Mysterious AIR India Plane Crash: ৬০ বছর আগে বরফঢাকা দুর্গম আল্পসে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান দুর্ঘটনায় ‘রহস্যজনক মৃত্যু’ ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানের জনকের! আজও উত্তর মেলেনি বহু প্রশ্নের

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানের বিধ্বংসী দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত বিশ্ব৷ সারা পৃথিবীর সংবাদ দুনিয়ায় এই দুর্ঘটনা এখন শিরোনামে৷ নজিরবিহীন এই বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে উঠে আসছে অতীতের বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ৷

সেরকমই একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৬ সালে৷ সে বছর ২৪ জানুয়ারি এরকমই এর দুর্ঘটনায় পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার আরও এক বোয়িং বিমান৷ কেড়ে নিয়েছিল শতাধিক যাত্রীর প্রাণ৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবা৷

ডক্টর হোমি জাহাঙ্গির ভাবাকে বলা হয় ভারতের পরমাণু বিজ্ঞান সাধনার জনক৷ মাত্র ৫৬ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুতে এক ধাক্কায় ভারতের পরমাণু গবেষণা অনেকটা পিছিয়ে যায় বা থমকে যায় বলে মনে করা হয়৷

বিজ্ঞানী ভাবা ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১০১ ছিল বোয়িং ৭০৭-৪২০-এ৷ আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার উপদেষ্টা কমিটির এক বৈঠকে যোগ দিতে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যাচ্ছিলেন৷

সুইস আল্পস পর্বতশ্রেণীর সর্বোচ্চ মঁ ব্লঁ শৃঙ্গের তরাই অঞ্চলে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১০১৷ বিজ্ঞানী ভাবা-সহ উড়ানের শতাধিক যাত্রী এবং ১১ জন ক্রু সদস্য প্রাণ হারান৷

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল বিমানবন্দরের এটিসি-র সঙ্গে অভিশপ্ত উড়ানের পাইলটের ভুল বোঝাবুঝি এবং যোগাযোগের অভাব৷ কিন্তু একাধিক মহলের মত, নিছক দুর্ঘটনা নয়৷ এটা ছিল ষড়যন্ত্র এবং নাশকতা৷

একাধিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের মত, পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যুর পিছনে ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স বা সিআইএ-এর ষড়যন্ত্র৷ ভারতের পরমাণু শক্তির সংক্রান্ত গবেষণাকে রুদ্ধ করে দেওয়াই ছিল ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য৷

২০১২ সালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় ভারতের কূটনৈতিক নথিপত্র এবং ব্যক্তিগত চিঠি৷ কিন্তু এত বছর পরও এটা দুর্ঘটনা না নাশকতা, সেই রহস্যের উত্তর রয়েই গিয়েছে কুয়াশার আড়ালে৷