এই কারণেই...! বিয়ের পরই স্বামীর থেকে দূরে দূরে থাকছিলেন স্ত্রী...'চরম' সত্যি ফাঁস হতেই চমকে উঠল পরিবার! হতবাক পুলিশ!

সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু ঘটনা আজকাল সামনে আসে যা মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে। মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে যা রীতিমতো মুহূর্তের মধ্যে ঝড়ের গতিতে হয়েছে ভাইরাল।

এই ঘটনা এমন এক দম্পতির যাদের গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছে । এই ঘটনায় স্বামী কখনও কল্পনাও করেননি যে- ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট Shaadi.com-এ তিনি এমন একজন 'বিশেষ' জীবনসঙ্গী পাবেন! প্রতীকী ছবি

সূত্রের খবর, বিয়ের পর পর থেকেই স্ত্রী তাঁর স্বামীর থেকে দূরে থাকতে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারই জেরে এরপর থেকে স্ত্রী তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। যখন তাঁর স্বামী তাঁকে নিতে আসেন,তখন আসল সত্যি জেনে তিনি হতবাক হয়ে যান। কী ছিল সেই সত্যি? জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ ঘটনা। প্রতীকী ছবি

মৈনপুরীতে, এক যুবক একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে জীবনসঙ্গী খুঁজছিল। বিয়েও অনেক জাঁকজমকের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে।

মিথ্যে বলে বিয়ে করা হয়েছিল:জানা যায়, ঘিরুর শহরের বাসিন্দা মোহিত কুমারের কিছুদিন আগেই তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তিনি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে তাঁর প্রোফাইল তৈরি করেছিলেন।

ইতিমধ্যে, সেই মেট্রিমোনিয়াল সাইটেই শাহজাহানপুরের জালালাবাদের বাসিন্দা রিঙ্কি গুপ্তার পরিবার তাঁর সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে যোগাযোগ করে। প্রতীকী ছবি

জানা যায়, বিয়ের কিছু সময় পর, যখন মোহিত রিঙ্কির ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করে, তখন তাঁকে প্রায়শই দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলতে দেখা যেত। এই বিষয় নিয়ে বিবাদের পর, রিঙ্কি তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যায়।

কিন্তু এরপরেই কাহানিতে আসে ট্যুইস্ট। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলেই মোহিতের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে রীতিমতো হুমকি দিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় বাড়ির লোকজন।

তারপর যা জানা যায় তা শুনলে আঁতকে উঠবেন আপনিও। ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে যে একজন বিবাহিত মহিলাকে অবিবাহিত দেখিয়ে তাঁর প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছিল ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে।

অর্থাৎ বাস্তবে সম্পূর্ণ ঠকিয়ে, মিথ্যা কথা বলে বিয়েটা ঠিক করা হয়েছিল। এই বিষয়ে সব প্রকাশ্যে আসতেই আদালতের শরণাপন্ন হন ওই যুবক। আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগী ওই যুবক, মোহিত কুমার শেষমেশ প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

কারণ ইতিমধ্যে মোহিত জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী আসলে বিবাহিত এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গেও তাঁর একটি মামলা চলছে। এই বিষয়ে জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে উল্টে মোহিতকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি

থানায় কোনও সুরাহা না হওয়ায় মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত অবস্থায় মোহিত আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে এরপরেই তাঁর স্ত্রী রিঙ্কি ও সরোজ, প্রিয়াঙ্কা, রাহুল নামের তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

আদালতের নির্দেশে মামলা দায়েরের পর, পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং দ্রুত ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এই ঘটনার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছে। প্রতীকী ছবি