Rabindranath Thakur: প্ল্যানচেটে মৃতদের ডাকতেন রবীন্দ্রনাথ! 'মিডিয়াম' ছিলেন এক মহিলা! কে তিনি জানেন? নাম শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Rabindranath Thakur: ১৯২৯ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস জুড়ে বিভিন্ন সময় উমার সাহায্যে তিনি মৃত আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন।
advertisement
1/8

অনেকেই জানেন, পরলোকচর্চায় বিশেষ আগ্রহ ছিল রবীন্দ্রনাথের। বিশেষত শেষ জীবনে এ বিষয়ে তিনি বেশ কোমর বেঁধে উদ্যোগী হয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত আটটি খাতা থেকে মৃত প্রিয়জনদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের লিখিত বিবরণ উদ্ধার করা হয়েছে।
advertisement
2/8
বিবরণগুলি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথের তৎকালীন সচিব ডঃ অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী এবং রবীন্দ্র-অনুরাগী মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ভৌতিক প্রসঙ্গ’ শিরোনামে সংরক্ষিত এই খাতাগুলিতে ১৯২৯ সালের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথের পরলোকচর্চা বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। গবেষক অমিতাভ চৌধুরীর সৌজন্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারা যায়।
advertisement
3/8
এই গোটা পর্বে মৃতদের সঙ্গে যোগাযোগে রবীন্দ্রনাথকে মিডিয়াম হিসেবে সাহায্য করেছিলেন উমা গুপ্ত নামে পঁচিশ বছর বয়সী এক তরুণী। বলে রাখা দরকার, উমার সাহায্য নেওয়ার অনেক আগে থেকেই রবীন্দ্রনাথ পরলোকচর্চা করেছেন, প্ল্যানচেটও করেছেন। কিন্তু মিডিয়ামের সাহায্য নিলেন এই প্রথম।
advertisement
4/8
১৯২৯ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস জুড়ে বিভিন্ন সময় উমার সাহায্যে তিনি মৃত আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কে ছিলেন এই উমা গুপ্ত? তাঁর বিষয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ও অনুরাগী শ্রী মোহিতচন্দ্র সেনের কন্যা। সুপণ্ডিত ও দর্শনের অধ্যাপক মোহিতচন্দ্র সেন ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্য সংকলন ‘কাব্যগ্রন্থাবলী’র সম্পাদক।
advertisement
5/8
শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষও ছিলেন কিছুদিন। উমা মোহিতচন্দ্রের দ্বিতীয় কন্যা। ডাকনাম বুলা। পরে শিশিরকুমার গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। উমা কাব্যচর্চাও করতেন। তাঁর দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল। ‘ঘুমের আগে’ এবং ‘বাতায়ন’। দ্বিতীয়টি প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর পর।
advertisement
6/8
বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। পিতা মোহিতচন্দ্র সেনের মতোই খুব অল্প আয়ু পেয়েছিলেন উমা। মোহিতচন্দ্র মারা গিয়েছিলেন পঁয়ত্রিশ বছর বয়েসে। উমা মারা যান সাতাশে। রবীন্দ্রনাথকে প্ল্যানচেটে সাহায্য করার বছর দুয়েকের মাথায়।
advertisement
7/8
বিভিন্ন সময়ে রবীন্দ্রনাথের নিজের বক্তব্য থেকে মনে হয়, তিনি প্রথম জীবন থেকেই খোলা মনে কৌতূহলের সঙ্গে বিষয়টা জানতে ও বুঝতে চাইতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত কিছুটা সদর্থক মন নিয়েই বিষয়টাকে দেখতে চেয়েছেন। বিশ্বাস খুব দৃঢ় ছিল এমন বলা না গেলেও, বিশ্বাসের দিকেই যেন একটু বেশি ঝুঁকে ছিলেন। তবে পরলোকতত্ত্বকে তিনি ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে জড়াননি।
advertisement
8/8
জীবনের একেবারে সায়াহ্নে ১৯৩৯ সালে তিনি মৈত্রেয়ী দেবীকে যা বলেছিলেন, তাতে এই আভাস পাওয়া যায়। ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ বইয়ে এই বক্তব্যটি উদ্ধৃত হয়েছে - “পৃথিবীতে কত কিছু তুমি জানো না, তাই বলে সে সব নেই? কতটুকু জানো? জানা তো এতটুকু, না-জানাটাই অসীম। সেই এতটুকুর উপর নির্ভর করে চোখ বন্ধ করে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া চলে না। … যে বিষয়ে প্রমাণও করা যায় না, অপ্রমাণও করা যায় না, সে সম্বন্ধে মন খোলা রাখাই উচিত। যে কোন একদিকে ঝুঁকে পড়াটাই গোঁড়ামি।”
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Rabindranath Thakur: প্ল্যানচেটে মৃতদের ডাকতেন রবীন্দ্রনাথ! 'মিডিয়াম' ছিলেন এক মহিলা! কে তিনি জানেন? নাম শুনে চমকে উঠবেন