Kiss Day | Valentine's Day: হালকা চুমু বিশেষ স্থানে! নাকি ঠোঁটঠাসা? উড়ন্ত চুমুতেই বাজিমাত, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সঙ্গীকে এই ভাবেই পাগল করুন...

ভালোবাসার প্রথম বহিপ্রকাশ নিসন্দেহে চুমু। সেই যৌবনে কলেজ কেটে প্রথম সিনেমা দেখতে যাওয়া! ভালোবাসার মানুষটার ঠোঁটে ঠোঁট মেলানোর অভিজ্ঞতা আমাদের প্রায় সকলেরই আছে। প্রেম টিকুক আর না টিকুক, প্রথম চুমুর স্বাদ মনে রয়ে যায় সবারই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন চুমুর উপকারিতারও কোনো শেষ নেই। তাই শুধু ভালোবাসতে নয়, নিজেকে সুস্থ রাখতেও আরও বেশি বেশি করে চুমু খান প্রিয় মানুষটিকে। কিন্তু জানেন কি, এই চুমুর নেপথ্যে রয়েছে অনেক অজানা গল্প। ১৩ ফেব্রুয়ারি চুম্বন দিবসে আসুন জেনে নেওয়া যাক, চুম্বন নিয়ে এমনই কিছু না জানা কথা, এমন কিছু সত্যি যা জানলে আপনিও অবাক হবেন।

১) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত দেখা গিয়েছে, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মাথা ডানদিকে হেলিয়ে তারপর চুমু খান৷ বিখ্যাত পেন্টিং,ভাস্কর্য, নেমাতেও নায়ক নায়িকাদের এইভাবে চুমু খেতে দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থা থেকেই এর সূত্রপাত। একজন শিশু মায়ের গর্ভে ডানদিকে মাথা হেলিয়ে থাকেন। সেখান থেকেই নাকি এর সূচনা।

২) বিজ্ঞানীরা বলছেন, চুমু খাওয়ার সময় মোট ১৪৬ টি পেশি কাজ করে। এর মধ্যে ৩৪টা মুখের মাংসপেশি। সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুমু খেলে মুখে ও চিবুকে জমে যাওয়া মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তাই চুমুর উপকারিতাও অনেক।

৩) ইতিহাস বলছে, ১৪৩৯ সালে ১৬ জুলাই ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাজা পঞ্চম হেনরি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে চুমু-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ৷ কথিত আছে,এই ঘোষণার পর তার রাজ্যে অরাজকতা তো দেখা গিয়েছিলই সঙ্গে রাজা নিজেও দীর্ঘকাল এরকম নিষেধাজ্ঞা পালন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷ তারপর থেকে চুমুকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয় সে দেশে।

৪) এক সমীক্ষা বলছে, একজন সাধারণ মানুষ তার পুরো জীবনের গড়পড়তা ২০,১৬০ মিনিট অর্থাৎ দু’সপ্তাহ সময় চুমুর পিছনে ব্যয় করেন ৷

৫) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলারা নিজের স্বপ্নের পুরুষ খুঁজে পেতে গড়ে ১৫ জন পুরুষকে চুমু খান। যৌন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্টনার পছন্দের জন্য মেয়েরা চুমুর উপর গুরুত্ব দেন সবচেয়ে বেশি।