Knowledge Story: ১০০০-১২০০ টাকা কেজির নীচে পাওয়াই যায় না, স্বাদে-গন্ধে ইলিশের 'শত্রু', প্রোটিনে ভরপুর এই মাছ আপনি চেনেন?
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Knowledge Story: উত্তরবঙ্গবাসীর দাবি, ভাপা হোক বা সর্ষে বাটা। আর যদি মচমচে ভাজার কথা বলা হয়, তবে এই মাছের ধারেকাছে আসতে পারবে না কেউ। ইলিশও না।
advertisement
1/10

কথায় আছে, মাছের রাজা 'ইলিশ'। যদিও উত্তরবঙ্গ অন্য কথা বলে। সেখানে কান পাতলেই শোনা যায়, মাছের রাজা 'বোরোলি'। ছোট ছোট তিস্তা-তোর্সা-কালজানির বোরোলি মাছ স্বাদে-গন্ধে টেক্কা দেয় ইলিশকে।
advertisement
2/10
উত্তরবঙ্গবাসীর দাবি, ভাপা হোক বা সর্ষে বাটা। আর যদি মচমচে ভাজার কথা বলা হয়, তবে বোরোলির ধারেকাছে আসতে পারবে না কেউ।
advertisement
3/10
শোনা যায়, কোচবিহারের মহারানি ইন্দিরা দেবী থেকে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রিয় মাছ ছিল বোরোলি। মহারানি যখন কলকাতা বা মুম্বইয়ে থাকতেন, তখন বিমানে করে বোরোলি পৌঁছে যেত সেই সব শহরে। এমনকি, রাষ্ট্রপতি ভবনেও যাত্রা করেছিল বোরোলি। রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গ সফরে এলেই পাতে রাখতেন বোরোলি মাছ। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রিয় মাছের তালিকায় রয়েছে বোরোলি।
advertisement
4/10
বিজ্ঞানসম্মত নামটা বেশ গালভরা-বারিলিয়াস বারিলা। রুপোলি শস্য। কিন্তু ইলিশ নয়। ডুয়ার্সের জঙ্গল আর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আর এক ট্রেড মার্ক-তিস্তার বোরোলি।
advertisement
5/10
শুধু উত্তরবঙ্গের নদীতেই বোরোলি পাওয়া যায়। তাও আবার সব নদীতে নয়। জলঢাকা, কালজানি, তিস্তা, তোর্সাতেই মেলে। জলঢাকা ও তোর্সার বোরোলি তুলনামূলক খর্বকায়। তবে স্বাদে গন্ধে তিস্তার বোরোলিই সবার সেরা। তিস্তার স্রোত বেয়ে আসা এই মাছের স্বাদ অন্য কোথাও আর মেলে না। অনেকেই এই মাছকে তিস্তার 'ইলিশ' বলে ডাকে।
advertisement
6/10
বাজারে লোক ঠকাতে বোরোলির যমজ মাছও রয়েছে। বিহারের কোশি নদীতে এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যার নাম পিয়ালি। খুব ভালে করে না চিনলে প্রথম দেখায় ভুল হতেই পারে। তবে রান্নার পর মুখে দিলে সেই ভুল ভাঙতে মোটেই সময় নেবে না।
advertisement
7/10
আর পাঁচটা চুনো মাছের মতোই বোরলি প্রাণিজ প্রোটিনের একটি বড় উৎস।এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালিশিয়াম ও ভিটামিন ডি।শুধু তাই নয়, এই মাছটি মিনারেল ও নানা ধরনের পুষ্টিগুণেরও অন্যতম আধার। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলিও।
advertisement
8/10
তবে মন খারাপ করা খবর হল, মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, বছর দশেক আগেও তোর্সায় মাসে অন্তত পক্ষে ১২৬ কেজির বেশি বোরোলি মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে পনেরো কেজির বেশি বোরোলি মাছও পাওয়া যায় না।
advertisement
9/10
মৎস্য দফতরের আধিকারিকেরা জানান, বোরোলি মাছের চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় তা ধরতেই বেশি নজর সবার। যে কোনও উপায়ে ওই মাছ ধরতে গিয়ে বোরোলির ক্ষতি করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
10/10
বোরোলি মাছ ধরতে মশারি জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে মাছের ডিম ও পোনার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহার করেও নদীতে মাছ ধরা হয়। এ ছাড়া, নদী দূষণও একটি বড় কারণ।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Knowledge Story: ১০০০-১২০০ টাকা কেজির নীচে পাওয়াই যায় না, স্বাদে-গন্ধে ইলিশের 'শত্রু', প্রোটিনে ভরপুর এই মাছ আপনি চেনেন?