Knowledge Story: সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরনো মমি আছে কলকাতায়! কোথায় জানেন? দেখতে গিয়েছেন কখনও? চমকে যাবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Knowledge Story: এই শহরের ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ রয়েছে একটা পূর্ণাঙ্গ মিশরীয় মমি। একটা মমির হাতের কাটা অংশ।
advertisement
1/9

‘মমি’ শব্দটা শুনলে প্রথমেই মনে পড়ে মিশরের কথা। সেখানকার মরু এলাকার সারি সারি পিরামিডের মধ্যে এক সময়ে থাকত সেখানকার সম্রাট-সম্রাজ্ঞী ও বিশিষ্টজনেদের সংরক্ষিত করা মৃতদেহ।
advertisement
2/9
যেহেতু সেগুলো মানুষের মৃতদেহ তাই ‘মমি’ শব্দের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটা গা ছমছমে ভাব। আর সেটা অনুভব করা যেতে পারে কলকাতার ‘ভারতীয় প্রদর্শশালা’ বা ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ গেলেই!
advertisement
3/9
হ্যাঁ, এই শহরের ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ রয়েছে একটা পূর্ণাঙ্গ মিশরীয় মমি। একটা মমির হাতের কাটা অংশ। কী করে ওই মমিগুলো কলকাতায় এল তা জানতে গেলে চোখ ফেরাতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
advertisement
4/9
উদ্ভিদবিদ নাথানিয়েল ওয়ালিচের উদ্যোগে এশিয়াটিক সোসাইটির বিভিন্ন সংগ্রহ নিয়ে ১৮১৪-র ২ ফেব্রুয়ারি সোসাইটির ভবনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এক প্রদর্শশালা। পরে সেটি রূপান্তরিত হয় ভারতীয় প্রদর্শশালা বা ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ম-এ। চৌরঙ্গি রোডের বর্তমান মিউজিয়ম-বাড়িতে সেটি উঠে আসে ১৮৭৮-এ।
advertisement
5/9
পুরনো জিনিস সংগ্রহের নিরিখে এক সময়ে কলকাতার এই প্রদর্শশালাকে তুলনা করা হতো লণ্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ম ও অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা মিউজিয়মের সঙ্গে। স্থপতি ডব্লিউ এল গ্র্যানভিল ১৮৬৭ সালে ওই ভিক্টোরিয়ান যুগের স্থাপত্যের ভবনটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮৭৫ সালে। আর ১৮৭৮ সালে সেটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
advertisement
6/9
১৯৩৪ সাল নাগাদ, গোর্বা (Gourvh)-র রাজাদের সমাধি থেকে সংগ্রহ করা একটা মমি মোকা (Mocha) থেকে আনার কথা হয়েছিল। আনন্দের খবর সন্দেহ নেই! কারণ তখনও পর্যন্ত এশিয়াটিক সোসাইটির ওই মিউজিয়মে কোনও মিশরীয় মানুষের মমি সংগৃহীত হয়নি। কিন্তু পরে জানা গেল, কুটে নামের যে রণতরীতে চাপিয়ে মমিটাকে বোম্বাই পর্যন্ত আনবার কথা ছিল, জাহাজের মুসলমান নাবিকদের বিরোধীতায় সেটা আনা সম্ভব হচ্ছে না।
advertisement
7/9
ওই নাবিকেরা জানিয়েছেন, মৃত শরীরকে কবর থেকে তুলে জাহাজে করে স্থানান্তরিত করা তাদের সংস্কার-বিরুদ্ধ, তাই সে কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অবস্থা এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে মমিটাকে মোকার বাইরে আনার সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়।
advertisement
8/9
সেই ঘটনার প্রায় বছর পঞ্চাশেক পরে, ১৮৮২ সালের কাছাকাছি, মিশরের কোনও এক সমাধিক্ষেত্র থেকে একটা পূর্ণাঙ্গ মমি কলকাতায় এসে পৌঁছয় এবং তার ঠাঁই হয় ইন্ডিয়ান মিউজিয়মে। যদিও ঠিক কোন তারিখে মমিটা কলকাতায় এসেছিল তা নথিবদ্ধ করা নেই ইন্ডিয়ান মিউজিয়মের কোনও কার্যবিবরণীতে।
advertisement
9/9
পূর্ণাঙ্গ মানবদেহের মমি পরে এলেও কায়রোর কাছে কোনও এক পিরামিড থেকে সংগ্রহ করা আনুমানিক তিন হাজার বছরের পুরনো কোনও এক মমির কাটা হাত (পাঞ্জা) কিন্তু যাদুঘরে এসে গিয়েছিল সেই ১৮৪৪ সালেই। এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারের সহ-গ্রন্থাগারিক ডবলিউ সি কটনের উদ্যোগে এসেছিল সেটা।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Knowledge Story: সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরনো মমি আছে কলকাতায়! কোথায় জানেন? দেখতে গিয়েছেন কখনও? চমকে যাবেন