জগন্নাথ দেবের প্রিয় এই খাবার, জানেন কি মালপোয়ার অর্থ? 'সঠিক' উত্তর জানেন না ৯৯% মানুষই! চমকে যাবেন শুনলে
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Koushik Adhikary
Last Updated:
General Knowlege: মালপোয়া কিন্তু ঠিক বঙ্গীয় খাদ্য নয়। যদিও বাংলায় এটি দারুণ জনপ্রিয়। চৈতন্য চরিতামৃতে অবশ্য মালপোয়ার উল্লেখ নেই। বৃন্দাবনের ভক্ত বৈষ্ণবদের হাত ধরে এই সুখাদ্যটি গৌড়ীয় বৈষ্ণবসমাজে প্রবেশ করে।
advertisement
1/7

শনিবার উল্টো রথযাত্রা। জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি থেকে রওনা দেবেন নিজের বাড়িতে। জগন্নাথ দেবকে পুজো হিসেবে অন্যতম ভোগ দেওয়া হয় মালপোয়া। মুর্শিদাবাদ জেলাতে মিষ্টির দোকানে তৈরি করা হচ্ছে ছানার মালপোয়া।
advertisement
2/7
জগন্নাথ দেবের প্রসাদ হিসেবে ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে মালপোয়া। তাই জোর কদমে চলছে মালপোয়া তৈরির কাজ। মালপোয়ার সংস্কৃত নাম “মল্লপূধা।” মালপোয়া খেলে মল্ল অর্থাৎ পালোয়ানের মতো শক্তি হয়, এই বিশ্বাসে এক সময় ঈশ্বরের কাছে মালপোয়া ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ গ্রহণ করা হত। ভিন্ন মতে, মালপোয়ার ‘মাল’ শব্দটি নাকি ফারসী। আর পোয়া এসেছে সংস্কৃত ‘পূপ’ থেকে। পূপ মানে পিঠে।
advertisement
3/7
মালপোয়া কিন্তু ঠিক বঙ্গীয় খাদ্য নয়। যদিও বাংলায় এটি দারুণ জনপ্রিয়। চৈতন্য চরিতামৃতে অবশ্য মালপোয়ার উল্লেখ নেই। বৃন্দাবনের ভক্ত বৈষ্ণবদের হাত ধরে এই সুখাদ্যটি গৌড়ীয় বৈষ্ণবসমাজে প্রবেশ করে। তবে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও মালপোয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়।
advertisement
4/7
বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই ছানার মালপোয়া তৈরি করা যায়। চিনির রস কিংবা ময়দা, উভয়ের মধ্যে চুবিয়ে এই মালপোয়া খেতে অসাধারণ লাগে। একবার এভাবে ছানার তৈরি মালপোয়া খেয়ে দেখুন, মন্দ যে লাগবে না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
advertisement
5/7
দৈনিক প্রায় ৫০০ কাছাকাছি তৈরি হয় এই মালপোয়া। বর্তমানে ৭টাকা প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি করা হয়ে থাকে। যা কিনতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ । ৫৬ভোগের মধ্যে হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে মালপোয়াকে। প্রীয় প্রভু জগন্নাথ দেবকে ভোগ হিসেবে দেওয়ার জন্য ভিড় করছেন দোকানে ক্রেতারা।
advertisement
6/7
দোকান মালিক রাজকুমার দত্ত জানান, মালপোয়া তৈরি করার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, ঘি গরম হয়ে গেলে এক ফোঁটা ব্যাটার নিয়ে তাতে দিয়ে দেখুন যে মিশ্রণটি ভেসে উঠছে কিনা। এইভাবেই বুঝতে পারবেন তেল বা ঘি ঠিকঠাক গরম হয়েছে কিনা।
advertisement
7/7
এবার একটি হাতা করে অল্প ব্যাটার নিয়ে তেলে সাবধানে ছেড়ে দিন। দেখবেন সেটি গোল লুচির মতো তেলে ভেসে উঠবে। এপিঠ ওপিঠ করে মালপোয়া ভেজে নিন। মালপোয়ার রং হালকা বাদামি করতে চাইলে বেশিক্ষণ ধরে ভাজুন। এভাবে একে একে মালপোয়া ভাজতে থাকুন।চিনির রস পছন্দ করলে মালপোয়াগুলি সিরায় ভেজান।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
জগন্নাথ দেবের প্রিয় এই খাবার, জানেন কি মালপোয়ার অর্থ? 'সঠিক' উত্তর জানেন না ৯৯% মানুষই! চমকে যাবেন শুনলে