ওয়ার্মিং ধ্বংসের অন্যতম কারণ। এরপরে যে ফলাফল দেখা যায় তা ভয়ঙ্কর।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে আমরা যেভাবে পৃথিবীতে কার্বনের পরিমাণ বাড়াচ্ছি, তার কারণে পৃথিবী ধ্বংসের দিন সামান্য সময় করে এগিয়ে আসছে। এমন একটি ঘটনা ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ঘটেছিল যাতে ডাইনোসর শেষ হয়ে গিয়েছিল।

পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্যানজিয়া নামের এক ভূখণ্ড ৩৩০ মিলিয়ন থেকে ১৭০ মিলিয়ন বছর আগে পর্যন্ত ছিল। এখন থেকে ২৫ কোটি বছর পরে সব মহাদেশের মিলন হয়ে সুপারকন্টিনেন্ট প্যানজিয়া আল্টিমার গঠন হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে পৃথিবী প্রথমে উত্তপ্ত হবে, তারপর শুকিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত এটি আর বাসযোগ্য থাকবে না। গবেষক দলের প্রধান আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থ জানিয়েছেন, পৃথিবী সেই সময় এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যাবে, যে কোনও জীবের বাসযোগ্য থাকবে না।

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রায় ৬.৬ কোটি বছর আগে, পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ ছিল। এর ফলে শরীর গরম হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের এই গবেষণা Nature Geoscience-এ ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।