'মোনো' আর 'মেট্রো' রেলের মধ্যে তফাৎ কী...? প্রশ্ন শুনেই হকচকিয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ, চমকে দেবে 'সঠিক' উত্তর!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Mono Vs Metro: মেট্রো এবং মোনোরেল। মুম্বই শহরের লক্ষ লক্ষ যাত্রীর জন্য ভ্রমণের অত্যাধুনিক দুই মাধ্যম। এই শহরে ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে মোনো এবং মেট্রো উভয় মাধ্যমই দারুণ উপকারী। এই গণমাধ্যম দুটি আপনাকে যানজট ছাড়াই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়।
advertisement
1/18

মেট্রো এবং মোনোরেল। মুম্বই শহরের লক্ষ লক্ষ যাত্রীর জন্য ভ্রমণের অত্যাধুনিক দুই মাধ্যম। এই শহরে ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে মোনো এবং মেট্রো উভয় মাধ্যমই দারুণ উপকারী। এই গণমাধ্যম দুটি আপনাকে যানজট ছাড়াই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়।
advertisement
2/18
নির্ঝঞ্ঝাটে গন্তব্যে পৌঁছতে এই দুই মাধ্যমের জুড়ি মেলা ভার। রাস্তার ভিড়-ভাট্টা থেকে অনেকটাই গা বাঁচিয়ে নিত্যযাত্রী থেকে বেড়াতে যেতে এই বিপল্পগুলি বেছে নিচ্ছেন মানুষ।
advertisement
3/18
এতে যেমন অনেকটাই অর্থ সাশ্রয় হয় খামোকা গাড়ির তেল পোড়ে না ঠিক তেমনই এর ফলে আপনি যানজটে আটকা পড়েন না। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে একটা বিষয়ে কিন্তু মানুষের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিভ্রান্তি।
advertisement
4/18
আর সেটা এই দুই গণমাধ্যমের নামের জন্য। আপনি কি জানেন মোনো এবং মেট্রো রেলের মধ্যে আসলে পার্থক্য কী?
advertisement
5/18
হঠাৎ দেখলে উভয় রেলপথ একই রকম মনে হলেও তাদের কাজের পদ্ধতি, প্রযুক্তি এবং ক্ষমতার ক্ষেত্রে কিন্তু রয়েছে বড় পার্থক্য।
advertisement
6/18
১. ট্র্যাক এবং কাঠামো:মোনোরেল: নাম থেকেই বোঝা যায়, এটি একটি একক বিম বা পিলারের উপর চলে। এই বিমটি প্রায় ৫০-৬০ সেমি চওড়া এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং রাবার-টায়ার ক্যারিজ দ্বারা সমর্থিত।
advertisement
7/18
মেট্রো রেল: অন্যদিকে মেট্রো রেল কিন্তু প্রচলিত সাধারণ ট্রেনের মতো দুটি স্টিলের ট্র্যাকে চলে, তবে প্রযুক্তিটি যথেষ্ট আধুনিক এবং আরও দক্ষ।
advertisement
8/18
২. বিদ্যুৎ সরবরাহ:মোনোরেল: মুম্বই মনোরেলটি পাশে তৈরি একটি ধাতব বার (বাস-বার) দ্বারা চালিত হয়। যদি কোনও সময়ে আচমকা বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে পুরো লাইনটি স্থবির হয়ে পড়ে ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
advertisement
9/18
মেট্রো: মেট্রোরেল তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এক অংশে বিঘ্ন ঘটলেও, অন্য অংশ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা যেতে পারে এক্ষেত্রে। তাই কখনওই যাত্রা বাধাপ্রাক্ত হয় না এই ক্ষেত্রে।
advertisement
10/18
৩. ধারণক্ষমতা:মোনোরেল: একটি বগিতে সর্বোচ্চ ৩০০-৪০০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। ৪ বগির একটি ট্রেন মাত্র ১,০০০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে।
advertisement
11/18
মেট্রো: ৮টি বগির একটি মেট্রো রেলের রেক সহজেই ২,৫০০-৩,০০০ যাত্রী বহন করতে পারে, যা এটিকে বৃহত্তর শহরগুলির জন্য আরও উপযুক্ত করে তোলে।
advertisement
12/18
৪. রক্ষণাবেক্ষণ:মোনোরেল: রাবারের টায়ার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে এই মনোরেলের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
advertisement
13/18
মেট্রোরেল: যেহেতু এটি ইস্পাতের ট্র্যাকের উপর চলে, তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ সহজ এবং কম ব্যয়বহুল।
advertisement
14/18
৫. কার্যক্ষম নমনীয়তা:মোনোরেল: যদি কোনও ট্রেন মাঝখানে থেমে যায়, তাহলে ট্রেনগুলির সামনে বা পিছনে যাওয়ার কোনও উপায় থাকে না। ফলস্বরূপ, পুরো লাইনটি জ্যাম হয়ে যায়।
advertisement
15/18
মেট্রো: এক্ষেত্রে টার্নআউট এবং সাইডিং ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনকে একপাশে টেনে আনা সম্ভব করে তোলে। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াও সহজ।
advertisement
16/18
৬. বিপদের ইতিহাস:মুম্বই মোনোরেল: ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল মুম্বই মোনোরেল। কিন্তু শুরু থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং রাবারের টায়ার পোড়ার কারণে এর যাত্রা বারবার বন্ধ হয়ে যায়। আজও, এটি মাত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সম্প্রতি মনোরেলে মুম্বইয়ের টানা বৃষ্টিতে আটকে পড়েন বহু যাত্রী।
advertisement
17/18
দিল্লি মেট্রো: ২০০২ সালে শুরু হওয়া এই পরিষেবাটি এখন ৩৯০ কিলোমিটার নেটওয়ার্ক জুড়ে বিস্তৃত। প্রতিদিন ৬০-৬৫ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। কারিগরি ত্রুটি খুবই বিরল এবং ব্যাকআপ সিস্টেমের কারণে পরিষেবাটি সুচারুভাবে চলতে থাকে।
advertisement
18/18
অতএব, প্রযুক্তিগত দিক থেকে এই দুটি রেল আপাতদৃষ্টিতে একই রকম তবে রেলপথের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আর এই কারণেই মেট্রো অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য, যদিও মোনোরেল এখনও অনিয়মিতভাবে চলে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
'মোনো' আর 'মেট্রো' রেলের মধ্যে তফাৎ কী...? প্রশ্ন শুনেই হকচকিয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ, চমকে দেবে 'সঠিক' উত্তর!