উসখুস করছিল সে AC কামরায় বসে! GRP এসে 'আপনি কে'? জিজ্ঞেস করতেই সর্বনাশ...সে যা বলল, শিউরে উঠবেন!

ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বসে কেমন যেন একটা করছিল সেই তরুণ। তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে জিআরপি জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনি কে?’ সে নাম বলা মাত্রই হইচই পড়ে গেল। এর পর যা হল, ভাবতেও পারছেন না!

পটনা থেকে ট্রেনের এসি কোচে উঠেছিল সেই যাত্রী। নাম সন্দীপ রাই (২৫)। গঙ্গা শতলজ এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ১৩৩০৭)-এর এইচ-১ এসি কোচের ২৪ নম্বর সিটে সে বসেছিল। তবে লখনউয়ের চারবাগ স্টেশন আসতেই তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় জিআরপি এবং আরপিএফ চলে আসে। শুরু হয় তল্লাশি।

লখনউয়ের চারবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আরপিএফ ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল সন্দীপ নামের ওই যুবককে তল্লাশি করে ১৬ কেজি আফিম উদ্ধার করেছে! অভিযুক্ত সন্দীপ রাই বিহারের সরন জেলার বাসিন্দা। তার কাছে একটি নীল রঙের ব্যাগে ৪টি প্লাস্টিক প্যাকেট ভর্তি আফিম পাওয়া যায়। বাজারে এই আফিমের মূল্য ৪ লাখ টাকারও বেশি বলে জানিয়েছে জিআরপি।

সন্দীপ রাই পটনা থেকে ট্রেনে উঠেছিল এবং আম্বালা ক্যান্ট স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় সরবরাহকারীকে এই মাদক হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে লখনউয়ের চারবাগ স্টেশনে তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় জিআরপি এবং আরপিএফ তার ব্যাগ তল্লাশি চালায় এবং আফিম উদ্ধার করে। অভিযানে উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে এবং উত্তর রেলওয়ে আরপিএফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং জিআরপি একত্রে অংশগ্রহণ করেছিল।

চারবাগ স্টেশনে এটি কোনও একক ঘটনা নয়। **দুই মাস আগে:** গোসাইগঞ্জে কাঠের মধ্যে লুকিয়ে রাখা লক্ষাধিক টাকার আফিমসহ একটি ট্রাক ধরা পড়েছিল। **আট মাস আগে:** জিআরপি প্রমিলা দেবী নামে এক নারী পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার আফিম উদ্ধার হয়। তিনি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে আফিম এনে বেয়ারেলিতে সরবরাহ করতেন। প্রতি চালানের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকা পেতেন।

লখনউয়ের চারবাগ রেলওয়ে স্টেশন মাদক পাচারের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তবে আরপিএফ এবং জিআরপি একযোগে কাজ করে এই ধরনের অপরাধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।