Plane Missing: ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে আস্ত বিমান গায়েব! ছিলেন এক বাঙালিও, ফ্লাইট MH 370 আজও জলজ্যান্ত রহস্য
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Plane Missing: মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ বা এমএইচ ৩৭০ একটি নিয়মিত যাত্রিবাহী বিমান ছিল। মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর থেকে চিনের বেজিং যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে হারিয়ে যায়।
advertisement
1/13

দশ বছর আগের ৮ মার্চে ঘটেছিল মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনা। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ বা এমএইচ ৩৭০ একটি নিয়মিত যাত্রিবাহী বিমান ছিল। মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর থেকে চিনের বেজিং যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে হারিয়ে যায়।
advertisement
2/13
২৩৯ জন যাত্রীর কেউ জীবিত নেই বলে মনে করা হচ্ছিল। যাত্রীদের পরিবার ছুটে যায় দুর্ঘটনাস্থলে। আশা, ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হবে বিমানের। যদি কোনও ভাবে কোনও মিরাকেল ঘটে। কিন্তু মিরাকেল তো দূর, ওই বিমানটি জাস্ট গায়েব হয়ে যায়। এমনই গায়েব যে আজও, ১০ বছর পরেও তার কোনও সূত্র, টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
advertisement
3/13
এমন ঘটনা কখনও দেখেনি বিশ্ববাসী। একাধিক দেশের যৌথ তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে আঁতিপাতি করে সন্ধান চালানো। এককথায় গরু খোঁজা খুঁজেও হদিস মেলেনি সে বিমানের একটি টুকরোরও। দুর্ঘটনায় হতাহত যাত্রী, বিমানের ধ্বংসাবশেষ এমনকি ব্ল্যাকবক্স-- সবসুদ্ধ যেন স্রেফ গায়েব হয়ে যায় বিমানটি। চরম রহস্যে হতবাক হয়ে যায় গোটা দুনিয়া, যা ইতিহাসের পাতায় অন্যতম রহস্য হয়ে গিয়েছে।
advertisement
4/13
মাঝ আকাশ থেকে ২২৭ জন যাত্রী আর ১২ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে জলজ্যান্ত বিমান হারিয়ে গেল কোথায়? বিমানে সম্ভবত এই একজনই বাঙালি যাত্রী ছিলেন। মুক্তেশ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী চিনের মেয়ে জিয়োমো। দুই ছেলে মিরাভ আর মাইলসকে চিনে শাশুড়ির কাছে রেখে মুক্তেশ ও জিয়োমো ভিয়েতনাম বেড়াতে গিয়েছিলেন। চিন ফেরার পথে বিমানের সঙ্গেই সারাজীবনের জন্য নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা।
advertisement
5/13
কেন সে দিন কুয়ালা লামপুর থেকে টেক-অফ করে তার নির্দিষ্ট রুট ছেড়ে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে সেই বিমান ধীরে ধীরে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে সরে পশ্চিম আকাশে ভারত মহাসাগরের উপরে মিলিয়ে গিয়েছিল, তার রহস্যভেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছিল তামাম বিশ্ব।
advertisement
6/13
মনে করা হয়েছিল, কোনও এক যান্ত্রিক কারণে মাঝ আকাশে বুঝি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে বিমান। কিন্তু ১ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সামান্য ধ্বংসাবশেষ না-পেয়ে ২০১৭-র জানুয়ারিতে হাল ছেড়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। এ শতাব্দীর অন্যতম সেরা রহস্য বলে পরিচিতি পেয়ে যায় তা।
advertisement
7/13
বিমান চলাচলের ইতিহাসের 'সবচেয়ে রহস্যময়' ঘটনাগুলোর তালিকা তৈরি করতে বললে অনেক বিশেষজ্ঞই মালয়েশিয়ার এমএইচ ৩৭০-র হারিয়ে যাওয়াকে নিঃসংকোচে তালিকার শীর্ষে রাখবেন। যাত্রা শুরু করার ৪০ মিনিটের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটির কী হয়েছে, তা আজও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। গত দশ বছরে বিমানটি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাওয়ার পেছনে সম্ভাব্য শত শত কারণ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা, গবেষণা হয়েছে।
advertisement
8/13
কী হয়েছিল সেদিন, তার নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। নেটফ্লিক্সে সিরিজও হয়েছে। কিন্তু উত্তর অধরাই। বিমান ছিনতাই, গুপ্তচরবৃত্তি, পাইলটের অসুস্থতা, জঙ্গি হামলা, আন্তঃদেশীয় রাজনীতি-সহ বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে হয়েছে আলোচনা-পর্যালোচনা। লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে বছরের পর বছর একাধিক দেশের কর্তৃপক্ষ খোঁজ চালিয়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষের। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি এখনও।
advertisement
9/13
বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরদিন মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানায় যে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ভিয়েতানামের বায়ুসীমায় প্রবেশ করার মুহূর্তে বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। ওই অনুমান অনুযায়ী পরদিন সকাল থেকেই মালয়েশিয়ার উত্তর-পূর্বে দক্ষিণ চিন সাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ শুরু হয়। মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী যৌথভাবে খোঁজ চালায়।
advertisement
10/13
মিলিটারি রাডারের হিসেব অনুযায়ী বিমানটি বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাওয়ার সময় ভিয়েতনামের বায়ুসীমায় ঢোকার আগ মুহূর্তে তার গতিপথ পরিবর্তন করে এবং ফিরতি পথে মালয়েশিয়ার ওপর দিয়ে মালাক্কা প্রণালী হয়ে উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে যায় এবং আন্দামান সাগরের কাছাকাছি অঞ্চলে যাওয়ার পর রাডারের চোখ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
advertisement
11/13
পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ১২টি দেশের বিমান ও নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরের এক লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি জায়গা অনুসন্ধান করেছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজে। কিন্তু অনুসন্ধানী দল এখন পর্যন্ত বিমানের কোনও অংশ বা বিমানে থাকা ২৩৯ জন যাত্রীর কারও কোনও হদিশ পাননি।
advertisement
12/13
বিমানটি আদৌ ভারত মহাসাগরেই বিধ্বস্ত হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ ও এই বিষয়ের গবেষক। শেষ দুই বছরের বেশি সময় একাধিক দেশের উদ্ধারকারী দলের অনুসন্ধানে ২০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় তবে এমএইচ ৩৭০-র সঙ্গে কী হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে যতদিন জানা যাবে না, ততদিন হয়তো এই রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কে কোনও তত্ত্বই একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
advertisement
13/13
এই বছরের শুরুতে, নিখোঁজদের পরিবারগুলি বিমানটি খোঁজার জন্য নতুন করে অভিযান শুরুর দাবি তুলেছিলেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় প্রমাণ পেলে তিনি আবার অনুসন্ধান অভিযান শুরু করবেন। তবে এখনও বিমানের কোনও খোঁজ মেলেনি।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Plane Missing: ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে আস্ত বিমান গায়েব! ছিলেন এক বাঙালিও, ফ্লাইট MH 370 আজও জলজ্যান্ত রহস্য