কোচিং সেন্টারের পড়ুয়াদের মাসিক আয় কোটি টাকা ! রহস্য জেনে হতবাক পুলিশ
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Muzaffarpur Latest News: বিহারের মুজফফরপুরের একটি কম্পিউটার কোচিং সেন্টার। শিক্ষকরা আসেন। ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটার শেখেন। সামনে থেকে দেখলে কিছু বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এর আড়ালে রমরমিয়ে চলত তোলাবাজির কারবার। তারই পর্দাফাঁস করল পুলিশ।
advertisement
1/6

বিহারের মুজফফরপুরের একটি কম্পিউটার কোচিং সেন্টার। শিক্ষকরা আসেন। ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটার শেখেন। সামনে থেকে দেখলে কিছু বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এর আড়ালে রমরমিয়ে চলত তোলাবাজির কারবার। তারই পর্দাফাঁস করল পুলিশ। কম্পিউটার সেন্টারের আড়ালে কী চলত?
advertisement
2/6
পুলিশ জানতে পেরেছে, এখানকার কর্মীরা পুলিশের নাম করে লোকজনকে ভয় দেখাত। বলত, ছেলেমেয়ে বা পরিবারের সদস্যকে গ্রেফতার করা হবে। সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে যেতেন। তখনই ঝুলি থেকে বিড়াল বের হত। বলা হত, চিন্তার কিছু নেই। টাকা দিলে শাস্তি মকুব করে দেওয়া হবে। এক মাসে এরকম প্রায় এক ডজন ঘটনা ঘটে।
advertisement
3/6
তারপরই নড়েচড়ে বসে সাইবার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে যে সব তথ্য উঠে এসেছে তাতে হতবাক পুলিশও। এই চক্রের আন্তর্জাতিক যোগের হদিশও পেয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসএসপি রাকেশ কুমার জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে ৬ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
advertisement
4/6
ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি ল্যাপটপ, ১৯টি ব্যাঙ্কের পাসবুক, ৮টি চেকবুক, ১৭টি এটিএম বা ডেবিট কার্ড, ১৩টি ব্যাঙ্ক খোলার কিট, ৫টি প্যান কার্ড, ৭টি মোবাইল এবং ৫টি সিম কার্ড-সহ অনেক ব্যাঙ্কের নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এসএসপি রাকেশ কুমার বলেন, ‘অভিযুক্তরা সাহেবগঞ্জে কম্পিউটার কোচিং চালাত। সেখানে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের নামে খোলা হয়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
advertisement
5/6
এর বদলে পড়ুয়াদের টাকা দেওয়া হত। সাইবার জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড আরশাদ আলম ও আমজাদ আলমকে মোতিহারি থেকে, অঙ্কিত, রোশন ও দীপককে দ্বারভাঙ্গা থেকে এবং জিতেন্দ্রকে মুজফফরপুরের সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাত্র এক মাসে এই চক্রের কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছে’।
advertisement
6/6
এসএসপি রাকেশ কুমার আরও বলেছেন, 'আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করেছি। যা এই অভিযুক্তরা সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিল। এরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন পরপরই কাজের ধরন বদলে ফেলত। অভিযুক্তদের তিনটি দেশের সাইবার জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে’।