ঘি-কে ইংরেজিতে কী বলা হয় জানেন? চট করে অনেকের মাথাতেই আসবে না...
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
What is Ghee Called in English: বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে এ হেন ঘি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিছু কিছু খাবার ছিল, যা ঘি ছাড়া রান্না করার কথা এক সময়ে ভাবাও যেত না।
advertisement
1/6

ওগগরা ভত্তা, রম্ভঅ পত্তা।গাইক ঘিত্তা, দুগ্ধ সজুক্তা।।মৌইলি মচ্ছা, নলিতা গচ্ছা।দিজ্জই কান্তা খা(ই) পুনবন্তা।।চতুর্দশ শতকের কথা। লেখা হয়েছে প্রাকৃতপৈঙ্গল নামের একখানা বই। সেই বইয়ের এই কবিতার অর্থ সোজাসাপটা- ফেনাঝাড়া ভাত বেড়ে দেওয়া হয়েছে কলাপাতায়, তার উপরে দেওয়া হয়েছে গাওয়া ঘি, জাল দেওয়া দুধের সঙ্গে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে মৌরলা মাছ আর নালতে শাক। সাজিয়ে দিয়েছেন বধূ, যিনি এরকম খাবার খাচ্ছেন, তিনি পুণ্যবান ছাড়া আর কী! (Representative Image)
advertisement
2/6
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে এ হেন ঘি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিছু কিছু খাবার ছিল, যা ঘি ছাড়া রান্না করার কথা এক সময়ে ভাবাও যেত না। যেমন, লুচি! ভাতের পাতে ঘিয়ের উল্লেখ তো করাই হল। এত সাধের জিনিস, কিন্তু এর ইংরেজি নামটা চট করে বলতে পারবেন না অনেকেই। (Representative Image)
advertisement
3/6
ঘি-কে ইংরেজিতে কী বলা হয়? ইংরেজিতে ঘি-কে ক্ল্যারিফায়েড বাটার (Clarified Butter) বলা হয়। কারণ ঘি তৈরি করা হয় মাখন জাল দিয়ে, জল এবং দুধের কঠিন পদার্থ অপসারণ করলে খাঁটি সোনালী যে তরল চর্বি বেরিয়ে আসে, সেটাই হল ঘি। (Representative Image)
advertisement
4/6
ঘিয়ের ইতিহাস ও নামকরণ: ঘি প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত হয়েছিল, যেখানে এটি কেবল রান্নার প্রধান পণ্যই ছিল না, বরং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে একটি পবিত্র নৈবেদ্যও ছিল। ‘ঘ’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ঘৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ শুদ্ধ। যজ্ঞ এই কারণেই ঘি ছাড়া হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশীয় দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। আজও ঘি আয়ুর্বেদ এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।(Representative Image)
advertisement
5/6
ঘি এবং মাখনের মধ্যে পার্থক্য: মাখনের মতো ঘি-তে ল্যাকটোজ বা কেসিন থাকে না, দুগ্ধজাত পণ্য যাঁদের সহ্য হয় না, এমন ব্যক্তিদের জন্য ঘি অধিকতর উপযুক্ত। উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা এবং রান্না করার ক্ষেত্রে ঘি মাখনের তুলনায় আদর্শ। সহজ কথায়, ঘি হল মাখনের একটি বিশুদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর রূপ। (Representative Image)
advertisement
6/6
ঘিয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা: ঘি স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন A, E, এবং K-তে ভরপুর। আয়ুর্বেদ বলছে, ঘি হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সামগ্রিক প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করেয়। আধুনিক গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে ঘি হৃদপিণ্ডের সুস্বাস্থ্যের সহায়ক হতে পারে। যাঁরা কোটো এবং প্যালিও ডায়েট অনুসরণ করেন তাঁদেরও ঘি সুপারিশ করা হয়। <strong><em>(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )</em></strong>